নিজস্ব প্রতিবেদন:আমাদের মধ্যে অনেকেই এরকম আছেন যারা জঙ্গল সফর করতে ভালোবাসেন। জঙ্গলে বাঘ সিংহ তাদের জীবনযাত্রা লড়াই প্রত্যক্ষ করতে ভালোবাসেন। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই ধরনের ঘটনা গুলি মুহূর্তের মধ্যেই আমাদের মুঠোফোনের হাজির হয়ে যায়।তবে শুধু বড় বড় জঙ্গল নয় মাঝেমধ্যে আমাদের চারপাশে পশুপাখিদের নানান কীর্তি ধরা পড়ে।
একটু লক্ষ্য করলেই চারপাশে পশুদের মধ্যে ঝগড়া কখনো আবার বন্ধুত্ব সবটাই দেখতে পাওয়া যায়।নিঃসন্তান দম্পতি অনেকসময় সন্তান দত্তক নেয়। এমনকি ইদানিং মানুষের পশুপাখি দত্তক নেওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। কিন্তু এমন কথা কে কবে শুনেছে? বানর কিনা দত্তক নিল মুরগি?বিশ্বাসযোগ্য নয়। কিন্তু এমনটাই হয়েছে ইজরায়েলের এক চিড়িয়াখানায়। চিড়িয়াখানার নাম রামত গান সাফারি পার্ক। তেল অ্যাভিভের কাছে অবস্থিত চিড়িয়াখানাটি।
এক একাকী বানর তার একাকিত্ব ঘোচানোর জন্য দত্তক নিল একটি বাচ্চা মুরগি। বানরের নাম নিভ। ইন্দোনেশিয়ার ব্ল্যাক মেকাকি (এক জাতীয় ছোটো বানর)। কাগজে কলমে লেখাপড়া করে নিভ তার নতুন সন্তানকে দত্তক নেয়নি। ফলে আইনত তার উপর দায়িত্বও বর্তায় না। কিন্তু তার জন্য আদরের কোনও কমতি নেই নিভের। ছোটো মুরগির ছানাকে সে সোহাগে ভরিয়ে রেখেছে। সারাদিন তার কাটছে মেয়ের সঙ্গে খেলা করে।
চিড়িয়খানার মুখপাত্র মোর পোরাত জানিয়েছেন,৪ বছর বয়স হয়ে গেছে নিভের। মুরগি দত্তক নেওয়া তার কাছে মাতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ। মুরগির বাচ্চাকে সে মায়ের মতোই দেখাশোনা করছে।মেয়ের এখনও কোনও নাম ঠিক হয়নি। তবে নতুন মায়ের সঙ্গে ভালোই মিশে গেছে সে। পোরাত জানিয়েছেন, এটি এক আশ্চর্য সম্পর্ক। সচরাচর দেখা যায় না। সাধারণত এই প্রজাতির বানররা মুরগি দেখলে মেরে খেয়ে ফেলে।
অথবা যতক্ষণ না মুরগিটি মারা যাচ্ছে, ততক্ষণ তাড়িয়ে বেড়ায়। কিন্তু নিভ খুব খুশি। আমরা একজন রোগেটেড মাদার পেয়েছি। ওরা রাতে একসঙ্গে শোয়। ঠিক মা-মেয়ের মতো।বাকি ব্ল্যাক মেকাকিদের মতো নিভও যাতে মুরগিদের না মেরে ফেলে, সেই কারণে তাকে আলাদা রাখা হয়েছিল। তার ফলও পাওয়া যায় হাতেনাতে। কয়েকমাস আগে নিভ একটি মুরগি দত্তক নিতে চেয়েছিল।
কিন্তু সেই মুরগিটি তার সঙ্গ মেনে নিতে পারেনি।মানুষ অনেকসময় দুটি আলাদা প্রজাতির পশুদের মধ্যে বন্ধুত্ব করায়। কিন্ত তার পিছনে কারণ থাকে। একটি নতুন প্রজাতি উৎপন্ন করা। কিন্তু এক্ষেত্রে তা হয়নি। পোরাতের মতে ওই মুরগিটি চিড়িয়াখানার নয়। কোথা থেকে যে এল, তারও কোনও সন্ধান নেই।