আর্শ্চ্যয ঘটনা যুবকের কুবরা সাপ নিয়ে খেলা করার অভিনব কৌশল !সোশ্যাল। মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদন:কোবরা শব্দটি পর্তুগিজ, যেটি সাপকে বোঝানো হয়। এটি এলাপিডি পরিবারের, সাধারণত নাজা গণের বিষধর অনেক সাপ যাদের ফণা থাকে, যেমন গোখরা, কেউটে, মিশরীয় কোবরা, চীনা কোবরা ইত্যাদি। জীববিদ্যাগতভাবে কোবরা নয় কিন্তু ইংরাজি নামের মধ্যে কোবরা এসে গেছে এমন কিছু সাপ আছে যেমন কিং কোবরা বা শঙ্খচূড়।

বিশ্বে যে চার প্রজাতির কিং কোবরা রয়েছে তাদের এখনও আনুষ্ঠানিক নাম দেওয়া হয়নি। কিন্তু এগুলি হল – দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতের পশ্চিমঘাট বংশ, পশ্চিম চীন। সাপের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।এরইমধ্যে ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে প্রায় ৬ হাত লম্বা একটি পদ্ম গোখরা সাপ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে হলের স্টাফদের মাধ্যমে হলের পাশে সাপের অবস্থানের বিষয়টি জানতে পারি। তাদেরও বিষয়টি শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে গর্তসহ কিছু আলামত দেখতে পেয়ে সাপুরেদের খবর দেয়া হয়। তিনি বলেন, বিকালে পটুয়াখালী থেকে এক সাপুরে এসে হলের প্রভোষ্ট অফিসের পশ্চিম পার্শে গর্ত করে আনুমানিক ৫-৬ হাত লম্বা সাপটি জীবিত উদ্ধার করে।

পাশাপাশি ৮-১০ টির মতো ডিমও উদ্ধার করা হয়। সাপুরে জানিয়েছে ওই গর্তে থেকে সাপটি ডিমে তা দিচ্ছেলো।ডিমগুলো অন্যত্র সরিয়ে ফেলে সাপুরে সাপটিকে নিয়ে চলে গেছে। যাওয়ার সময় সে জানিয়েছে উদ্ধার হওয়া সাপটি কুবরা জাতের বিষধর সাপ।

তিনি বলেন, কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি যেখানে অবস্থিত সেই জায়গাটা বিলের মতো নীচু জায়গা ছিলো। এখানে কিছু পুরাতন, পরিত্যাক্ত বাড়িও ছিলো। সেইসাথে আশপাশে জঙ্গল ও ডোবাসহ বিভিন্ন ধরণের জলাশয় রয়েছে। তাই এ ক্যাম্পাসে প্রায়ই সাপের দেখা পায় শিক্ষার্থীরা।

তবে সম্প্রতি এত বড় সাপে দেখা আর মেলেনি।তিনি বলেন, ক্যাম্পাস পরিস্কার রাখার পাশাপাশি কার্বলিক এসিড ব্যবহার করার চিন্তা ভাবনা আমাদের রয়েছে। এ বিষয়ে সাপের উপদ্রব ক্যাম্পাসে আগে থেকেই রয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে কিছুটা আতঙ্কও রয়েছে। তবে আমরা ক্যাম্পাস পরিস্কার রাখার ওপরে জোর দিচ্ছি। সেইসাথে কার্বলিক এসিড ব্যবহার করার চিন্তা ভাবনা করা হয়েছে।

এদিকে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সাপটি আনুমানিক সাড়ে ৫ ফুট লম্বা হবে এবং প্রায় ডজনখানেকের ওপরে ডিম ছিলো ওই গর্তে। যা সাপুরে উদ্ধার করেছে। তারা জানান, সাপ আতঙ্কে সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে হাটাচলা করতে হয় খুব হিসেব করে, আর এখন এই বিষধর সাপ দেখে সবার মাঝেই সাপ আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে।বিস্তারিত দেখার জন্য ভিডিও দেওয়া হলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *