নিজস্ব প্রতিবেদন: মানুষ অভ্যাসের দাস। সাধারন ভাবেই মানুষ বিভিন্ন খারাপ এবং ভালো অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ভালবাস যেমন মানুষকে ভাল দেখে নিয়ে যায় তেমনি খারাপ অভ্যাসগুলো মানুষকে খারাপের দিকে নিয়ে যায়। মানুষকে অভ্যাসের দাস বলা হয় কারণ যখন কেউ কোন ভাষায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে তখন সে না চাইতেও দৈনন্দিন জীবনে এগুলো করে থাকে। অভ্যাস খারাপ হোক কিংবা ভালো হোক তা থেকে ফিরে আসা খুবই কষ্টকর। তবে খারাপ অভ্যাসগুলো থেকে পরিত্রান পাওয়া আরো বেশী কষ্টকর। একজন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ অভ্যাস গুলো দেখলেই বুঝা যায় আসলে মানুষটি কি রকম।
বন্ধুরা আজকের এই ভিডিওটি আপনার জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিডিওতে চলেছে। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে এই ভিডিওটি আপনার কাজে লাগবে। আপনার চিন্তা ভাবনা ও জীবনের উপর ফোকাস যদি সঠিক হয়ে থাকে তবে জীবনের প্রত্যেকটি অবস্থাতেই এই ভিডিওটি আপনাদের সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তা আপনার পড়াশোনার ক্ষেত্রে হোক চাকরির ক্ষেত্রে হোক কিংবা ব্যবসা।আপনার জীবনে যে দুইটি অভ্যাস মেনে চললে সহজেই জীবনকে পরিবর্তন করে দেবে। চলুন দেখে নেয়া যাক ওই অভ্যাস গুলো কি কি।
১) ইওর পার্সোনাল হাইজিনঃ আপনি যতই সুন্দর হোক না কেন নিজেকে যতই স্মার্ট দেখান না কেন কিন্তু আপনার শরীর থেকে যদি দুর্গন্ধ বের হয় তাহলে কেউই আপনাকে পছন্দ করবে না। কারণ আমাদের মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী একটি ইন্দ্রিয় হচ্ছে নাক।বিজ্ঞানসম্মত ভাবে এটা প্রমাণিত যে কোন মানুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার জন্য তার শরীরের গন্ধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতএব আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত শরীরের দুর্গন্ধ দূর করা এবং ভালো সুঘ্রান ব্যবহার করা।
২)রুমাল ব্যবহারঃ আমাদের প্রত্যেকের নিজের কাছে রুমাল রাখা উচিত। তার কারণ সর্দি কাশি হাঁচি এগুলো যে কোন সময় আপনার আসতেই পারে। আর সেই সময় যদি আমাদের কাছে রুমাল না থাকে তাহলে আমাদের অনিচ্ছাসত্ত্বেও হাত দিয়ে আমাদের মুখ ঢাকতে হয়।তখন সকলের সামনে আপনাকে অনেক আনস্মার্ট হয়ে যেতে হয়। অতএব সবসময় রুমাল ব্যবহার করা উচিত।
৩)পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় এবং নিজেকে গুছিয়ে রাখাঃএকটা কথা মাথায় রাখবেন, অনেক কিছু ম্যাটার করে যখন আপনার সাথে প্রথমবারের জন্য কারো পরিচয় হয়। সেই ব্যক্তিটি কিন্তু আপনার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেনা। যেমন আপনার ব্যবহার কেমন আপনি ভাল না খারাপ। আর এই কারনেই সবার প্রথমে আপনাকে যেমন দেখবে তেমনই ভাববে। সবার প্রথম লক্ষ্য করবেন আপনাকে দেখতে কেমন লাগছে। আপনার ড্রেসটা কেমন, আপনার হেয়ার স্টাইলটা কেমন, মনে হলো আপনার বাহ্যিক রূপ।তাই আপনাকে স্মার্ট হতে হলে সবার ঘরে থাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং নিজেকে গুছিয়ে রাখতে হবে।
৪)নো ইওর বাউন্ডারিঃ প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে কিছু প্রাইভেসি গোপনীয়তার রয়েছে। আর একটা সকলে খুব ভাল করেই জানে। অনেক বারই হয়েছে যে কেউ একজন তার মোবাইলে একটি পিক কাউকে দেখতে দেবে,কিন্তু পিক দেখার পর সেই ব্যক্তিটি এর আশেপাশের পিক গুলো দেখেতে শুরু করে। তাও আবার সেটা কোন রকম অনুমতি ছাড়াই। এই বাজে অভ্যাস গুলো পরিত্যাগ করতে হবে। কারো ব্যক্তিগত কোন কিছু ঘাটতে হলে অবশ্যই তার পারমিশন নিতে হবে।
৫) প্রয়োজনে অন্যের জিনিস ব্যবহার করাঃআমার পরিচিত একজন আছেন তিনি যখনই কারো গাড়ি, বাইক ব্যবহার করার জন্য নেয় প্রথমত সেই গাড়িটিকে খুব ভালোভাবে যত্নসহকারে ব্যবহার করে এবং দ্বিতীয়তো গাড়িটি ফেরত দেওয়ার সময় সেটাকে ধুয়ে-মুছে একদম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দেয় অর্থাৎ রিটার্ন করার সময় সেটিকে আরো বেটার কন্ডিশনে দেওয়ার চেষ্টা করে । অতএব আমাদের প্রত্যেকের উচিত অন্যের কোন জিনিস ব্যবহার করলে তা যত্নসহকারে ব্যবহার করা এবং সময় মত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ফেরত দেওয়া।
৬)আচরণঃআমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা নিজেদের থেকে বড়দের সঙ্গে অনেক ভালোভাবে সম্মান দিয়ে কথা বলে। কিন্তু নিজেদের থেকে ছোটদের সাথে খারাপ আচরণ করে।যার কারণে ছোটদের কাছ থেকে নিজেরাও কখনও সম্মান পায় না। আমরা একটা কথা সকলেই জানি যে সম্মান পেতে হলে সম্মান দিতে হয়। তাই ছোট হোক কিংবা বড় হোক, গরীব কিংবা বড়লোক সকলের সাথেই ভালো আচরণ করতে হবে।
৭)রেসপন্ডিং টু ইনভাইটেশনঃএকজনকে যখনই কোন পার্টির জন্য ইনভাইট করেন তখন সে মুখের উপর হ্যাঁ বলা উচিত অর্থাৎ যদি সে কোন কারনে যেতেও পারে তাহলে সে আগে থেকেই সময় থাকতে অপর জনকে বুঝিয়ে দেয় যে সে আসতে পারবে না।অর্থাৎ কাউকে মুখের উপর না বলা যাবে না। এতে অভদ্রের পরিচয় দেয়া হয়।
বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ