সিসেন্ট ও বালি দিয়ে খুব সহজে তৈরি করুন এই চুলা, বন্যা বা বৃষ্টির দিনে ভীষণ কাজে লাগবে, রইল স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদন:সিমেন্টের চুলা দেখলেই মনে পড়ে যায় গ্রামীন সৌর পল্লি কথা।বর্তমানে কমে আসছে এই সিমেন্টের চুলার ব্যবহার। শহরাঞ্চলে এ চুলার দেখা মেলে না বলেলেই চলে। তবে গ্রামাঞ্চলে এখনও বেশিরভাগ বাসায় রান্নার কাজে সিমেন্টের চুলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আবার অনেকে বাণিজ্যিকভাবেও সিমেন্টের চুলা তৈরি করে থাকেন। ইদানীং প্রায়ই শহরাঞ্চলে বিশেষ করে রাজধানীতে গ্যাসের সংকট দেখা দেয়।

কখনো কখনো গ্যাস সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এমন পরিস্থিতিতে সিমেন্টের চুলা থাকলে অন্তত না খেয়ে থাকার জোগাড় হবে না। তাই বাসাবাড়িতে একটি মাটির চুলা থাকলে সংকটের সময়টা হতে পারে স্বস্তিদায়ক। খুব সহজেই আপনি নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন সিমেন্টের চুলা। সিমেন্টের চুলা তৈরি পদ্ধতিঃসিমেন্টের চুলা অনেক ধরনের হয়ে থাকে। তবে সাধারণ চুলার চেয়ে উন্নত সিমেন্টের চুলায় অল্প জ্বালানিতে রান্না হয় এবং ধোঁয়াও কম হয়।

প্রতিটি সিমেন্টের তৈরিতে ১ হাজার টাকার কম পর্যন্ত খরচ হতে পারে। সাধারণ চুলা প্রথমে বালি , সিমেন্টও পানি দিয়ে মণ্ড তৈরি করতে হবে। থালা বা গামলার ওপর মাটির মণ্ড রেখে হাত দিয়ে ধীরে ধীরে চুলার আকৃতি ‍দিন। তারপরে জায়গা মতো মাঝ বরাবর গোল করে কেটে চুলার মুখ তৈরি করুন। আর রড বা কয়েল ব্যবহার করতে পারেন। সিমেন্টের ভেজা ভাব শুকিয়ে গেলে আপনার ইচ্ছে মতো রান্না করুন।

উন্নত চুলা আগের মতোই সিমেন্টের, সিমেন্ট ও পানি দিয়ে মণ্ড তৈরি করুন। চুলার আকার ঠিক করে ২ ভাগে ভাগ করে নিন।সিমেন্ট দিয়ে একটি অংশে ভিটি তৈরি করুন। ভিটির মাঝে ফাঁকা রাখুন। এটি হচ্ছে মুখ্য চুলা। এবার মুখ্য চুলার পাশে গৌণ চুলা তৈরি করুন, এটির গর্ত প্রথমটির চেয়ে ছোট হবে। এর ওপর সিমেন্টএর প্রলেপ দিয়ে চুলার আকৃতি দিন। 1গর্তের মাঝে একটি নালা দিন, যেন মুখ্য চুলা থেকে গৌণ চুলায় আগুন যেতে পারে।

গৌণ চুলার ভিটির ওপর পাইপ বসিয়ে দিন। যা রান্না ঘরের চালা বা ছাদ দিয়ে ধোঁয়া বাইরে বের করে দেবে। এই পাইপের মুখে একটি ছিদ্রযুক্ত টুপি লাগিয়ে দিন।এরপর তৈরিকৃত চুলা টি কয়েক দিনের জন্য শুকাতে দিতে হবে। চুলা টি শুকিয়ে গেলে টেপ দিয়ে আটকানো ফ্রম গুলো আশেপাশে থেকে ছাড়িয়ে নিতে হবে।

ফ্রম গুলো ছাড়িয়ে নেওয়া হয়ে গেলে মোড়া থেকে বালু সিমেন্টের আস্ত চুলাটি বের করার জন্য মরার মধ্যে কিছুটা গরম পানি ঢেলে দিতে হবে গরম পানি ঢেলে দিলে মোড়া থেকে আস্তে আস্তে করে আস্ত চুলাটি বেরিয়ে আসবে।
চুলাটি বেরিয়ে আসলে চুলার গায়ে থেকে একে একে সবকিছু ছাড়িয়ে নিতে হবে। চূড়াটির মাঝখান থেকে কলাগাছ কলা গাছটি বের করে নিতে হবে। এর পাশাপাশি এর এক পাশে থাকা ফ্রমের টুকরাও বের করে নিতে হবে।

সবকিছু পরিষ্কার করে না হয়ে গেলে তৈরি হয়ে যাবে আমাদের কাঙ্খিত বালু সিমেন্টের সেই চুলাটি। এত সহজ পদ্ধতিতে বালু ও সিমেন্টের চুলা টি যেকোনো সময় কাজে লাগবে। বন্যার সময় কিছু হবে না এই চুলাটির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *