গ্রামের ডোবায় চলছে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার মাঝে চলছে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা, কার আগে কে বেশি ধরবে, ইন্টারনেটে তুমুল ভাইরাল ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদন:হাঁটু কাদায় পা ডুবিয়ে, শরীরজুড়ে কাদা মেখে, কাদাজলে হাঁড়ি ভাসিয়ে অথবা কাঁধে থলি ঝুলিয়ে মাছ ধরা চিরায়ত বাঙালিয়ানা। শুকনো মৌসুমে খাল-বিল-পুকুর শুকিয়ে ধরা হয় দেশি প্রজাতির হরেক রকম মাছ।গ্রামে এখনো এ দৃশ্যের দেখা মেলে। তবে শহরের আশাপাশে দেখা মেলা ভার। সম্প্রতি এভাবে মাছ ধরার চমৎকার দৃশ্যের দেখা মিললো রাজধানীর খিলগাঁও সংলগ্ন নাগদার পাড় এলাকায়।শীতের শুরুতে বাংলাদেশের খাল-বিলের পানি শুকাতে শুরু করে।

বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় মাছ ধরা।বাংলাদেশের বিল ও হাওরাঞ্চলে বিশেষ করে এই মাছ ধরা উৎসবে পরিণত হয়। রাজধানী ঢাকার পাশ্ববর্তী নিম্নাঞ্চলেও গ্রামের মতো চলছে আনন্দে মাছ ধরা।ধরাও পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মাছ। ফলে মাছ ধরার কষ্ট ভুলে গিয়ে তাদের মুখে ফুটে উঠেছে প্রাপ্তির হাসি।কেউ ঝুড়ি, কেউ থলি নিয়ে নেমে পড়েছে মাছ ধরতে। শিশুরাও বাদ নেই এ আনন্দ থেকে। কাদাজলে শরীর ডুবিয়ে মাছ ধরছে তারা।দিনশেষে অর্জনও কম নয়। কারও ভরেছে জুড়ি,

কারও থলি।কাদামাখা মাছে যখন পানি ঢালা হলো তখন চকচক করে উঠলো মাছগুলোর শরীর।চক চক করে উঠলো মাছ ধরতে যাওয়া সবার চোখ-মুখও। হবেই বা না কেন! শোল, টাকি, পুঁটি, গচি, মলা, কই, শিং প্রভৃতি দেশি সুস্বাদু মাছে থলে ভরলে কার না মন ভালো হয়ে যায়!মাছ ধরা হলো শখের কাজ এবং সৌখিনতার কাজ। তাছাড়া যে সকল ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করে মাছ ধরতে পারে এবং মাছ ধরার পর মাছ ধরার ক্ষেত্রে যা আনন্দ পাওয়া যায় তা হয়তো তার অনেক মানসিক প্রশান্ত এনে দেয়।

তাই আপনার আশেপাশে যদি কেউ মাছ ধরে অথবা আপনি নিজে যদি মাছ ধরতে পছন্দ করেন তাহলে সেই মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে যখন ফেসবুকে পোস্ট করবেন তখন সেই পোস্ট সম্পর্কিত ক্যাপশন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।মানুষের শখের কোন শেষ নেই এবং মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় বলে সব সময় নিজের পছন্দের কাজগুলো করার চেষ্টা করে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে বাস্তবতার কারণে সৌখিনতা বিপর্যস্ত হয়।

তবে যাই হয়ে থাকুক না কেন আপনারা যারা মাছ ধরতে পছন্দ করেন এবং অবসর সময়ে মাছ ধরার যে নেশা সেটি আপনাকে পেয়ে থাকলে মাছ ধরবেন এবং মনের মধ্যে কোন ধরনের চাপ সৃষ্টি করার কোন দরকার নেই।গ্রামীণ পরিবেশে আপনি যখন একটি নালা তে অথবা ডোবাতে মাছ ধরবেন তখন সেখানকার একটি ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করলে একটা ক্যাপশন দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে।

অনেক মানুষ আছেন যারা নিজেদের মতো করে ক্যাপশন তৈরি করে নেন এবং অনেক মানুষ আছেন যারা ক্যাপশন তৈরি করতে গিয়ে বাংলা টাইপ করতে পারেন না অথবা নিজেদের মতো করে লিখতে পারেন না।অবশেষে দেখা গেল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মাছ ধরার প্রতিযোগিতা জয়লাভ করেন আর্জেন্টিনা। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ পেয়েছেন আর্জেন্টিনার সাপোর্টার জেলে মেসি ।জেলে মেসিকে নগদ 1,000 টাকা পুরস্কার করা হয়। পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়েই সমাপ্ত হয়ে গেল মাছ ধরার প্রতিযোগিতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *