ফুটবল ইতিহাসে এমন ১০ টি জাদুকরি কর্নার কিক। যা চিরকাল মনে রাখবে ফুটবল বিশ্ব। তুমুল ভাইরাল ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদন:পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ফুটবল। পৃথিবীর ১৯৫ টি দেশে ফুটবল খেলা রয়েছে।আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হয়তো প্রত্যেকটি দেশ অংশগ্রহণ করতে পারেনা। কিন্তু মাঠে-ঘাটে পথে প্রান্তে কোন দেশেই বসে নেই ফুটবল খেলা। প্রতি বিশ্বকাপের সময় পুরো পৃথিবী জুড়েই বয়ে যায় উত্তেজনার ঢেউ। আর বাংলাদেশের কথা হয়তো না বললেই চলবে।

নানা রঙ্গের পতাকার মিছিলে বাঙ্গালীদের উন্মাদনা দেখলে মনে হয় বিশ্বকাপ যেন বাংলাদেশে হচ্ছে। মোটকথা খেলাটা বিশ্বকাপ অথবা কোপা আমেরিকা অর্থাৎ ইউরোপ আমেরিকা যে খেলাই হোক না কেন পরিবারের সাথে লাইভ ম্যাচ দেখে আনন্দ উপভোগ করতে চায় সকল বাঙালি। কিন্তু ফুটবল খেলার মজা তখন এই পাওয়া যায় না যখন ফুটবল খেলা সম্পর্কে কিছু না জানা থাকে। তাইতো ফুটবল সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে রাখতে হয়।

তার মধ্যে একটি অন্যতম নিয়ম হলো কর্নার কিক।প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রা কখন কর্নার কিক পেয়ে যান সে সম্পর্কে অবশ্যই দর্শকদের জানা থাকতে হবে। আর ঠিক সেই কর্নার কিক করে অবাক করে দিয়েছেন এই রকম ১০ জন খেলোয়াড় রয়েছে। যাদের পায়ে রয়েছে জাদু। উড়ন্ত কর্নার কিকের মাধ্যমে প্রতিপক্ষ দলের জালের ভিতরে বল ঢুকিয়ে দিয়েছেন খেলোয়াড়রা।

তাই সেই ১০ জন বিখ্যাত খেলোয়াড়ের কর্নার কেক দেখতে পুরো ভিডিওটি না টেনে দেখার জন্য অনুরোধ রইল।শুধু নিজেদের পায়ে বেশিক্ষণ বল রাখা বা পাস খেলাই নয়, ফুটবল এখন অনেক বেশি আধুনিক। সেখানে বল নিয়ন্ত্রণ যতটা গুরুত্ব পাচ্ছে, ততটাই গুরুত্ব রয়েছে ফ্রিকিক বা কর্নার কিকের। ফুটবলের পরিভাষায় একে বলে ‘ডেড বল সিচুয়েশন’। এখন বিশ্বের প্রায় সব দলেই ‘সেট পিস’ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন,

যাদের কাজ হচ্ছে ‘সেট পিস’ থেকে কী করে গোল করা যায়, তার পথ দেখানো। শুরুটা হয়েছে ক্লাব ফুটবল থেকে। ধীরে ধীরে ফুটবলে তা ছড়িয়ে পড়েছে।বর্তমান সময়ের সর্বাধিক জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ফুটবল। প্রাচীন চীনে খ্রিষ্ট পূর্ব ৪৭৬- ২২১ পর্যন্ত এক ধরনের খেলার প্রচলন ছিল, যার নাম ছিল কুজু। কাপড়ে দিয়ে তৈরি গোলাকার বলের মত মোড়ান বস্তু পায়ের মাধ্যমে লাথি মেরে খেলা হত।

সৈনিকেরা দেহ সবল রাখার জন্য কুজু খেলত। রোম সাম্রাজ্যেও এ ধরনের খেলার প্রচলন ছিল বলে ধারনা পাওয়া যায়।পরর্বতীকালে, ১৮৬৩ সালে ব্রিটেনে আধুনিক ফুটবলের রুপায়ন ঘটে এবং ফুটবল এসোসিয়েশন গঠিত হয়। ফুটবল এসোসিয়েশনের কর্তা ব্যক্তিরাই সর্ব প্রথম ফুটবল খেলার নিয়ম লিপিবদ্ধ করে যার ধারাবাহিকতায় আগমন ঘটে আজকের আধুনিক ফুটবল। ফুটবলকে আমেরিকাতে সকার বলে অভিহিত করা হয়।

কর্নার কিক হলো অ্যাসোসিয়েশন ফুটবলে একটি খেলা পুনরায় আরম্ভ করার পদ্ধতি যখন বলটি গোল লাইনের ওপরে চলে যায় এবং কোনও গোল না করে শেষদিকে ডিফেন্ডিং দলের কোন সদস্যকে ছুঁয়ে যায় তখন কিকটি খেলার মাঠের প্রান্ত থেকে নেওয়া হয়, যেখান দিয়ে এটি বাইরে গিয়েছিল।বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার ম্যাচে কর্নার নিতে দাঁড়িয়েছিলেন রদ্রিগো। প্রথমে মনে করা হয়েছিল বক্সে বল ভাসাবেন।

কিন্তু রদ্রিগো তা করেননি। পাস দেন মেসিকে। মেসি বল বাড়ান এনজো ফার্নান্দেসকে। ফার্নান্দেস দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল লক্ষ্য করে বাঁকানো শট নেন। মেক্সিকোর গোলরক্ষক ওচোয়াকে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে যায়। ওই গোল আর্জেন্টিনার জয় নিশ্চিত করে।অনেকেই ভেবেছিলেন আর্জেন্টিনার এই গোল তাৎক্ষণিক বুদ্ধির ফলে হয়েছে। কিন্তু আর্জেন্টিনার ডাগআউটে বসে থাকা স্টুয়ার্ট রিড তা ভাবেননি।

তিনি জানতেন, সেটি গোল হবেই। রিড হলেন পেশায় সেট পিস বিশেষজ্ঞ। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত তিনি। হয়তো বিশ্বের সবার চেয়ে বেশি কর্নার কিক দেখেছেন তিনি। একদিনেই কয়েক হাজার কর্নার কিক দেখেন। প্রতিটির ব্যাপারে আলাদা করে তথ্য লিখে নেন নোটবুকে। পরে নিজের সুবিধামতো সেগুলোকে নিজের দলের হয়ে কাজে লাগান। অবশ্যই তার মধ্যে নিজের বুদ্ধি মিশে থাকে। কোনোটি সফল হয়, কোনোটি হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *