দেশের শেষ রেলস্টেশন, যেখান থেকে পায়ে হেঁটে বিদেশে যাওয়া যায়, বহু বছর পর চলল ট্রেন

আপনি কি জানেন ভারতবর্ষে এমন অনেক জায়গা আছে যেখান থেকে পায়ে হেঁটে বিদেশে যাওয়া যায়। এগুলো হলো সীমান্তবর্তী এলাকা যেখান থেকে আপনি স্বছন্দে পায়ে হেঁটেই বিদেশীদের কাছে পৌঁছে যাবেন। জানিয়ে রাখি, উত্তরখণ্ডের বদ্রীনাথ ধাম সংলগ্ন মানা গ্রাম এবং উত্তর-পূর্বের একটি গ্রামকে দেশের শেষ গ্রাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

কিন্তু এই প্রতিবেদনে আমরা দেশের শেষ রেলস্টেশন গুলির কথা বলছি যার একটি বিহারের আরারিয়া জেলায়, অন্যটি পশ্চিমবঙ্গে। বিহারের আরারিয়ার জোগবানি স্টেশনটিকে দেশের শেষ রেলওয়ে স্টেশন হিসেবে বিবেচনা করা হয় কারণ এখান থেকে নেমে আপনি পায়ে হেঁটে নেপালে প্রবেশ করতে পারেন।

একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের সিংহবাদ স্টেশনটিও দেশের শেষ রেলস্টেশন।স্বাধীনতার পর যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্তি হয় ঠিক তারপর স্টেশনটি জনশূন্য হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ১৯৭৮ সাল থেকে এই রুটে পণ্যবাহী ট্রেনের চলাচল শুরু হয়েছিল। এই রেলগাড়ি গাড়ি গুলি সাধারণত ভারত থেকে বাংলাদেশে যাতায়াত করত। এরপর ২০১১ সালের নভেম্বরে পুরানো চুক্তিটি সংশোধন করা হয়েছিল এবং নেপালকে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

যার পর এখন নেপালগামী ট্রেনও এই স্টেশন থেকে যেতে শুরু করেছে।পশ্চিমবঙ্গের সিংহবাদ রেলওয়ে স্টেশনটি বাংলাদেশের এত কাছে যে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে গেলেই ওপার বাংলায় চলে যাওয়া যায়। এখান থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস নামে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেনও চলাচল করে। এই ট্রেনগুলি রোহনপুর হয়ে বাংলাদেশ যায়। আগে এই স্টেশনটি কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে ট্রেন সংযোগের জন্য ব্যবহৃত হত।

সিংহবাদ স্টেশনটি অনেক পুরনো স্টেশন। এই স্টেশনের সিগরাল, যোগাযোগ এবং স্টেশন সম্পর্কিত সরঞ্জাম সবকিছুই ব্রিটিশ আমলের। কার্ডবোর্ডের টিকিট এখনও এখানে রাখা আছে যা এখন আর কোথাও দেখা যায় না। এমনকি স্টেশনের টেলিফোনটিও ব্রিটিশ যুগের। আর এখানে সংকেতের জন্য শুধুমাত্র হ্যান্ড গিয়ার ব্যবহার করা হয়। আর এখানে নাম মাত্র কিছু কর্মচারী রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *