নিজস্ব প্রতিবেদন:পাখি পালন করে স্বাবলম্বি হচ্ছেন শিক্ষিত যুবকেরা। খামারে রয়েছে বাজরিগা, কালিম, অস্ট্রেলিয়ান ঘুঘু, লাভবার্ড, ফিন্স, জাভাসহ নানান প্রজাতির পাখি।অনেকে পুষছেন লাক্ষা, সিরাজী, বল, মুখখি, গিরিবাজসহ বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর। শহরে পাখি বিক্রির জন্য সপ্তাহে ১ দিন বসে হাট। এই সময়েও প্রতিমাসে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার পাখি।পাখি খামারী জানান,
প্রথমে আমি একজোড়া পাখি দিয়ে শুরু করি। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে কালেকশন করে পাখি বাড়াতে থাকি। বর্তমানে ১ লাখ টাকার মতো পাখি আছে আমার এই খামারে। এই সময়ে আমি পঞ্চাশ থেকে ৬০ হাজার টাকা পাখি বিক্রি করে পেয়েছি।অন্য আরেক খামারী জানান, প্রথমে পাঁচ-ছয় জোড়া কবুতর দিয়ে শুরু করি। তো এখন বিশ-পঁচিশ জোড়া কবুতর আছে। মাঝখানে প্রায় ৫০ হাজার টাকার কবুতর বিক্রি করেছি।
লাভজনক এই পাখি পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেকে।আগ্রহী উদ্যোক্তারা জানান, অন্যদের পাখি পালন দেখে আমার আগ্রহ জাগে। তারপর তাদের কাছ থেকে পাখি নিয়ে আমি শুরু করি। আশা করি, তাদের মতোই আমিও লাভবান হতে পারবো।স্থানীয় প্রশাসন বলছে, তরুণ এসব উদ্যোক্তাদের দেয়া হবে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা।ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন,
তরুণ উদ্যোগক্তাদের অনুরোধ করবো যাদের আর্থিক সহায়তা দরকার, তারা যেন সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগের সাথে অথবা সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করেন। যাতে করে তাদেরকে আমরা পৃষ্ঠপোষকতার আওতায় নিয়ে আসতে পারি।এই ধরনের উদ্যোগ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে কমবে বেকারত্ব। কিছুদিন আগে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যায়।
একটি যুবক টিয়া পাখির মত বিভিন্ন প্রজাতির পাখিগুলোকে পোষ মানাচ্ছে তার কথামতো পাখিগুলো খাওয়া-দাওয়া করছে তার সকল কমান্ড মেনে চলছে আমরা শুধু জানতাম শালিক এবং টিয়া পাখি মানুষের পোষ মানে কিন্তু এই ভিডিওর মাধ্যমে দেখতে পারলাম টিয়াপাখি শালিক ছাড়াও অন্যান্য পাখিরাও মানুষের কাছে পোষ মানাচ্ছে।শালিকের মত আরো অনেক পাখি আছে যারা পোষ মানে এবং এক সময় কথাও বলতে পারে।
যেমন:টিয়া, ময়না, কাকাতুয়া।এরা মানুষের আশেপাশে থাকতে থাকতে এক সময় মানুষের চালচলন ও কথা বার্তা রপ্ত করতে শুরু করে।বর্তমানে পৃথিবীতে পোষা প্রাণী চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে পোষা প্রাণী গুলোর দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশের চাইতে বহির্বিশ্বের এই পোষা প্রাণী এগুলোর চাহিদা আরো অনেক বেশি। এবং সেখানে এর দামও অনেক বেশি।
অন্যান্য পাখিগুলো সচরাচর না পাওয়া গেলেও শালিক কিন্তু আমাদের দেশে সচরাচর সব জায়গাতেই মিলে।এবং এই শালিক পাখি পালন করাও খুব সহজ। শালিক পালন করতে বাড়তি খরচ কম লাগে কেননা সচরাচর আমরা যা খাই শালীকেও কিন্তু তা খাওয়ানো যায়।তবে প্রথম প্রথম সকল ধরনের খাবার খাওয়ানো যাবে না, তাকে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত করে নিতে হবে।
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে শালিক পাখিটি বিভিন্ন কথা বলার চেষ্টা করছে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গি দেখিয়ে সবাইকে বিনোদন দিচ্ছে।পোষ মানা শালিক বাড়িতে মুক্ত ভাবে বসবাস করতে পারে। কেননা তাকে ছেড়ে দিলে সে ঘুরেফিরে বাড়িতে চলে আসবে। এক সময় মনে হবে শালিক টি যেন পরিবারের একজন সদস্য।মানুষের সাথে পোষা প্রাণীর বন্ধন আদিমকাল থেকে ধারাবাহিক ভাবে চলে এসেছে।
তা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাখি সহ বিভিন্ন বন্য জীবজন্তুর চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। শালিকটি কিভাবে কথা বলে তা দেখতে না টেনে পুরু ভিডিটি দেখার জন্য অনুরুধ রইলো।