গাছের গোড়ায় ন্যাপথলিন দিলে ঘটে আশ্চর্য এক ঘটনা? যুবকের এমন আবিষ্কার তুমুল ভাইরাল ইন্টারনেটে। তুমুল ভাইরাল ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদন:ন্যাপথলিন একটি জৈব-রাসায়নিক বস্তু। বাজারে দুই ধরণের ন্যাপথলিন বা কর্পূর পাওয়া যায়। একটি কর্পূর গুল্ম থেকে পাওয়া যায় এবং অন্যটি কৃত্রিমভাবে তৈরি হয়। সাধারণত হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজায় কৃত্রিমভাবে তৈরি কর্পূর ব্যবহার করা হয় এবং এডিবল কর্পূর মিষ্টি খাবারে সুগন্ধ সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হয়।

বর্ষা বাদলার দিন থেকে শুরু করে বছরের পুরোটা সময় জুড়েই কিন্তু ন্যাপথলিন বা কর্পূরের উপর আমরা বেশ নির্ভরশীল। ন্যাপথলিন বা কর্পূরের উপকারিতা ও নানাবিধ ব্যবহার সম্পর্কে চলুন ঝটপট জেনে নিই -আমরা অনেকেই বাড়িতে গাছ লাগাতে পছন্দ করি। কিন্তু অনেক সময় গাছে পোকামাকড় আক্রমন করে। বিশেষ করে মিলিবাগ পোকা গাছকে মেরে ফেলে। অনেক সময় ফল ছোট অবস্থাতে নষ্ট হয়ে যায়।

গাছকে এই সমস্ত পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচাতে কীটনাশক দরকার। ন্যাপথলিন দিয়ে আপনি সহজেই কীটনাশক তৈরি করে ফেলতে পারবেন।ন্যাপথলিন গুঁড়ো করে দেড় চামচ জলের ভালো করে গুলে নিন। এরসাথে ৩ চামচ ভিনিগার দিয়ে ২-৩ মিনিট ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এর ফলে ন্যাপথলিনের গন্ধ চলে যায়। এর সঙ্গে ১ চা চামচ হ্যান্ডওয়াশ বা ডিটারজেন্ট মিশিয়ে নিন।

এর সঙ্গে ১/২ লিটার জল ও ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এতে ছত্রাকের আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। এটা না দিলে আপনার কীটনাশক গাছের ক্ষতি করতে পারে। দ্রবণটিকে ৫-১০ ঘন্টা রেখে দিন।১০ ঘণ্টা পর দ্রবণটি পাতলা কাপড় বা ভালো ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। এই দ্রবণ সরাসরি গাছের প্রয়োগ করা যাবে না। দ্রবণটির সঙ্গে ১/২ লিটার জল মিশিয়ে নিন।

এইবার এটা গাছে দেওয়ার জন্য তৈরি।এই কীটনাশক গাছের গোড়ায় দেবেন না। গোড়া থেকে একফুট দূরে মাটিতে দেওয়া যেতে পারে। নাহলে গাছের উপদ্রুত জায়গায় স্প্রে করতে পারেন। বিকেলের দিকে স্প্রে করাই ভালো।বিকেলের দিকে পোকার আক্রমণ বেশি হয়। তাছাড়া বিকেলে দিলে সারারাত এটা গাছের ওপর কাজ করে।

এইভাবে ব্যবহার করলে গাছের পাতা কুঁকড়ে যাওয়া, ফল পচে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।ছারপোকা তাড়াতে কর্পূর অত্যন্ত কার্যকরী।ছারপোকার সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য বিছানার চাদর ধুয়ে ফেলুন। তোষক ও জাজিম বা মেট্রেস রোদে শুকাতে দিন। তারপর একটি বড় কর্পূরের টুকরো মসলিন ব্যাগে ঢুকিয়ে বিছানা ও মেট্রেসের মাঝামাঝি স্থানে রেখে দিন।

এতে বিছানা থেকে ছারপোকা দূর হবে এবং পরবর্তী আক্রমণ থেকেও রক্ষা করবে।এখনকার দিনে অনেকেই বাগান করতে আগ্রহী। অত বড় না হোক, ছোটই সই। বেলকনিতে, ছাদ, বারান্দা ছাড়াও অনেকে এখন ইনডোর প্ল্যান্টও লাগিয়ে থাকেন। তো এই গাছ লাগিয়ে সার আর পানি দিলেই শুধু হয়ে যায় না, খেয়াল রাখতে হয় পিঁপড়া ও পোকামাকড়ের দিকেও।

দুই-চারটা গাছ লাগাতেই দেখা যায় পিঁপড়ে, শুঁয়োপোকা, জাব পোকা, মিলিবাগ, ছোট শামুক এসবের অাক্রমন।ফলে গাছ যায় মরে, তখন মন খারাপ করে বসে থাকা ছাড়া উপায় থাকে না। আর এই গাছ লাগানোর ইচ্ছেটাও যায় মরে। সঠিক দমন ব্যবস্থা কিংবা পরিচর্যা জানা না থাকার কারনে শখের গাছ টিকিয়ে রাখতে পারেন না অনেকেই।আবার কীটনাশকের ক্ষতির কথা ভেবে এসব রাসায়নিক পদার্থও ব্যবহার করতে চান না।

তাই আপনাদের জন্য রইলো কিছু ঘরোয়া উপায়। বাসায় থাকা উপাদানগুলোকে ব্যবহার করতে পারেন কীটনাশক হিসেবে, যা পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করবে আপনার শখের গাছটিকে।বাগানে পোকার আক্রমন দমনের দশটি ঘরোয়া উপায়ঃ ১. লেবুগাছে পোকা-মাকড় বা পিঁপড়ার আক্রমন কমাতে গাছের পাতা ও ডালে দুই-তিন দিন পরপর লেবুর রসের সাথে পানি মিশিয়ে স্প্রে করুন।

যদি পোকা বা পিঁপড়া গাছে আক্রমন করে ফেলে, সেক্ষেত্রে আক্রমন স্থলে প্রতিদিন লেবুর রসের সাথে পানি মিশিয়ে স্প্রে করুন। লেবুর খোসা ব্লেন্ড করে বা শুকিয়ে টবে বা গাছের গোড়ার মাটিতে ফেলে রাখলেও পিঁপড়ার আক্রমন কম হয়।পাতা খাওয়া পোকা-মাকড়, শুঁয়োপোকা এসব থেকে গাছকে রক্ষা করতে সামান্য পানিতে ডিটারজেন্ট ভালোভাবে গুলিয়ে নিয়ে গাছের পাতায় স্প্রে করুন।সম্ভব হলে বিকেলের দিকে গাছে ডিটারজেন্ট পানি স্প্রে করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *