নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমান জেনারেশনের ইয়াংয়ের মধ্যে সবচাইতে আকর্ষণের ব্যাপার হচ্ছে বাইক। বিশেষ করে ইয়াংরা বাইকের প্রতি অধিক হাড়ে আসক্ত। ইয়ামাহা r15 এ বাইকটি 155 সিসির বাইক। এ বাইকটি 155cc হওয়া সত্ত্বেও অন্য একটি দেড়শ কিংবা 160 সিসি বাইকের চেয়ে দ্বিগুণ দাম। কিন্তু কেন এর মধ্যে কি এমন আছে যার জন্য এর দাম এত বেশি। এই বাইক টি কি একটি সাধারণ দেড়শ সিসি বাইকের মত নাকি এরমধ্যে অসাধারণ কিছু রয়েছে।
আর যদি একস্ট্রা কিছু থেকে থাকে তাহলে কি এমন একটা জিনিস আছে যে যার জন্য দাম এর দ্বিগুণ হবে। আজকের এই ভিডিওটিতে ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। ইয়ামাহা কোম্পানি 2008 সালে r15 বাইকটি সর্বপ্রথম বাজারের লঞ্চ করে ।এই বাইকটি লঞ্চ করার পেছনে কোম্পানির লক্ষ্য ছিল কম দামে সবাই একটি ফোর্স বাইক কিনতে পারে। তারপর 2012 সালে কোম্পানিটি r15 এর দ্বিতীয় মডেলটি বাজারে লঞ্চ করে।
যেটাকে আমরা ভার্সন টু নামে জানি।কিন্তু এই বাইক টিতে একটি সমস্যা লক্ষ্য করা যায় যে এর পেছনের সিট অনেক উঁচুতে। তারপর 2015 সালের ভার্সন টু এর মত করে আরেকটি মডেল বাজারে লঞ্চ করে যার মধ্যে শুধু সিটের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তারপর 2017 সালে কোম্পানিটি r15 এর ভার্শন 3 বাজারে লঞ্চ করে। যেটা বর্তমান বাজারে এখনও চলছে। আজকের এই ভিডিওটিকে ইয়ামাহা r15 বাসন্তী সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
দেখব এই বাইকটিতে এমন কি কি টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে যা একটি অন্য কোম্পানির দেড়শ সিসি বাইক এর মধ্যে থাকেনা।এই বাইকের মধ্যে রয়েছে 155cc সিলিন্ডারের একটি ইঞ্জিন। এর ম্যাক্সিমাম পাওয়ার হচ্ছে 18.3 বিএইচপি এবং ম্যাক্সিমাম টর্ক হচ্ছে 14.1 নিউটন মিটার। এখন আমরা জানবো এ বাইকটির মধ্যে কি কি টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে।
লিকুইড কুলিং সিস্টেমঃ আপনি যদি বাইকের কুলিং সিস্টেম সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই এটা জানেন যে সর্বোচ্চ উন্নত প্রযুক্তিতে কুলিং সিস্টেম হচ্ছে এই লিকুইড কুলিং সিস্টেম। বেশি আর পি এম এ ইঞ্জিন চললে খুব তাড়াতাড়ি গরম হয় এবং তাকে খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করতে হয়। আর খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করতে শুধুমাত্র লিকুইড কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।
ভি ভি এ টেকনোলজিঃ এই বাইকটিতে ভি ভি এ টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে।যার পুরো অর্থ হচ্ছে ভেরিয়েবল ভেল্ব একচুয়েশন। এই টেকনোলজি বাইকের পারফরমেন্সকে অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়। সিক্স স্পিড গিয়ার বক্সঃ এই বাইকটি 6টি গেয়ার ব্যবহার করা হয়েছে। যেটা অন্য কোনো সাধারণ বাইকের মধ্যে থাকে না। যার কারণে এই বাইকের টর্ক স্পিড সবচাইতে বেশি পাওয়া যায়।
স্লিপার ক্লাচঃ ক্লিপার ক্লাচ থাকার ফলে যদি আপনি কখনো বেশি স্পিডে ক্লাচ না ধরে গিয়ার চাপেন তাহলে এতে কোন প্রকার স্পিডের হঠাৎ করে বৃদ্ধি বা কমে যাবে না। এতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকেনা। এছাড়াও আরও বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এই বাইকটিতে। বর্তমানে ইউটিউব কিংবা বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে বাইক সম্পর্কে আরও বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। ইয়ামাহা r15 বাইকটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ ভিডিওটি দেখতে পারেন।
বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ