নিজস্ব প্রতিবেদন: মানুষ ও অন্যান্য প্রানীদের মাঝে সখ্যতা আদিকাল থেকেই। মানুষ তার প্রয়োজনে বা শখের বসে বিভিন্ন প্রানীকে বশ করে তার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। আমাদের চির পরিচত গৃহপালিত প্রানীগুলোও অনেক বছর আগে ছিলো বন্য প্রানী। মানুষ তার নিজের প্রয়োজনের এসব প্রানীর সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে।তবে মাঝে মাঝে সবকিছুর বাইরে গিয়ে আমরা দেখতে পাই বন্যপ্রানীর সাথে মানুষের সখ্যতা।
বন্যপ্রানীরা সাধারণত আচরনের দিক থেকে কিছুটা হিংস্র হয়। তবে মাঝে মাঝে আমরা দেখতে পাই বন্য প্রানীর সাথে মানুষের সখ্যতা। আচরনে হিংস্রতা থাকলেও নানাভাবে কিছু সাহসী মানুষের সাথে গড়ে ওঠে বন্য প্রানীর নিবিড় সম্পর্ক। সখ্যতা বাড়ার সাথে সাথে এসব বন্যপ্রানী মানব পরিবারেরই বেড়ে ওঠে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মতোই বসবাস করতে থাকে।
দৈনিক খবরের কাগজে আমরা বন্য প্রানীর হাতে মানুষের মৃত্যু এই ধরনের খবর দেখতে পাই। পূর্ন বয়স্ক বন্য প্রানীরা আচরনে এতো হিংস্র হয় যে এদের এলাকাতে কারো প্রবেশ এরা সহ্য করেনা। এদের কিছু সংখ্যক শিকার করে নিজের পেট ভরানোর জন্য এবং বাকিরা শিকার করে নিজের এলাকা সুরক্ষিত করার জন্য ও নিজের ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য।
মাঝে মাঝে প্রাকৃতিক বা মানসৃষ্ট কারনে অনেক বন্য প্রজাতির শিশু তাদের মা বাবা থেকে আলাদা হয়ে লোকালয়ে চলে আসে। এসময় তাদের মাঝে হিংস্রতা থাকেনা বলে কিছু সাহসী মানুষ এদেরকে পরিবারের সদস্য হিসেবে পালন করতে থাকে। লোকালয়ে পালিত হবার কারনে এসব প্রানী আস্তে আস্তে নিজের বন্যতা হারিয়ে ফেলে লোকালয়ে সবার সাথে বসবাস করতে শুরু করে।
সম্প্রতি এমনি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে একটি কচ্ছপের। ভারতের পশ্চিম বঙ্গের একটি এলাকায় দিলীপ দাস নামে একটি ব্যক্তি স্নান করতে গিয়ে কুড়িয়ে পায় একটি শিশু কচ্ছপ। কচ্ছপটিকে সে ম্যাচবাক্সে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেই থেকে কচ্ছপটি দাস পরিবারেরই একজন হয়ে বেড়ে উঠতে থাকে। দিলীপ দাসের স্ত্রী কচ্ছপটির নাম রাখেন কালি। এখন পুকুর পাড়ে গিয়ে কালী নামে ডাকলেই উঠে আসে ৪০ বছর বয়সী কচ্ছপটি।
এলাকার লোকজন সবাই কালীকে অনেক ভালোবাসে। খাবার সময় হলে দিলীপ দাসের স্ত্রী পুকুর পাড়ে এসে কালী বলে ডাক দিলেই কচ্ছপটি পুকুর থেকে উটে এসে খাবার খায়। কালীর প্রতি দাস পরিবারের এই ভালোবাসা মহূর্তেই ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে যায়। মানুষ ভিডিওটি খুব পছন্দ করতে শুরু করে এবং অনেকে ঘটনাস্হলে গিয়ে কচ্ছপটিকে দেখে আসে।