দারিদ্রতা মানুষের জীবনের চরম মুহুর্ত এনে দেয়। আমি দারিদ্রতা দূর করার জন্য মানুষ কতই না পরিশ্রম করে। দু’মুঠো খাবার জন্য মানুষ প্রচুর পরিমাণে কষ্ট করে। পেয়ে কষ্ট অট্টালিকার পাস করা মানুষগুলো মর্ম বুঝবে না। আমাদের দেশে এমন অনেক দরিদ্র মানুষ আছে যারা না খেয়ে দিন কাটাই।
তাদের কষ্টের কথা শুনলে মনে হয় যেন আমি কোথায় আছি? আমি কোন তাদের সাহায্যে দুহাত বাড়িয়ে দিচ্ছি না। এই দরিদ্র মানুষগুলোর টাকা না থাকতে পারে কিন্তু তাদের আত্মসম্মান আকাশ চুম্বী। তারা দুমুঠো না খেয়ে থাকলেও আপনার কাছে হাত পাতবে না কিন্তু তারা কাজ করার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে।
তাই তারা কাজের সন্ধানে বিভিন্ন উপায় খুঁজে বেড়ায়। ঠিক তেমনই একজন ব্যক্তি তার মধুময় গলার সুর দিয়ে গান করে উপার্জন করছে দুমুঠো খাবারের জন্য। তার গানের সুরে পাগল পুরো নেটদুনিয়া। প্রসংশায় ভাসাচ্ছেন তাকে। ভিডিওটিতে বৃদ্ধের এই অসাধারণ গান শুনে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার দর্শকরা।
শুধুমাত্র হারমোনিয়াম এর সাহায্যে এত দুর্দান্তভাবে গান গেয়েছেন যা শ্রোেতাদের মন কাড়ারই কথা। লোকটি প্রতিবন্ধি হয়েও যে গান করে সংসার চালচ্ছেন তা দেখে স্যালুট জানাচ্ছেন অনেকে। গানের প্রত্যেকটি লাইন এত সুন্দর ভাবে গিয়েছেন যার কোন প্রশংসা হয় না। একেবারেই অসম্ভব। অনুরাগীরা সব দারুন দারুন কমেন্ট করে কমেন্ট বক্স পুরো ভরিয়ে দিয়েছে।
দাদুর এই অসাধারন ভিডিওটি Color Photography নামক ইউটিউব চ্যানেল এ প্রায় ৩ বছর আগে আপলোড হয়। ভিডিটির বর্তমান ভিউস সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ছাড়িয়েছে।
বৃদ্ধ লোকটি সারাদিনের গান গেয়ে যা সম্মানী পায় তা দিয়ে তাদের সংসার চলে। এ যেন এক বাস্তবতার নির্মম পরিহাস। আমরা অট্টালিকায় থাকার মানুষগুলো বাস্তবতার কখনো উপলব্ধি করতে পারবোনা। কারণ আমরা যে জন্যই সবকিছু তৈরি পেয়েছি কিন্তু দরিদ্র পরিবার কতই না কষ্ট করে মুখে অন্ন তুলে।
তাদের হয়তো প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা নেই। তবে তারা মানুষ হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষিত লোকের চেয়ে অনেক বড় মনের মানুষ। তারা আর কিছু নাই জানুক দায়িত্ব নিতে জানে, সম্মান করতে পারে, শ্রদ্ধা করতে পারে।
আপনাদের দেখার সুবিধার্থে ভিডিওটি নিচে দেওয়া হলোঃ