সমুদ্রে তিন বন্ধু মিলে গিয়েছিল হাঙর শিকার করতে, উল্টো ২ বন্ধু গেল হাঙরের পেটে তুমুল যুদ্ধ করে বেচে ফিরলেন একজন, তুমুল ভাইরাল ভিডিও।

নিজস্ব প্রতিবেদন: আজকের এই ভিডিওটিতে একটি মাছ ধরার চিত্র ধারণ করা হয়েছে। যেখানে তিনজন বন্ধু একটি নৌকা নিয়ে মাঝ সমুদ্রে চলে যায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিশাল আকৃতির হাঙ্গর শিকার করা। বর্তমানে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সামুদ্রিক বিভিন্ন দানবাকৃতির প্রাণীকে ধরা হয়। তারা এই বিভিন্ন দানবাকৃতির মাছগুলোকে ধরতে বিভিন্ন রকম টেকনোলজি ব্যবহার করে থাকে। কেননা এ দানবাকৃতির ভয়ঙ্কর মাছগুলো খুব হিংস্র এবং আক্রমণাত্মক হয়ে থাকে।

তাই এদেরকে ধরার জন্য বিভিন্ন রকম টেকনোলজি ব্যবহার করা হয় কেননা এদেরকে সাধারণভাবে ধরতে গেলে বিভিন্ন বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। এবং এতে প্রাণ হারানোর ভয় থাকে। তাই আগের ধরতে বিভিন্ন রকম কৌশল ব্যবহার করা হয়। এই দানব আকৃতির প্রাণী গুলোর তুলনায় মানুষ অনেক দুর্বল একটি প্রাণী। কিন্তু বুদ্ধির দিক দিয়ে মানুষ অনেক শক্তিশালী প্রাণী। দানব আকৃতির মাছগুলোকে ঘায়েল করার জন্য বিভিন্ন রকম কৌশল অবলম্বন করে এদেরকে ফাঁদে ফেলা হয়।

ভিডিওটিতে দীনবন্ধু একটি মাঝারি আকারের নৌকা নিয়ে মাঝ সমুদ্রে যায়। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশালাকৃতির হাঙ্গর ধরা।হাঙ্গর একটি মাংসাশী প্রাণী। বিভিন্ন রকম ছোট বড় মাছ খেয়ে তারা জীবন ধারণ করে। রক্তের গন্ধ পেলে হাঙ্গরের মাথা ঠিক থাকেনা। প্রতিবছর অনেক জেলে হাঙ্গরের পেটে চলে যায়। তাই এই ধরনের হাঙ্গর ধরতে গেলে খুব বেশি পরিমাণে সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়।

তারা হাঙ্গরটি ধরার জন্য বিশেষ এক ধরনের খাঁচার ব্যবহার করে। লোহার তৈরি এক বিশাল আকৃতির খাঁচার ভিতরে এক বন্ধু প্রবেশ করে এবং এর দরজা শক্তভাবে লাগিয়ে দেওয়া হয়। সে বড় হাঙ্গরটিকে ঘায়েল করার জন্য চেতনানাশক একটি বড় ইনজেকশন নিয়ে যায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল যখন পানির নিচে হাঙ্গর কি তাকে খেতে আসবে তখন ওই ইনজেকশনের মাধ্যমে হাঙ্গরটিকে ঘায়েল করবে।

খাঁচাটির দরজা বন্ধ করে একটি দড়ি দিয়ে বেঁধে খাঁচাটি নিচের দিকে ছেড়ে দেয়। এবং তা আস্তে আস্তে গভীর পানির নিচে চলে যায়। যখন খাঁচাটি গভীর পানির নিচে চলে যায় তখন পেছন থেকে এসে একটি বিশাল আকৃতির হাঙ্গর তার উপর আক্রমণ করে। এবং তার হাত থেকে চেতনানাশক ইনজেকশনটি ছিটকে পড়ে যায়। এতে শেয়ার হাঙ্গরটিকে ঘায়েল করতে পারেনি। তারপর এই হাঙ্গরটি কয়েক বার আক্রমণ করে খাঁচাটি ভেঙে তাকে খেয়ে ফেলে।

তারপর হাঙ্গরটি এসে নৌকায় আক্রমণ করে। নৌকার মধ্যে আক্রমণ করে নৌকার একটি অংশ ভেঙে ফেলে। তারপর নৌকাটি আস্তে আস্তে ডুবতে শুরু করে। নৌকাটি যখন আস্তে আস্তে একদিকে কাত হয়ে যায় হাঙ্গরটি এসে ওপরে থাকা এক বন্ধুর উপর আক্রমণ করে। কাত হয়ে যাওয়ার কারণে উপরে থাকা এক বন্ধু নিচে পড়ে যায় এবং তাকে ধরে হাঙ্গরটি খেয়ে ফেলে।

তারপর নৌকাতে বেঁচে রইল শুধুমাত্র এক বন্ধু। হাঙ্গরটি বিভিন্নভাবে নৌকা এসে এদিক ওদিক থেকে আক্রমণ করতে শুরু করে। এবং নৌকাটি আস্তে আস্তে ডুবতে শুরু করে। ডুবতে ডুবতে একসময় পুরো নৌকাটি ডুবে যায়। তখন ওই লোকটি নৌকার উপরে থাকা টাওয়ারের উপর উঠে পড়ে। তখন তার কাছে শুধুমাত্র একটি বন্দুক থাকে। কিন্তু ওই বিশাল আকৃতির হাঙ্গর এর কাছে এই বন্দুক কিছুই নয়।

তাই সে হাঙ্গরটিকে ঘায়েল করার জন্য একটি পদ্ধতি গ্রহণ করে। প্রথমে হাঙ্গর টিকে কয়েকটি গুলি করে, কিন্তু এতে হাঙ্গরের কোন প্রকার ক্ষতি হয়নি। তারপর হাঙ্গরটি যখন বিশালাকৃতির হা করে তাকে খেতে আসে তখন তার মুখের মধ্যে একটি অক্সিজেন ট্যাংক দিয়ে দেয়। যখন অক্সিজেন নিয়ে হাঙ্গরটি একটু দূরে যায় তখন সে অক্সিজেন ট্যাংক এর মধ্যে একটি গুলি করে। এতে অক্সিজেন ট্যাঙ্কটি বিস্ফোরিত হয় হাঙ্গরটি মরে যায়। এভাবেই তিন বন্ধুর মধ্যে শুধুমাত্র একজন বন্ধু বেঁচে ছিল, আর বাকি দুজন হাঙ্গরের পেটে চলে যায়।

বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *