নিজস্ব প্রতিবেদন: ভাবতে অবাক লাগলেও সত্যি এটি ঈদে জাপানের সূর্যডিম এখন চাষ হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ। এতে করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা এবং এই আমি রয়েছে নানান গুণ। এই ভিডিওটিতে মুহূর্ত জাপানের সিয়াম সম্পর্কে বলা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে ভিডিওটি দেখতে হবে। জাপানের অন্যতম আম হচ্ছে সূর্যডিম আম। আর এই আমটির জাপানি নাম তাইওতামাগো। তাইও মানে সূর্য তামাগো মানে ডিম। এটিকে ইংরেজিতে বলে হচ্ছে এগ অফ দা সান। তার মানে হচ্ছে সূর্য এর ডিম।
বলা হয়ে থাকে এই সূর্য ডিম হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি আম। মূলত 2017 সালে জাপানের একটি নিলাম বাজারে যেখানে দুইটা আমের দাম হয়েছিল 3744 ডলার। চলুন তাহলে আজ আমরা জানবো এই সূর্য ডিম সম্পর্কে। 3744 ডলার এই দুইটা আমের দাম হওয়ার পর থেকেই ওয়ার্ল্ডের সবথেকে এক্সপেন্সিভ আম বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। যদিও বাস্তবতা অনেক ভিন্ন। যদি কেউ মনে করে এই আম চাষ করলে এরকম দামে বিক্রি করবে সেটা একদমই সঠিক নয়। এই সূর্যডিম আম আমরা জাপানি আম মনে করে থাকলেও এটার উৎপত্তি হচ্ছে ফ্লোরিডাতে।
1940 সালে ফ্লোরিডাতে এই আমের জাত উৎপাদন করা হয় সেখান থেকে আস্তে আস্তে বিস্তৃত লাভ করে এবং জাপানের মিয়াজাকি শহরে এই আমের বিশেষভাবে গবেষণা করা হয় । খুব ইনটেনসিভ কেয়ার এর মাধ্যমে আমগুলো ফলানো হয় এবং এই বেশি দামে বিক্রি হয় খাওয়ার আম হিসেবে না গিফট হিসেবে বিক্রি হয় কারণ এই আমের কালার এখন বাংলাদেশেইখুব সুন্দর কালার পাওয়া যায়। এই আমের কালার হচ্ছে রেড রুবি কালার। জাপানে এই আমতা কে গিফট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এই আমি তাকে বলা হয় গিফট অফ রেস্পেক্ট মানে সম্মানের একটা জায়গা থেকে ই আম উপহার দেওয়া হয়। বিজনেস পারপাস এ দেওয়া হয় এই আমটা খুব মজা খুব টেস্টি। এই সূর্যডিম আম আমাদের দেশে অত্যন্ত সফলভাবে হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী এই আম লালান হিসেবেও অনেক পরিচিত। আবার জাপানের মিয়াজাকি শহরে এই আমের উৎপন্ন হয়েছে বলে অনেকেই আমাকে মিয়াজাকি আম বলেও ডাকে। মিয়াজাকি আমের কোয়ালিটি হচ্ছে এক অফ সান।
এ নামের আদিনিবাস হচ্ছে আমেরিকা ফ্লোরিডা। এটা হচ্ছে এলিপেন্স এবং হেডেন এই দুইটা আমের ওপেন ক্রাশ পলি মেটিকেলের কারণে তৈরি হয়েছে ইরি। সেই ইরি নামটাই পৃথিবী ঘুরে ঘুরে জাপানে যখন গিয়েছে জাপানের সাউথ প্রভিনসি যখন এটা চাষ হয়েছে তখন এটা নিয়া যে কি নাম ধারন করেছে। মিয়াজী কি নাম ধারন করেছে বিউটিফুল রেড ব্লাস এর রং থেকে। এই রংটা পেতে হলে সূর্য 360 ডিগ্রি এর যে অ্যাঙ্গেল প্রতিটা অ্যাঙ্গেল থেকে আরও পেতে হবে। কিন্তু সীমিত পরিসরে পেতে হবে। বেশি পাওয়া যাবে না।
তাহলে এই আমটা রং ধারণ করবে। রঙিণ আমের সমাদর সারা পৃথিবীতেই। বাংলাদেশে অনেক জায়গায় এখন এ আমটি চাষ হচ্ছে। এর স্বাদ এবং রং সবই আন্তর্জাতিক। এই আমেৱ আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি খেতে গেলে রস বের হয়। এর ঘ্ৱাণ এবং স্বাদ অতুলনীয়। এই মিয়াজীকি আমের অন্য একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে একটি গাছ থেকে পেকে ঝোরে পড়তে হয়। এই আমের আরেকটা বৈশিষ্ট্য আছে। তা হল এই আম কাটা হলে এর ভেতরের যেই কালার তা আন্তর্জাতিক সেটা আর নরমাল কোন কালার না আমরা জানি যে আম হচ্ছে ক্লাইম্বিং ফুড।
কাঁচা আম পেড়ে রাখলে সফিন বেগ বেড়ে বেড়ে যায় এবং পেকে যায় কিন্তু মিয়াজাকি আম এরকম না। এই আম পেকে ঝরে পড়তে হবে। এই আমতা বাংলাদেশের রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি অঞ্চলে একজন চাষ করেছেন। এই আমে সূর্যের তাপ যত বেশি লাগবে এই আমের কালার ততো বেশি সুন্দর হবে। আশা করি আজকের এই ভিডিওটি ভালো লাগবে। ভিডিওটি দেখতে নিচের লিংকে যেয়ে দেখে আসেন।
বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ