এই মশলাটি দিয়ে মুড়ি মাখালে স্বাদ হবে অতুলনীয়, সবাই চেটে পুটে খাবে একদম সেই স্কুল গেটের জাল মুড়ির মত, রইল A-Z রেসিপি!

নিজস্ব প্রতিবেদন: ঝাল মুড়ি খুব ইউনিক একটি খাবার। কেননা প্রত্যেকের স্কুল জীবনের স্মৃতি গুলোর সাথে ঝাল মুড়ি অতপ্রত ভাবে জড়িত। স্কুলের টিফিন টাইমে ঝাল মুড়ি খাওয়ার ব্যাপারটা প্রত্যেকের স্মৃতিতেই লেপ্টে আছে। স্কুল জীবন ছেড়ে আসার পর খুব কমই খাওয়া হয়েছে এই ঝাল মুড়ি। আমরা প্রত্যেকেই খুব বেশি পরিমাণে মিস করি আমাদের স্কুল জীবনের ঝাল মুড়ি স্মৃতিগুলোকে। আজকের এই ভিডিওতে দেখানো হয়েছে ঝাল মুড়ি তৈরিতে যে মসলাটি ব্যবহার করা হয় তা কিভাবে তৈরি করা হয়।

চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে এই মসলাটি তৈরি করা হয়। ঝাল মুড়ির মসলা তৈরির জন্য একটা বাটিতে প্রথমে দুই টেবিল-চামচ লাল সরিষা বা কাল সরিষা সাথে 2 টেবিল চামচ হলুদ সরিষা নিয়ে নিলাম। কাল সরিষাতে ঝাঁজের পরিমাণবেশী থাকে তাই আমি এখানে দুই রকমের সরিষা মিলিয়ে ব্যবহার করেছি। এরপর কিছুটা নরমাল পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখব আধা ঘন্টার মত। সরিষা গুলোকে এভাবে প্রথমে কিছুক্ষণ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখে তারপরে পেস্ট করলে সরিষা গুলো কিন্তু আর পরে খেতে তিতা লাগে না।

তারপর একটি ব্লেন্ডার মেশিন দিয়ে সামান্য পরিমাণের লবণ এবং পরিমাণমতো কাঁচা মরিচ দিয়ে সরিষা গুলোকে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।উপকরণ সমূহঃশুকনো একটা গুড়া মশলা তৈরি করে নিব। তার জন্য এখানেকয়েকটি সবুজ এলাচ এবংএকটা বড় কালো এলাচ নিব। কালো এলাস যদি না থাকে সে ক্ষেত্রে এটা বাদ দিলেও চলবে। তবে কাল এলাচ টি ব্যবহার করলে কিন্তু সেই শাহী ফ্লেভার পাওয়া যায়। কালো গোলমরিচ নিয়েছি 1 টেবিল চামচ, লবঙ্গ নিয়েছেদশ বারোটা, পাঁচফোড়ন নিয়েছি 1 টেবিল চামচ, অর্ধেক জয়ত্রী আর ছোট সাইজের একটা জয়ফল নিয়েছি।

তবে বড় হলে কিন্তু অর্ধেকটা ব্যবহার করতে হবে। এক দেড় ইঞ্চি সাইজের 4 থেকে 5 টুকরো দারুচিনি নিয়েছি। আর তিনটা মিডিয়াম সাইজের তেজপাতা নিয়েছি। এবার এগুলোকে হালকা করে ভেজে নিন যাতে এটাকে গুড়া করতে সুবিধা হয়।চলার খুব লো হিটে মসলাগুলো কে একটু নেড়েচেড়ে হালকা ভেজে নিতে হবে। যেন মসলাগুলো খুব বেশি কড়া বা পুড়ে না যায়। মসলা গুলোকে মোটামুটি হালকা মচমচে করে ভেজে নিলেই চলবে। ঝাল মুড়ির মসলা তে আমি কোন গোটা মসলা ব্যবহার করব না।

সব মশলা গুলোকে আগে এভাবে হাল্কা একটু ভেজে নিয়ে তারপরে এটাকে গুঁড়ো করে মসলাতে ব্যবহার করব। এতে করে কিন্তু পুরোপুরি ফ্লেভার পাওয়া যায়। গোটা মশলা গুলোকে আমি হালকা ভেজে নেওয়ার পরে এটাকে শুকনো অবস্থাতেই গুঁড়ো করে নিয়েছি। আর গুঁড়ো করার ক্ষেত্রে খুব বেশি না হলেও কোন সমস্যা নেই । এবার ঝাল মুড়ির মসলা তৈরি করার জন্য চুলায় একটি পাত্র বসিয়ে তাতে প্রায় সাড়ে 300 গ্রাম সরিষার তেল হালকা গরম করে নিব ।এই মসলা বানাতে কিন্তু সরিষার তেল ব্যবহার করতে হয় ।

তবে চাইলে কিছুটা সয়াবিন তেল মিক্স করে ব্যবহার করা যাবে। এটা হালকা গরম হয়ে আসলে দিয়ে দিচ্ছি পুরো এক কাপ পেঁয়াজ বাটা। সাথে 2 টেবিল চামচ রসুন বাটা এবং 2 টেবিল চামচ আদা বাটা। মরিচের গুঁড়া আধা টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া 1 টেবিল চামচ, ধনিয়ার গুড়া 1 টেবিল চামচ, কিছুটা লবণ। আর এখানে আগে থেকে ভেজে গুঁড়া করে রাখা গোটা মসলার গুঁড়া গুলো দিয়ে দিলাম। সামান্য আধা কাপ পানি দিয়েছি যাতে মসলাগুলো কষাতে কষাতে আবার পুড়ে না যায়।

কারণ যেহেতু গুলোকে খুব ভালোমতো কষাতে হবে তাই কিছুটা পানি আমি প্রথমে ব্যবহার করেছি ।এবার খুব ভালোমতো করে কষাতে হবে যেন মসলা গুলোতে কোন কাঁচা গন্ধ না থাকে। তারপরের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে বেটে রাখা সরিষা এবং সাথে এক টেবিল চামচ বিট লবণ দিয়ে দিলাম । ছোটবেলার আমার স্কুল গেটের সেই মুড়িওয়ালা মামার মুড়ির মসলা এবং মুড়ি মাখার কথা আমার আজও মনে পড়ে।এভাবে আর 5 থেকে 7 মিনিট গরম করলেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার এই স্বদের মুড়ির মসলা।

বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *