এই পদ্ধতিতে বাড়িতেই তৈরি করুন বাজারের মত চাল কুমড়ার মোরব্বা, খেতে হবে দারুন স্বাদের, রইল রেসিপি ভিডিও!

নিজস্ব প্রতিবেদন: চালকুমড়া বাজারে সারা বছর বাজারে পাওয়া যায়। আর এই চাল কুমড়া আমরা ভাজি, মাছ দিয়ে রান্না খেয়ে থাকি। তবে চাল কুমড়ার মোরব্বা কখনো বাসায় তৈরি করার প্রচেষ্টা করিনি। চাল কুমড়া দিয়ে মোরব্বা তৈরি করাটা আমাদের কাছে একটি কঠিন বিষয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে আমরা ভাবি এই মোরব্বা তৈরি করতে অনেক কষ্ট সাধন করতে হয় কিন্তু বিষয়টি একেবারেই ভুল আমরা খুব সহজেই মিষ্টি কুমড়া দিয়ে মোরব্বা তৈরি করতে পারি।

সব ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবারের জন্য মিষ্টি কুমড়ার মোরব্বা অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে।প্রায় বছরজুড়েই চাল কুমড়ার মোরব্বার কদর থাকে। যেকোনো ডেজার্ট সাজাতে মিষ্টি কুমড়ার মোরব্বা প্রয়োজন রয়েছে এমনকি কেকের ভেতরে ড্রাই ফ্রুটস হিসেবে এর ব্যবহার বেশ প্রচলিত। শিশুর কাছেও বেশ পছন্দের খাবার এই মোরব্বা।এই মোরব্বা বৃদ্ধ থেকে বাচ্চা সবারই পছন্দের। এটি খেতেও খুব সুস্বাদু। হাতের কাছে থাকা কম উপকরণ দিয়ে খুব সহজে তৈরি করা যায়। চাল কুমড়ার মোরব্বা বেশ সহজেই তৈরি করা যায়।

বিয়ে বাড়ি সহ প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠানের মিষ্টি জাতীয় খাবারের মধ্যে এই মিষ্টি কুমড়ার মোরব্বা দেওয়া হয়। মোরব্বা টি যেমন খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে ঠিক সেভাবে এটি দিয়ে মিষ্টি জাতীয় খাবার সাজালেও খুব সুন্দর দেখতে লাগে। কুমড়ার মোরব্বা বাসায় তৈরি করা একটি সহজলভ্য রেসিপি। রেসিপিটি খুব সহজে আমরা বাসায় তৈরি করে ফেলতে পারি। এটি তৈরি করতে কোন ধরনের ঝামেলা নেই।চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কিভাবে চাল কুমড়ার দিয়ে সহজে মোরব্বা তৈরির করা যায় রেসিপিটি-

উপকরণ সামগ্রী:,চালকুমড়া ২ কেজি।,চিনি ৭৫০ গ্রাম।,দারুচিনি ও এলাচ।,তেজপাতা।,ঘি।

মিষ্টি কুমড়া মোরব্বা তৈরি প্রণালি: ভালোভাবে পাকা চাল কুমড়া খোসা এবং বীজ ফেলে ২ ইঞ্চি পুরু করে লম্বা ফালি করতে হবে। এবার কাঁটা চামচ দিয়ে উভয় দিকে ভালো করে কেচে নিন। খুব ভালো করে কুমড়ো গুলোকে কেঁচে নিতে হবে যাতে করে এর মধ্যে কোনো ফাঁকফোকর না থাকে।পুরো কুমড়া কেচে নেয়া হলে ১ বা ৩ ইঞ্চি লম্বা করে ছোট ছোট আকারে কুমড়ো গুলোকে কেটে নিতে হবে।এবার একটা পাত্রে পানি দিয়ে ছোট ছোট করে কেটে রাখা কুমড়া গুলো হালকা গরম পানিতে ভাঁপিয়ে নিতে হবে।

তারপর পানি ঠান্ডা হলে ভাপিয়ে রাখা কুমড়া গুলো কে যতটা পারা যায় চিপে চিপে চিপে কুমড়ো গুলো থেকে পানি ফেলে দিতে হবে। এবার আলাদা একটা কড়াইতে চিনি ঢেলে হালকা পানি আর দারুচিনি, এলাচ ও তেজপাতা দিয়ে মৃদু আঁচে নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না তিনি গুগোল এ পানির সাথে মিশে যাচ্ছে। চিনি গলে পানি হয়ে পানির সাথে চিনি মিশে গেলে পানি চিপে রাখা ভাপানো মিষ্টি কুমড়ার টুকরো চিনি-পানির মধ্যে ছেড়ে দিন।

এবার একই আঁচে ধৈর্য ধরে নাড়তে থাকুন,পানি শুকিয়ে কুমড়ার গায়ে আঠা হয়ে লেগে আসবে। পানি প্রায় শুকিয়ে এলে মিষ্টি কুমড়া গুলোকে নামিয়ে বড় ট্রেতে ঘি মাখিয়ে মিষ্টি কুমড়ার তৈরি মোরব্বা গুলো ট্রেতে নামিয়ে নিতে হবে।মোরব্বাগুলো আলাদা আলাদা করে কেটে পাশাপাশি রেখে ঠান্ডা হতে দিন। প্রতিটি মোরব্বার ঠিক যতটুকু চিনিতে আবৃত হওয়া প্রয়োজন ততটুকুই লেগে থাকবে।

বাকি চিনি কড়াইতে থেকে যাবে, এবার মোরব্বা পুরোপুরি ঠান্ডা হলে কাঁচের বয়ামে অনেক দিন সংরক্ষণ করা যাবে। দীর্ঘদিন রেখে খেতে চাইলে নরমাল ফ্রিজে রেখে খেতে পারেন। এভাবে কুমড়া দিয়ে বাসায় মোরব্বা তৈরি করলে ঠিক বাজারের মতো স্বাদ হবে কুমড়ার মোরব্বাতে। প্রায় প্রত্যেকটি কাজ ধাপ অনুসরণ করে তৈরি করলে মোরব্বা টি বাসায় তৈরি হওয়া সত্বেও বাজারের মতো স্বাদ পাওয়া যাবে।

বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *