নিজস্ব প্রতিবেদন: আমরা যখন পড়তে বসি তখন প্রথমে তো আমাদের এনার্জি লেভেল ভীষণ হাই থাকে।তখন আমরা ভাবি প্রত্যেকদিন 6 থেকে 8 ঘণ্টা করে পড়বো। একদিনেই অর্ধেক সিলেবাস শেষ করে দেবো। আর তিনদিন পর পড়তে বসার 10 থেকে 15 মিনিট পরেই আমাদের এনার্জি লেভেল থেকে সোজা টেন পার্সেন্ট এ নেমে আসে।আজকের এই ভিডিওটিতে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এমন কিছু স্টাডি টেকনিক যা এপ্লাই করলে পড়াশোনাটা আপনার কাছে একটি মজার খেলার মতন মনে হতে শুরু করবে।
আপনি আপনার স্টাডিতে কনসেনট্রেট করতে পারবেন। অবশ্যই এক্সাম এ ভালো রেজাল্ট আসবেই। তাই আপনার প্রবলেম যদি এটাই হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে রিকমেন্ড করব ভিডিওটি একদম শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য। তো চলুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে এই কমেন্টগুলো। ১) আমরা যখন পড়তে বসবো তখন আমাদের প্রথম কাজ হলো মোবাইলকে চোখের সামনে থেকে দূরে সরিয়ে রাখা। –
তারপর রুটিন ফলো করে পড়া শুরু করুন। আর শুরুর এই প্রথম দিনে পড়ার সময়টাকে অবশ্য একটু কম রাখুন। যেমন ধরুন কুড়ি মিনিট পর পর পরই কুড়ি মিনিটের ব্রেক নিয়ে তারপর আবার 15 মিনিটের। এই প্রথম দিনে তিন থেকে চার ঘন্টা পড়াশোনা করুন যার মধ্যে দুই ঘন্টা আপনার পড়া হবে বাকি সময়টা ব্রেক। তারপরের দিন আর একটু কমিয়ে দিন। আসলে আমি এটাই বলতে চাইছি শুরুটা করব ছোট থেকে অর্থাৎ আস্তে আস্তে বৃদ্ধি করতে হবে।
২)সময় রুটিন তৈরি করাঃ অর্থাৎ আমরা কখন পড়ব। পড়ার সময় আমাদের শরীর মস্তিষ্ক পুরোপুরি আলাদা হয়। তাই এক্ষেত্রে আমাদের নিজেকেই বুঝে নিতে হবে যে কখন পড়তে বসলে আমার পড়াতে মন বসবে।কেউ হয়তো সকালে পড়তে পছন্দ করি কেউ আবার সন্ধ্যাবেলায় কেউ আবার গভীর রাতে তাই আপনাদেরকে নিজেই বুঝে নিতে হবে যে কখন তরলে আসলে মনোযোগ দিয়ে পড়া যাবে।
৩)টেবিলে পড়ার অভ্যাসঃ আমরা অনেকেই বিছানায় শুয়ে শুয়ে পড়তে ভালবাসি।এটি একটি খুব খারাপ অভ্যাস। আমরা যখন বিছানায় শুয়ে শুয়ে পড়ার চেষ্টা করি তখন আস্তে আস্তে অনেক সময় ঘুম চলে আসে। এতে ভালো করে পড়াশোনা করা হয়না। পড়াশোনার জন্য সবচাইতে ভালো বসার স্থান হচ্ছে চেয়ার টেবিল। যাতে পড়তে এবং লিখতে ভালো কম্ফোর্টেবল অনুভূত হয়। আমাদের প্রত্যেকের উচিত চেয়ার-টেবিলে পড়ার অভ্যাস করা।
৪)মন থেকে অন্যান্য চিন্তাভাবনা দূর করাঃ পরীক্ষার আর মাত্র 7 দিনে বাকি। সিলেবাস কমপ্লিট করা হয়নি। এই বছর আমি নির্ঘাত ফেল করব। কিভাবে আমি পাড়ার লোকের সঙ্গে মুখ দেখাবো, সবাই পড়াশোনা কত ভালো আর আমিতো কিছুই জানিনা। পড়তে বসে আপনার মাথায় যদি এইসব কথাগুলোই ঘুরতে থাকে তাহলে ব্যাপারগুলোকে মাথা থেকে একদম সরিয়ে ফেলুন। পড়ার টেবিলে নিজেকে সব সময় ফ্রেশ রাখুন। পড়ার টেবিলে বসে এই ধরনের চিন্তাগুলি আপনার সময় নষ্ট করে দেয়। তাই এই সময়টা নষ্ট না করে যদি সময়টাকে নিজের উপর কনসালটেশন করতে কাজে লাগান তাহলে লাভটা আপনারই হবে।
৫)গেমি ফিকেশন টেকনিকঃঅর্থাৎ স্টাডিকে গেমে কনভার্ট করা। শুনে খুবই ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে । এটা ডেডিকেট গেমের মত আলাদা আলাদা লেভেলের ভাগ করে নিতে হবে তারপর সেগুলো কি কমপ্লিট করতে হবে যেমন ধরুন আপনি আজকের তিনটি চ্যাপ্টার কমপ্লিট করবেন এটা আপনার গেমের ফার্স্ট লেভেল আগামীকাল আরও তিনবার কমপ্লিট করবেন এটা হল সেকেন্ড লেভেল। এভাবে আপনি আপনার সিলেবাস থেকে সহজেই কমপ্লিট করতে পারবেন।
আবার ধরুন আপনি 300 পৃষ্ঠার একটি বই পড়ছেন। আজকে আপনি বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠার সম্পূর্ণ পড়ে কমপ্লিট করলেন। এই পৃষ্ঠায় একটি দাগ দিয়ে রাখবেন। আপনার কাজ হল বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠায় একটি করে দাগ দেওয়া। আর্থিক যখন পৃষ্ঠাটি পরে শেষ করবেন তখন একটি ডাক্তার না। এভাবে আপনি আপনার পড়া খুব সহজে শেষ করতে পারবেন এই টেকনিক্যাল মাধ্যমে।
বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ