নিজস্ব প্রতিবেদন: চেহারা আমাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য প্রকাশ করে। আমরা প্রত্যেকেই আমাদের বাহ্যিক সৌন্দর্য প্রকাশ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে মেয়েরা এই বিষয়ের প্রতি অধিক পারদর্শী। একজন মানুষের সুন্দর্যের প্রধান প্রকাশক হচ্ছে তার চেহারা। আর যদি চেহারার মধ্যে কোন একটি অঙ্গ অসুন্দর হয় তাহলে তার পুরো চেহারাটাই অসুন্দর দেখায়। আর সম্পূর্ণরূপে সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য প্রয়োজন চেহারার মধ্যে অবস্থিত প্রত্যেকটি অঙ্গের সৌন্দর্য । আর এর মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ একটি অংক হচ্ছে ঠোট।
সুন্দর ঠোঁটের হাসি সকলের নজর কাড়ে ।নারী-পুরুষ সকলেই চায় সুন্দর ঠোঁটের অধিকারী হতে । তবে অযত্নে অবহেলায় কিছু বাজে অভ্যাসের কারণে গোলাপি ঠোঁট কালচে রং ধারণ করে। যার মাধ্যমে পুরো চেহারাটা খারাপ দেখা যায়। কিছু নিয়ম মেনে চললে এবং ঠোঁটের যত্ন নিলে খুব সহজেই এ সমস্যা গুলো সমাধান করা যায়। আজকের এই ভিডিওটিতে কেন ঠোঁট কালো হয় এবং এর কিভাবে ন্যাচারাল কালার ফিরে আনা যায় এই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
ইউটিউব বা বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক ধরনের ভিডিও আছে যেখানে ঠোঁট গোলাপি করার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এবং যেখানে অধিকাংশ পদ্ধতি গুলি অকার্যকর। এই ভিডিওটিতে দেওয়া পদক্ষেপগুলো যদি আপনি নেন তাহলে অবশ্যই আপনার ন্যাচারাল কালারটি ফিরে পাবেন। ঠোঁট কালো হওয়ার প্রধান কারণ ধূমপান হলেও এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে ঠোঁট কালো হয়ে থাকে। যদি পার্মানেন্ট এভাবে আপনার ঠোঁটকে গোলাপি করতে চান তাহলে আজকের এই তিনটি স্টেপ শুরু করুন। অবশ্যই আপনি ভাল ফলাফল পাবেন।
স্টেপ 01: ঠোঁট কালো হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে লালা দিয়ে ঠোঁট ভেজানো। অনেকের মধ্যে একটি বাজে অভ্যাস রয়েছে যারা সব সময় জিব্বার মাধ্যমে মুখের লালা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে রাখে। তাদের এই বাজে অভ্যাসের কারণে ধীরে ধীরে ঠোট কালচে রং ধারণ করে। এক্ষেত্রে ঠোঁটকে বিভিন্ন রকম পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবং এভাবেই এই বদ অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আর এই বদ অভ্যাস থেকে মুক্তি পেলে আপনার ঠোঁটটা অবশ্যই পূর্বের মতো প্রাকৃতিক রঙ ধারণ করবে।
স্টেপ 02: এক্ষেত্রে আপনার ঠোঁটকে মশ্চারাইজিং করা। যদি আপনার ঠোঁটের কালচে রং হয়ে থাকে তাহলে আপনার ঠোঁটের মাঝে ভিটামিনসমৃদ্ধ লোশন ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে এই লোশন আপনার ঠোঁটে লাগিয়ে ঘুমান। ঠোঁট শুকিয়ে গেলে এই লোশন বারবার লাগে ঠোঁটকে মশ্চারাইজ করে রাখতে হবে । স্টেপ 03: প্রতিদিন ঘুমানোর পূর্বে সামান্য কিছু পরিমাণ কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবং পরদিন সকালে উঠে কিসমিস ভেজানো পানি এটা আপনার ঠোঁটে কয়েকবার ভালো করে লাগিয়ে নিন। কিসমিস একটি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার।
এছাড়াও কিসমিসের পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাসের মত উপাদান। আপনার ঠোঁটকে নরম ও কোমল করে তুলবে এবং ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করবে। শুধু এই 3 টি স্টেপ ফলো করলে আপনার ঠোঁট ধীরে ধীরে কাছে থেকে ন্যাচারাল কালার রূপান্তর হবে।পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ভালো মানের পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। মেয়েদের ক্ষেত্রে লিপস্টিক ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। সস্তা মানের লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁটের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। যে কোন লিপস্টিক ব্যবহারের পূর্বে সামান্য পরিমাণ নারকেল তেল লাগিয়ে 5 মিনিট পর লিপস্টিক ব্যবহার করুন।
এটি আপনার ঠোঁটকে প্রতিরক্ষামূলক হিসেবে কাজ করবে এবং ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ রাখবে। এবং পুরুষের ক্ষেত্রে যারা ধূমপানসহ বিভিন্ন রকম মাদক সেবন করে থাকেন তারা অবশ্যই এই মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। এই বাজে অভ্যাস গুলো না ছাড়লে এই ট্রিটমেন্টগুলো ব্যবহার করে কোন উপকৃত হবেন না। তাই আপনার কালচে ঠোঁটকে প্রাকৃতিক কালারে ফিরিয়ে আনতে উপরিউক্ত স্টেপগুলো ব্যবহারের সাথে সাথে ধূমপানের মতো বাজে অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন।
বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ