নিজস্ব প্রতিবেদন: আমরা সকলেই টক ঝাল আচার খেতে পছন্দ করি আমাদের প্রত্যেক বাঙ্গালীদের ঘরে সাধারণত এই মজাদার আচার পাওয়া যায় বিভিন্ন ফলের আচার হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আমের আচার আমের আচার তৈরি হয় আম দিয়ে। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয় বিভিন্নভাবে আমের আচার তৈরি করতে হয়।
কিন্তু সবার আমের আচার খেতে অতোটা পারফেক্ট হয় না কিছু নিয়ম কানুনের ভুলের কারণে রেসিপি ঠিক না থাকার কারণে আমরা পারফেক্ট আমের আচারের স্বাদ ভোগ করতে পারেন খেতে পারেন পারফেক্ট আমের আচার আমের আচার তৈরি করতে হলে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে আচার তৈরি করতে হবে সেই নিয়ম অনুযায়ী আচার তৈরি করলে সে চারটি গুনে ওমানের দিক দিয়ে সেরা স্বাদের অধিকারী হবে। চলুন জেনে নেই কিভাবে তৈরি করতে হয় কাঁচা আমের আচার খেতে হবে খুবই মসলাদার । টক ঝাল মিষ্টি আচার টি সবার মন জয় করবে। আসুন রেসিপিটি শুরু করা যাক।
উপকরনসমুহ: কাঁচা আম, সরিষা বাটা, সরিষার তেল, পাঁচফোড়ন, চিনি, লবণ, শুকনা লাল মরিচ, ভিনেগার।
রন্ধন পদ্ধতি প্রথমে কাঁচা আম গুলোকে সুন্দর মত পরিষ্কার করে কেটে নিতে হবে। পরিষ্কার করে কেটে নেওয়া কাঁচা আম গুলোকে এবার সরিষা বাটা, লবণ শুকনা মরিচ বাটা ,দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে। কাঁচা আম গুলো মসলা দিয়ে মাখিয়ে নেওয়ার পরে কিছু কয়েক ঘন্টার জন্য রোদে শুকাতে দিতে হবে। রোদে শুকানো হয়ে গেলে এবার আচারের তাড়কা দেওয়ার পালা।
এবার চুলায় একটি কড়াই দিয়ে সেখানে পাঁচফোড়ন গুলোকে কিছুক্ষণ ভেজে নিতে হবে ভাজা শেষ হয়ে গেলে পাঁচফোড়ন গুলোকে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিতে হবে ঠান্ডা হয়ে গেলে পাঁচফোড়ন গুলোকে ব্লেন্ডার করে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ে পরিমান মত সরিষার তেল দিয়ে দিতে হবে সরিষার তেল দেওয়া হয়ে গেলে সে গরম তেলের মধ্যে মসলা মাখিয়ে রাখা কাঁচা আম গুলো দিয়ে দিতে হবে।
আম গুলো দিয়ে দেওয়া হলে সেগুলো কে কিছুক্ষণের জন্য সে তেলে ভেজে নিতে হবে কাঁচা আম গুলো বেছে নেওয়া হয়ে গেলে এর মধ্যে একেক করে স্বাদমতো লবণ চিনি এবং গুঁড়ো করে রাখা সেই পাঁচফোড়ন গুঁড়ো গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। নাড়া শেষ হয়ে গেলে এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে পরিমাণমতো ভিনেগার।
ভিনেগার দিয়ে দেওয়ার পর কাঁচা আম গুলোকে সবকিছু সাথে কিছুক্ষণের জন্য জালে রাখতে হবে ।যখন আমার সেই মিশ্রণটি ফুটতে থাকে তখন চুলা থেকে সে কড়াই টা নামিয়ে ফেলতে হবে। কড়াই টি নামিয়ে ফেললাম আচার গুলো তৈরি হয়ে যাবে । তৈরি হয়ে যাওয়া আচার গুলো কে বক্সে করে রেখে দিলে অনেক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে । সংরক্ষণ করা সেই আচার গুলো কে অনেক দিন পর্যন্ত রেখে আচার খাওয়ার স্বাদ নেওয়া যাবে।