খুব সহজে একদম হোটেলের মত খাস্তা কচুঁড়ি বানিয়ে বাসার সকলকে মুগ্ধ করে দিন, রইল স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি!

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিকেলের নাস্তা খেতে কার না ভালো লাগে। বিকেলের নাস্তা আপনার মনটাকে হালকা করে দেয়। ছোট-বড় সবাই চায় বিকেলবেলা কিছু হালকা নাস্তা করতে। সে ছোট হোক বা বড়। বিশেষ করে বিকেলবেলা সবাই ভাজাপোড়া জিনিস খেতে খুব পছন্দ করে। বিশেষ করে বাচ্চারা। আর সেই ভাজাপোড়া জিনিসটা যদি হয় ডাল পুরি তাহলে তো কথাই নেই। যদিও ঢাকা শহরে ডালপুরির দেখা মেলা অনেক ভাৱ। তবে গ্রামেগঞ্জে কিন্তু ডালপুরির ব্যবহার এখনো অনেক বেশি। এটা সবারই খুব পছন্দের খাবার।

আর বিকেল বেলায় ধরনের খাবার কমবেশী সবাই খেতে পছন্দ করে।জিভে জল আসার মত। এটা যেমন সুস্বাদু তেমন বাচ্চারা এটা খুব পছন্দ করে। চলুন জেনে আসি কিভাবে তৈরি করা হয় খাস্তা কচুরি। উপকরণ: মসুর ডাল আধা কাপ, ময়দা 2 কাপ, পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, ধনেপাতা, চিলি ফ্লেক্স বা কাঁচা মরিচ কুচি, লবণ স্বাদমতো, চিনি 1 চা চামচ, সয়াবিন তেল, জিরা গুড়া, প্রস্তুত প্রণালীঃ ডালপুরির জন্য এখানে মসুর ডাল নিয়েছি আধা কাপ। পর্যাপ্ত পরিমাণ নর্মাল পানি দিয়ে ডালটা কে ভিজিয়ে রাখব মিনিট দশেক।

মসুর ডাল টা কচলিয়ে ভালো করে পানি বদলিয়ে ধুয়ে নেব কয়েকবার। পরিষ্কার করার ডালগুলো চুলায় একটি পাত্রে বসিয়ে সিদ্ধ দিয়ে দিব। ডালের দ্বিগুণ পরিমাণ পানি দিব এবং সাথে 1 টিজপুন হলুদ আর স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ঢেকে দিব চুলার আচটা মিডিয়াম লোহিটে রাখবো 10 মিনিট। এৱই মাঝে তৈরি করে নিব পুরিৱ ডো। ডো তৈরি করার জন্য নিয়ে নিয়েছি 2 কাপ ময়দা,স্বাদমতো লবণ, আর 1 চা চামচ চিনি। চিনি পুরীর স্বাদ টা আরও বাড়িয়ে দেয়।

আর দিয়ে দিচ্ছি 4 টেবিল চামচ সয়াবিন তেল। এরপর উপকরণগুলো হাত দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নেব। এরপর নরমাল পানি দিয়ে অল্প অল্প করে একটা ডো তৈরি করে নিব। ডোটা হবে সাধারণ রুটি পরোটার ডো এর থেকে একটু টাইট। এরপর একটি পাতলা সুতির কাপড় ভিজিয়ে নিংড়ে ডো এর উপর দিয়ে রেখে দেবো 20 মিনিট। এরপরে সিদ্ধ করার ডালটার ভালো করে শুকিয়ে শুকনো করে ফেলব। এরপর চুলায় অন্য একটি পাত্র বসিয়ে তাতে 3 টেবিল চামচ সয়াবিন তেল দিবো।

এতে এক টেবিল চামচ মিহি কুচি করা রসুন আর 1 কাপ পেঁয়াজ কুচি দিয়ে এটাকে হালকা ব্রাউন করে বেরেস্তা করে নিব। পেঁয়াজ ব্রাউন করে বেরেস্তা করা হলে তাতে সেদ্ধ করার ডাল গুলো দিয়ে দিব। তারপর এখানে চিলি ফ্লেক্স দিয়ে দিচ্ছি। ধনেপাতা দিয়ে দিচ্ছে স্বাদমতো। আর দিয়ে দিচ্ছি ভাজা জিরার গুড়া। আর দিয়ে দিব সামান্য একটু লবণ। এরপর তাতে সিদ্ধ করা ডালডা দিয়ে বাগার দিব। ডাল তাকে একদম ভাজা ভাজা করে ফেলব। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে রেখে দিবো কিছুক্ষণ। কারণ ডালটা ঠান্ডা হলে আরো ঝরঝরে হবে।

এরপর রেস্টে রাখা ডোটাকে একটু বেশি করে এই ড নিয়ে লেচি করে রাখবো। কারণ ডালপুরি মোটামোটা হয়। এরপর লেচিগুলো হাতে নিয়ে একটু ছড়িয়ে তাতে ডাল এর পুর দিয়ে মুখ বন্ধ করে বেলে নিতে হবে। এরপর মিডিয়াম আচে তেল গরম করে চুলার হাই মিডিয়াম রেখে একে একে ডালপুরি গুলো ডুবো তেলে ভেজে নিতে হবে। দুই পাশে খুব ভালোভাবে ব্রাউন করে ভেজে নিতে মিনিট খানেক সময় লাগবে।ব্যাস তৈরি হয়ে গেল মজাদার এই ডাল পুরি।

আর আপনি যদি কিছু ডালপুরি রেখে দিতে চান তাহলে একটি ফ্রাইপেনে বা শুকনো খোলায় ডালপুরির এপাশ-ওপাশ একটু সেকে ঠান্ডা করে একটি এয়ারটাইনাৱ বক্স বা জালি ব্যাগে করে ফ্রিজিং করে রাখতে পারবেন প্রায় এক মাস। এভাবে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার বিকেলের নাস্তায় আপনার সন্তানকে দিন। এতে করে তার মন ও শরীর দুটোই ভাল থাকবে। নতুন নতুন আরও কিছু খাবারের ভিডিও পেতে আমাদের চ্যানেলের সাথেই থাকুন।

বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *