নিজস্ব প্রতিবেদন:বানর, বান্দর বা বাঁদর এক প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী। মূলত সিমিয়ান প্রাইমেট গণের তিনটি দলের মধ্যে দুইটির সদস্যরা সাধারণ ভাবে বানর নামে পরিচিত। এই দলগুলি হলো, নতুন পৃথিবীর বানর, পুরাতন পৃথিবীর বানর এবং নরবানর। এদের প্রধানত দেখা যায় দক্ষিণ এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকায়।
বানর একটি বন্য প্রাণী।বন্য প্রাণীদের মধ্যে বানর কে সবচেয়ে চালাক প্রাণী বলা হয়।বানর সবসময় গাছে বসবাস করে। এরা বিভিন্ন ফলমূল খেয়ে জীবন ধারণ করে। পৃথিবীতে অনেক ধরনের বানর রয়েছে। যা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস করে। বন্যা হলেও কিছু কিছু বানর লোকালয়ে বসবাস করে।
এবং মানুষের খুব কাছাকাছি থাকে। বানর তার চালাকি এবং চতুরতার জন্য বিখ্যাত। আমাদের দেশে প্রায় সব জায়গাতেই মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বনাঞ্চল এবং লোকালয় উভয় স্থানেই এদের উপস্থিতি দেখা যায়। লোকালয়ে বসবাস করা বানরগুলো অধিক চালাক হয়ে থাকে।
লোকালয়ে বসবাস করা বানরগুলো যদিও বিভিন্ন মানুষের খাবার খেয়ে থাকে, বন্য বানরগুলো কিন্তু বিভিন্ন ফলমূল ছাড়া অন্য কিছু খায় না।তবে যদি শোনা যায় ওই বানর মানুষের সাথে বসবাস করতেছে। তাহলে অবশ্যই আপনি অবাক হবেন। ঠিক তেমনি একটা প্রতিবেদন নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব।
কথায় বলে, পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান জীব নাকি মানুষ। অন্যদিকে বানরের মধ্যে যে মানুষের মতো আচরণ করার সমস্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। এবার এক পরিবারে বানরের কীর্তি দেখে রীতিমত বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বানরের কাণ্ড কারখানায় দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটাগরিকরা।
স্কুলের ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে পড়াশোনা করছে তিন বানর।এক ছাত্রের খাতার দিকে ঝুঁকে মনোযোগ দিয়ে পড়ছে তার লেখা। এমনই এক ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। বানরের আগ্রহ দেখে একেবারে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে। জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ম করে স্কুলে আসছে।এই বানরগুলো।
এবং এ তিন বানরের দায়িত্ব নিয়েছে এক যুবতী।সে নিয়মিত নিজ বাচ্চার মতো এ তিনটি বানরের দেখাশোনা করছে। নিয়মিত খাইয়ে দিচ্ছে।যা সত্যি মহিলাটি প্রশংসার দাবি রাখে।সে বানরের সবসময় দেখাশোনা করছে। কাপড় পাল্টিয়ে দিচ্ছে নিয়মিত গোসল করিয়ে দিচ্ছে। অর্থাৎ সহজভাবে বলতে গেলে।
একটা বাচ্চার প্রতি মায়ের যতটা আদর ভালোবাসা থাকা দরকার ঠিক ততটাই বানরগুলোর প্রতি এই মহিলাটার যত্ন রয়েছে ভালোবাসা রয়েছে।ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের হাজারিবাগ জেলার দানুয়ার সরকারি হাইস্কুলে ঘটেছে এই ঘটনা।
গত কয়েক দিন ধরেই বানরের গতিবিধির নানান ছবি ও ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যম জুড়ে।
স্কুলের হেডমাস্টার রতন বর্মা বলেন, সকাল ৯টায় স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই বাধ্য ছাত্রের মতো এসে হাজির হয় এই বানর। এবং বিকেলের দিকে বন্ধ হওয়ার সময় সে আবার স্কুল প্রাঙ্গন ত্যাগ করে। তিনি আরও বলেন, সপ্তাহখানেক আগে হুট করেই স্কুলের নবম শ্রেণিতে প্রবেশ করে সে।হঠাৎই তাকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
কারও ক্ষতি না করেই বেঞ্চে শিক্ষার্থীদের পাশে গিয়ে বসে। এরপর থেকে যে কোনও ক্লাসে ঢুকে যাওয়া এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সামনের সারিতে বসা নিয়মিত রুটিনে পরিণত হয়ে সেই বানরের। বিষয়টি বন দফতরকে জানানো হলে তারা এসে বানরটিকে বাগে আনতে পারেনি।