নিজস্ব প্রতিবেদন:চারপাশটা পানি আর তার মাঝে সারি বদ্দ ভাবে ধান ক্ষেত দারিয়ে আছে।এরই মধ্যই একটি স্ত্রী ডাহুক পাখি মনের স্বাধীনে কি যেন খুজতেছে।এর সব মূল কারণ হলো স্ত্রী ডাহুক পাখির ডিম পারার সময় হয়েছে ।তারপর পুরুষ ডাহুক পাখির ডাক শুনে স্ত্রী ডাহুক পাখি দৌড়ে তার পাশে যায়।
তখন তারা দু জনে একটি বাশা তৈরি করার জন্য সিদ্বান্ত নেন। এর বেশ কিছু দিন পর স্ত্রী পাখি টি বাশা তৈরি করে নেন।বাশা তৈরির বেশ কিছু দিনপর একটি বাশা তৈরি করেন।বাশা তৈরির পর সে পাঁচ টি ডিম পেরেছে পাখিটি। এদিকে ছোট একটি গ্রামে এক জন বাস করত।তার ছিল একটি বেজি ও বিড়াল সাবক।
একদিন দুপুর বেলা ছেলেটি ও তার পালিত পশূদের নিয়ে ধান ক্ষেতে যান।সেখানে গিয়ে দেখেন ডাহুক পাখির ডিম আট টি ডিম আর একটি ডিম পানিতে পরে আছেন।আরও কিচু দিন পর অনেক ঝড় আসছে।ঝড়ে সব গুলো ডিম পানিতে তলিয়ে যান।তখন স্ত্রী পাখিও পুরুষ পাখির ডিম হারিয়ে যায়।যার ফলে তারা কান্নায় ভেংগে পড়ে। আর এই দিকে যুবক হাওরে গিয়ে দেখেন একটা ডিম গুলো নাই।
তখন ছেলের মন খুবই খারাপ হয়।আরও কিছু দিন পর যুবক টি দেখল একই ধান ক্ষেতে আবার ডাহুক পাখি নতুন করে বাশা করল।তখন সে বাশায় দুটু ডিম পারে আর একাট বাচ্চা ফুটায় অন্য একটি ডিম রয়ে যায়।ডিম সহ বাচ্চা টি যুবকে নিয়ে আসল।তখন ডাহুক পাখি তার বাশায় আসল এবং তার বাচ্চাওডিম নাই।আবারও পাখির মন খারাপ করে।কিন্তু হঠাৎ দেখল এক জন যুবকের সাথে তার বাচ্চা ও ডিম।
তখন সে ওইখানে যান তার বাচ্চা দের খুজে।কিন্তু পাখি গুলো যুবকের কাছে ভয় পেয়ে যাচ্ছেনা।তখন যুবক পাখি গুলো ধরার জন্য একটা ফাদ তৈরি করেন আর কিচু পরিমান খাবার ফাদে দিয়ে দেন। স্ত্রী পাখি খাবার খেতে আসেন আর পাখি টি ফাদে ধরার পড়েন। স্ত্রী পাখির বিপদ দেখে পুরুষ পাখি টি ও এগিয়ে আসেন।
তখন পুরুষ পাখিটিও একই ফাদে ধরা পড়ে।যুবক পাখি গুলো দরে নিয়ে তার বাচ্চা ও ডিমে বসিয়ে দেন।স্ত্রী পাখি তার বাচ্চাও ডিম পেয়ে মহাখুশি হন।যুবকটি তার বাচ্চাও ডিম কে তাদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে অনেক খুশি।কিন্তু পুরুষ ডাহুক পাখি সন্তানদের রেখে চলে যায়।এর কিছূ দিন পর স্ত্রী ডাহুক পাখি আরও ৪ টি ডিম দেন।
কিন্তু কোনো কারনে ছোট পাখির টির মৃত্যু ঘঠে।হয়ত ডিম থেকে ফুটার পরে মা পাখিটি তার বাচ্চাকে তা দেয়নি। যাইহোক চার থেকে পাঁচ দিন পর স্ত্রী ডাহুক পাখি যুবকটির সাতে পাখির ভালো সর্ম্পক তৈরি করেন। প্রথম প্রথম পাখি যুবকে ভয় পেলেও পরে ভয় পায়না। এমন কি যুবক যখন পাখির বাশায় যায তখন পাখি তার বাচ্চাদের যুবকের কাছে রেখে যান।
পাখির বাহিরে যাওয়ার কারণটি হলো বাচ্চাদের জন্য খাবার আহরণ করা। যখন স্ত্রী পাখি বাহিরে গেল ঠিক তখনি পুরুষ পাখিটি সব ভয় কাটিয়ে স্ত্রীর সাথে তার সংসারে এলো। এই দেখে স্ত্রী পাখিটি খুব খুশি হয়েছে কারণ ছানাগুলো তার বাবার আদর থেকে বঞ্চিত হল না। এবং তাদের জন্য যে খাবার গুলো সংগ্রহ করতে হবে মা এবং বাবা পাখি দুটি একসাথে সংগ্রহ করতে পারবে।
পুরুষ পাখিটি তার পরিবারে ফিরে আসার পর সে আর ওই যুবক কে ভয় পায়না। এখন সেও যুবকদের হাত থেকে খাবার খায়। একটি ডিম নষ্ট হয়ে যায় আর কয়েকদিন পর আরেকটি দিন দেয়। ওই দিন থেকে আরেকটি বাচ্চা হয় এবং তাদের বাচ্চা হয়েছে তিনজন। 45 দিন পর বাচ্চা গুলো তাদের মায়ের সাথে ঘুরতে যাই না নদী নালা থেকে খাদ্য আহরণ করার জন্য।
সন্ধ্যা হলে আবার তারা হৃদয়বান যুবকটির কাছেই ফিরে আসেন। ওই গ্রামের যুক্তি ছাড়া পাখিদের আর কেউ নাই। পাখি যেমন তাদেরকে ভালোবাসে ঠিক যুবকটিও পাখিদের কে খুব ভালোবাসে। এমন পাখিদের মধ্যে ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব তৈরী হয়ে যাই। নেট দুনিয়া প্রশংসায় ভাসালেন নেটিজেনরা। বিস্তারিত রইল ভিডিওতে।