নিজস্ব প্রতিবেদন:মানুষের মধ্যে এখন আসল ভালোবাসা, সম্পর্ক হারিয়ে যেতে বসেছে। রাজহাঁসরা শিক্ষা দেয় সেই সম্পর্কের।সম্পর্ক- মানুষের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি শব্দ। বলা ভালো অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। একজন মানুষ জীবনে অনেকের সংস্পর্শে এবং সম্পর্কে আসেন। মা-বাবা থেকে শুরু করে ভাই, বোন, দিদি, স্ত্রী, স্বামী, বন্ধু ,
পোষ্য…প্রিয়জনদের এই তালিকা ফুরোবার নয়। শুধুমাত্র এই সম্পর্কগুলি ভালোবাসার উষ্ণতায় মোড়া হয় না, বরং শেখায় অনেক কিছু। তবে শুধুই মানুষ নয়, আমাদের চারপাশে এমন কিছু প্রাণী রয়েছে যারা তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে এমনই অঙ্গাঙ্গীক ভাবে জুড়ে রয়েছে।
অ্যামাজন ক্লিয়ারেন্স স্টোরে বড় সাশ্রয়, আজই শেষ দিন!
তাদের সম্পর্কের বাঁধন আবার একেবারেই অন্যরকম। যা মানুষ হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারে না। যেমন এই রাজহাঁস… ভ্যালেন্টাইন্স দিনের বিশেষ ছবি থেকে ক্যালেন্ডার একটা ছবি খুবই দেখা যায়। তা হল এই হাঁসের ভালোবাসার ছবি। কিভাবে ঠোঁটে ঠোঁটে মিলিয়ে তারা লাভ সাইন তৈরি করতে পারে। তবে এদের বন্ধনও কিন্তু এমনই ভালোবাসার। চলতি কথায় এমন সংলাপ অনেক শোনা যায় যে মৃত্যুও আমাদের বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। রাজহাঁসদের ক্ষেত্রে কিন্তু এটাই সত্যি। এরা কেউই একে অপরকে ছাড়া বাঁচতে পারে না।
সারা জীবন রাজহাঁস একসঙ্গে থাকে। একজন স্ত্রী ও পুরুষ রাজহাঁস নিজেদের সম্পর্কের প্রতি খুবই বিশ্বস্ত। নিজেদের সঙ্গী ছাড়া অন্য কারোর সঙ্গেই যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয় না। কোনও কারণে সঙ্গী হারা হলে বা সঙ্গী মারা গেলে অন্যজনও দুঃখে মারা যায় বা একাই থাকে। খুব কমক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে স্ত্রী রাজহাঁস মারা যাওয়ার পর পুরুষটি তার পছন্দমতো সঙ্গী খুঁজে পেয়েছে। সত্যিকারের ভালোবাসার প্রতীক হল এই রাজ হাঁস।
স্লিমব্রিজের বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, রাজহাঁসের সঙ্গী বিচ্ছেদ হলে মনের থেকে তারা অনেক দূরে সরে যায়। একেবারে নিজের মতো থাকতে পছন্দ করে। আর এদের মধ্যে প্রেম এতবেশি, যে কারণে এরা খুব আক্রমণাত্মক। ডিম ও বাচ্চাদের খুব আগলে রাখে। একবার আয়ারল্যান্ডের এক অধিবাসী রাজহাঁসদের উত্যক্ত করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু রাজহাঁসের আক্রমণে তাঁর পা ভেঙে যায়।