হঠাৎ বিষাক্ত সাপের কূপে পড়ে গিয়েছে যুবক। তার বন্ধুরা খবর পেয়ে কোনরকম উদ্ধার করল তাকে। এমন বন্ধুত্ব দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটদুনিয়ায়

নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশের সবচেয়ে বিষধর সাপ হল শঙ্খচূড় (King cobra)। এদেরকে বলা হয় সাপেদের রাজা।তবে শঙ্খচূড় নামটি আপনার কাছে অপরিচিত হলেও কিং কোবরা নামটি অবশ্য অপরিচিত হওয়ার কথা নয়।হ্যা এই শঙ্খচূড় সাপই হল কিং কোবরা।অনেকে একে রাজ গোখরা কিংবা পদ্ম গোখরাও বলে থাকে।

ভয়াবহ বিষধর এই শঙ্খচূড় অন্যান্য গোখরার তুলনায় আকৃতিতে বেশ লম্বা। ভারতবর্ষে ১৮ ফুট লম্বা কিং কোবরাও পাওয়ারও তথ্য রয়েছে। এদের একটি সাধারণ দংশন একজন সাধারণ মানুষকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ঠ। এই সাপের দংশনে মৃত্যুর হার শতকরা ৭৫%।

বাংলাদেশ ছাড়া শঙ্খচূড় সাপ ভুটান, বার্মা, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর এবং থাইল্যান্ডেও দেখা যায়।বাংলাদেশে প্রায় ৯৪ প্রজাতির সাপ আছে। তবে এসব সাপের মধ্যে বেশিরভাগ সাপের প্রজাতি বিষাক্ত না হলেও ২৬টি প্রজাতির সাপ মারাত্মক বিষাক্ত। এই বিষাক্তদের মধ্যে আবার বেশিরভাগ প্রজাতির বাস সমুদ্রে। তবে বিষধর সাপ যে বাংলাদেশের মাটিতে একেবারেই নেই তেমন নয়।

এখানে যেমন নির্বিষ দাড়াশ কিংবা ঘরগিন্নি সাপ দেখা যায় তেমনি দেখা যায় গোখরা কিংবা চন্দ্রবোড়ার মত ভয়াবহ বিষধর সাপ। আজ আমরা এমনি ৫ টি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিষধর সাপ সম্পর্কে জানব যাদের ছোবলে মৃত্যও হতে পারে।
সাপ যতই বিষাক্ত হোক না কেন পৃথিবীতে কোনকিছুর সৃষ্টি অহেতুক হয়নি।

সাপ নানাভাবে আমাদের উপকার করে থাকে। এদের বিষ থেকে যেমন তৈরি হয় জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তেমনি এরা ব্যাঙ, ইঁদুরসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য রক্ষা করে। সাপের উপদ্রব বেশি হয় বর্ষাকালে, বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে। কারন এই সময় বৃষ্টিতে সাপের গর্ত পানিতে ডুবে যাওয়ায় সাপ শুকনো জায়গার খোঁজে মানুষের বাড়িতে আসে। তাই এই সময় আমাদের সতর্ক থাকা উচিত।

আরে এ সকল সাপকে যেমন-তেমন সাপুড়ে শীকার করতে পারে না। আর যারা স্বীকার করে অবশ্যই আপনাকে মানতে হবে তারা অনেক অভিজ্ঞ সাপুরে ।কিন্তু অনেক সময় এই অভিজ্ঞ সাপুরেই সাপ স্বীকার করতে গিয়ে মহা বিপদে পড়ে যায় ।তেমনি একটি আজকের ভিডিওতে দেখানো হয়েছে।

একটি সাপুরে গ্রামের এক কোপে সাপ ধরার জন্য গিয়েছিল ।সেখানে নামার পর নিচ থেকে ভেসে উঠলো দুটি কিং কোবরা সাপ ।সাপুড়ের মৃত্যু শঙ্কা জেগে উঠেছিল।পরে তার সতীর্থরা তাকে ঐক্য থেকে উদ্ধার করে। তাই সাপ নিয়ে যখন তখন খেলা করা উচিত নয়।

তবে তাদের কোন ক্ষতি করা যাবে না।কারণ প্রত্যেক প্রাণীর একটি দেশের সম্পদ। কোনোভাবেই দেশের সম্পদ কেউ নষ্ট করা উচিত নয়। আপনাদের যদি এ ধরনের সাপের ছোবল খান তাহলে আপনারা অতিসত্বর চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ চিকিৎসা না নিলে আপনার প্রাণহানি হতে পারে।

আপনার যদি কোন সাধারণ কোন সাপ কামড় দেয় তাহলে আপনি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী একটি ইনজেকশন নিতে পারেন প্রয়োজনে স্যালাইন গ্রহণ করতে পারেন। আপনারা ভাইরাল হওয়া সাপের ভিডিও দেখতে চাইলে নিচের লিংকে যেতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *