স্ত্রী পাখির বাসায় আক্রমন করল ভিবিন্ন পোকামাকর ! স্ত্রী পাখি কে বাচানোর জন্য জীবনের ঝুকি নিয়ে একাই লড়ে যাচ্ছেন পুরুষ পাখি।তুমুল ভাইরাল ভিডিও।

নিজস্ব প্রতিবেদন:পৃথিবীতে দশ হাজারের বেশি প্রজাতির পাখির খোঁজ মিলেছে এখনও পর্যন্ত। চারপাশে উড়তে থাকা এবং কিচিরমিচির করা পাখি দেখে চাপমুক্ত হয় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। ভারত-সহ প্রায় সব দেশেই পাখির সমাহার দেখা যায়। পোষ্য থেকে পরিযায়ী, পাখির ধরন বিভিন্ন। পাখিদের মধ্যে বিশেষত পরিযায়ীরা বছরের নির্দিষ্ট সময়ে এরা বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যায়।

এই ধরনের স্থানান্তর থেকে বেশি দেখা যায় স্বল্পদৈর্ঘ্যের অনিয়মিত গতিবিধি। বেশিরভাগ পাখিই সামাজিক জীব। এরা দৃষ্টিগ্রাহ্য সংকেত এবং ডাক বা শিষের মাধ্যমে একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ করে। পাখির অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশি। খাদ্য হিসেবে এদের গুরুত্ব অপরিসীম। মাংসের জন্য এদের বহু প্রজাতিকে শিকার করা হয় আর কিছু প্রজাতিকে বাণিজ্যিকভাবে পালন করা হয়।

কিন্তু পাখির রূপ নিয়ে সবচেয়ে বেশি চর্চা হয়ে থাকে।কালা-ফিঙে সাধারণত পোকামাকড়, ফড়িং, ঘাসফড়িং, উইপোকা, ভোমরা ইত্যাদি খেয়ে থাকে। কোনো মাঠের মধ্যে শুকিয়ে যাওয়া ঘাস বা শুকনো কাশবন পোড়ানো হলে, এই ফিঙেরা দল বেঁধে আশপাশে অবস্থান করে। তাপে টিকতে না পেরে কোনো পোকা বা ফড়িং বের হলেই ছোঁ মেরে ধরে খায়। আবার কোথাও সুযোগ বুঝে ছোট পাখির বাচ্চাও খেয়ে ফেলতে পারে।

এরা অন্য পাখির ডাক নকল করতে পারে এবং নিজের ডাক ব্যতিরেকে বিভিন্ন ধরনের শব্দ করতে পারঙ্গম।কালা-ফিঙে একটি নজিরবিহীন আগ্রাসী স্বভাবের পাখি।নিজের থেকে অনেক বড় পাখিকেও তারা তীব্রভাবে আক্রমণ করতে পারে। বিশেষ করে কাক বা চিলকে তাড়া করে সীমানা ছাড়া করে দেয়। কখনো কখনো দেখা যায়, সে উড়ন্ত চিলের ওপর দিয়ে উড়তে থাকে এবং মাঝে মাঝে তার পিঠের ওপর খামচি ও ঠোকর দেয়।

এ কারণে শিকারি পাখিরা কালা-ফিঙে থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলে।কালা-ফিঙের আগ্রাসী স্বভাবটি প্রজনন ঋতুতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর সংখ্যাগরিষ্ঠ পাখির প্রজনন ঋতু হচ্ছে- গ্রীষ্ম ও বর্ষাকাল। অনেক ছোট পাখি যেমন- বুলবুল, ঘুঘু, দোয়েল, বেনে বউ, ছাতারে ইত্যাদি কালা-ফিঙের কাছাকাছি বাসা তৈরি করে। কারণ তারা জানে, তাদের রয়েছে অত্যন্ত দক্ষ ও ভয়ংকর এক প্রহরী।

যার ওপর অনায়াসে তাদের বাসা ও ছানাদের নিরাপত্তার জন্য ভরসা করা যায়। এটা নিশ্চিত, কোনো শিকারি পাখি শিকারের খোঁজে কালা-ফিঙের বাসার ধারে কাছে ভিড়বে না। তবে গোল্ডেন ফিজ্যান্ট নামটি প্রাচীন গ্রীক শব্দ
‘খরাসোলোফোস’ থেকে এসেছে, যার অর্থ ‘আঁকা’। পুরুষ পাখিগুলির ওজন ১.৪ কেজি মতো হয়, এবং স্ত্রী পাখিদের ওজন ১.২ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

সঙ্গমের সময় তার সৌন্দর্য্য প্রদর্শনে সহায়তা করার জন্য গোল্ডেন ফিজ্যান্টের ঘাড়ে কমলা কেপ বিশেষ লক্ষ্যনীয়। প্রতি মরসুমে একটি স্ত্রী গোল্ডেন ফিজ্যান্ট ৪০টি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে।চিনে এই পাখিটিকে খাওয়াও হয়।আন্টার্কটিকা ছাড়া প্রায় সব দেশেই দেখতে পাওয়া যায় ফ্ল্যামিংগো। পাখিটি মুগ্ধ করে তার কমলা সৌন্দর্য্যে। ফ্ল্যামিংগো নামটি পর্তুগিজ বা স্প্যানিশ শব্দ ‘ফ্লামেঙ্গো’ থেকে এসেছে, যার অর্থ বর্ণযুক্ত শিখা।

ফ্লেমিংগোর শরীরে শিখার মতো স্তর দেখতে পাওয়া যায়।দীর্ঘ দূরত্ব একেবারে অতিক্রম করার ক্ষমতা রয়েছে এদের। শুধু তাই নয়, প্রতি ঘন্টায় ৫৬ কিলোমিটার গতিতে উড়ে যেতে পারে এরা।ফ্ল্যামিংগোকে ‘ওয়েডিং বার্ড’ও বলা হয়। সাঁতার কাটতেই অত্যন্ত পটু এরা। পৃথিবীতে প্রায় ৬ প্রজাতির ফ্ল্যামিংগো রয়েছে। পূর্ণবয়স্ক ফ্ল্যামিংগো দৈর্ঘ্যে ৪-৫ ফুট ও ওজনে প্রায় সাড়ে তিন কেজি পর্যন্ত হয়। এদের দীর্ঘ গলা ও দীর্ঘ পা কাদা থেকে ছোট মাছ,

প্ল্যাঙ্কটন খেতে সাহায্য করে।মূলত পূর্ব ও মধ্য উত্তর আমেরিকার বনাঞ্চলের পাখি ব্লু জে। নীল, সাদা ও কালো রঙের সমাহারে সাজানো হয় এরা, যা এদের সৌন্দর্য্যের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।সাধারণত দুষ্ট স্বভাবেপ হওয়ায় এবং শরীরে নীল রঙের প্রভাব বেশি থাকায় এদের নামকরণ হয়েছে ব্লু জে হিসেবে। এমনকী ডাকের সময়ও এরা জে জে বলেই ডাকাডাকি করে।

মোহনীয় চেহারা ছাড়াও এই পাখিটির নিজের বুদ্ধিমত্তার জন্যও বিশেষ সুনাম রয়েছে। অন্য পাখিদের ডাক অনুকরণের এক অনন্য ক্ষমতা এদের রয়েছে, যা অন্য পাখিদের বিব্রত করে দেয় মাঝেমধ্যে। অন্য পাখির ডিম ও বাসাও চুরি করে এরা। অন্য পাখিদের ভয় দেখাতে ঈগলের ডাক হুবহু নকল করতেও এদের নাম রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *