সুন্দরী যুবতীর ফুল কপি চাষের এক লংকা কান্ড!রাতারাতি ভাগ্য বদলে গেল যুবতীর!নেট দুনিয়াই ভাইরাল সেই ভিডিও।

নিজস্ব প্রতিবেদন:আমরা জানি ফুলকপি মূলত শীতকালীন ফসল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন চাষী লাভের আশায় জলদি হাইব্রিড ফুলকপির চাষ করে থাকেন। ১৮২২ সালে ইংল্যান্ডের এই সবজির সঙ্গে ভারতীয়দের পরিচয় ঘটে। সেই সময় ইংল্যান্ড থেকে বীজ এনে ভারতে এই ফসলের চাষ শুরু হয়। পরবর্তীতে নিজের দেশেই ভারতীয়রা এই ফসলের বীজ থেকে চারা তৈরি করে প্রায় ১২ মাসই বাজারের চাহিদা মেটাচ্ছেন।

ফুলকপির পুষ্টিগুন নানাবিধ, যেমন প্রতি ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে ০.৮ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১.২% আঁশ, ৪১ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ২.৬% আমিষ, ৪১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৫ মিলিগ্রাম আয়রন, ০.০২৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.০৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ ও ৭.৫% শর্করা ইত্যাদি পাওয়া যায়।ঠাণ্ডা ও আর্দ্রতা জলবায়ুতে ফুলকপির ভাল ফলন পাওয়া যায়। সেচ ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধা আছে এমন ধরনের সব মাটিতে ফুলকপির চাষ ভাল হয়।

আমাদের দেশে মাঘী, অগ্রহায়ণী, পৌষালী, বারি ফুলকপি-১, ২ ইত্যাদি বিভিন্ন জাতের ফুলকপি পাওয়া যায়। ফুলকপি বপনের উপযুক্ত সময় হল আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর। প্রতি শতকে বীজের পরিমাণ দুই গ্রাম। বীজতলার জন্য ৩ ×১ মিটার মাপের ১৫ সে.মি. উঁচু বেড তৈরি করলে ভাল হয়। বীজতলার উপরের স্তরে ১:১ অনুপাতে পচা গোবর/আবর্জনা সার এবং দো-আঁশ মাটির মিশ্রণ ছড়িয়ে দিতে হবে। এরপর তিন-চার সপ্তাহ পলিথিন দিয়ে মাটি ঢেকে রেখে শোধনের পর পাঁচ সে. মি. দূরে দূরে লাইনে ছিটিয়ে ১০ গ্রাম বীজ বুনতে হবে।

অতিবৃষ্টি ও রোদের ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য উপরে পলিথিন বা চাটাইয়ের আচ্ছাদন দিতে হবে। ১০ দিন পর দ্বিতীয় বীজতলায় পাঁচ সে.মি. পর পর সারি করে দুই সে.মি. দূরে দূরে শেষ বিকেলে স্থানানস্তর করতে হবে। দ্বিতীয় বীজতলায় চারা স্থানানস্তরের পাঁচ দিন পর বীজতলার চারায় প্রতি ১০ লিটার পানির সাথে ৩০ গ্রাম সোহাগা মিশিয়ে স্প্রে করা অত্যাবশ্যক।প্রতি হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষের জন্য ৩০০-৩৫০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন।

ভালোভাবে জমি তৈরি করার পর ১০-১৫ সে.মি. উঁচু পাশাপাশি ২ টি বেডের মাঝখানে ৩০ সে.মি. চওড়া ও ২৫ সেমি গভীর নালা রাখুন।ফুলকপির চারা বীজতলায় উৎপাদন করুন। ১×৩ মিটার বীজতলায় সমপরিমাণ বালি, মাটি ও জৈবসার মিশিয়ে ঝুরাঝুরা করে তৈরি করুন। দ্বিতীয় বীজতলায় চারা রোপণের ৭/৮ দিন আগে প্রতি বীজতলায় ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ গ্রাম টিএসপি/ ডিএপি ও ১০০ গ্রাম এমওপি সার ভালভাবে মিশিয়ে দিন।

চারা ঠিকমত না বাড়লে পরে প্রতি বীজতলায় প্রায় ১০০ গ্রাম পরিমাণ ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিন। বীজ গজানোর ১০-১২ দিন পর গজানো চারা দ্বিতীয় বীজতলায় স্থানান্তর করুন।ফুলকপি চাষের জন্য ৩০ দিন বয়সের চারা লাগাতে হয়। সারি থেকে সারির দূরত্ব ১২ ইঞ্চি এবং সারিতে গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১৮ ইঞ্চি হবে। চারা রোপণের সময় সতর্ক থাকুন, যেন শিকড় মুচড়ে বা বেঁকে না যায়। এতে চারার মাটিতে প্রতিষ্ঠা পেতে দেরি হয় ও বাড়ন কমে।

রোপণের প্রথম কয়েক দিন প্রখর রোদে যাতে চারা ঝিমিয়ে না যায় তার জন্য কাগজ বা কলার খোল দিয়ে ছায়া দিন। ফুলকপির চারা বীজতলায় উৎপাদন করুন। ১ ×৩ মিটার বীজতলায় সমপরিমাণ বালি, মাটি ও জৈবসার মিশিয়ে ঝুরাঝুরা করে তৈরি করুন। দ্বিতীয় বীজতলায় চারা রোপণের ৭/৮ দিন আগে প্রতি বীজতলায় ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ গ্রাম টিএসপি/ডিএপি ও ১০০ গ্রাম এমওপি সার ভালভাবে মিশিয়ে দিন।

চারা ঠিকমত না বাড়লে পরে প্রতি বীজতলায় প্রায় ১০০ গ্রাম পরিমাণ ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিন। বীজ গজানোর ১০-১২ দিন পর গজানো চারা দ্বিতীয় বীজতলায় স্থানান্তর করুন। ফুলকপি চাষের জন্য ৩০ দিন বয়সের চারা লাগাতে হয়। সারি থেকে সারির দূরত্ব ২৪ ইঞ্চি এবং সারিতে গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১৮ ইঞ্চি হবে। চারা রোপণের সময় সতর্ক থাকুন, যেন শিকড় মুচড়ে বা বেঁকে না যায়।

এতে চারার মাটিতে প্রতিষ্ঠা পেতে দেরি হয় ও বাড়ন কমে। রোপণের প্রথম কয়েক দিন প্রখর রোদে যাতে চারা ঝিমিয়ে না যায় তার জন্য কাগজ বা কলার খোল দিয়ে ছায়া দিন।বিস্তারিত ভিডিও তে দেওয়া হলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *