নিজস্ব প্রতিবেদন:সাপ হাত-পা বিহীন দীর্ঘ শরীরের, মাংসাশী, ধূর্ত এক প্রকার সরীসৃপ। এদের চোখের পাতা এবং বহিকর্ণ না থাকায়, সাপ পা-বিহীন টিকটিকি থেকে আলাদা।সাপ সরীসৃপ গোত্রের একটি প্রাণী। পৃথিবীতে ছোট- বড় আকারের প্রায় ২৯০০ প্রজাতির সাপ রয়েছে।
সবচেয়ে ছোট সাপের আকার ১০ সে.মি. (থ্রেড সাপ)। আবার বড় আকারের সাপ ৭.৬ মিটার (অজগর বা অ্যানাকোন্ডা) পর্যন্ত হয়ে থাকে। বেশির ভাগ সাপই বিষহীন হয়ে থাকে। মাত্র ৫ শতাংশ সাপ বিষধর হয়ে থাকে। বাংলাদেশে বিষধর সাপের মধ্যে গোখরা অন্যতম। বাংলাদেশে কিছু সংখ্যক সাপের খামার রয়েছে।
সাপকে সবাই ভয় পায়। সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে এ খামার প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী হয়ে উঠেছিল অনেকেই। বিষধর সাপ থেকে বিষ সংগ্রহ এবং সেই বিষ বিক্রি ও রপ্তানির লক্ষ্য নিয়ে গড়ে ওঠা এসব খামার এখনো সরকারি অনুমোদন পায়নি। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এ ব্যবসায় জড়িতরা।
সরকারি নিয়ম মেনেই সাপের খামার করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছিল ঝালকাঠির তরুণ উদ্যোক্তারা। প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জমা দিয়েও প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে আজ পর্যন্ত তার কোন সুরহা না হওয়ায় এখন এ পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন খামারিরা।
সম্প্রতি ঝালকাঠির বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে ওঠা সাপের খামার ঘুরে দেখেন রাইজিংবিডির প্রতিনিধি। হঠাৎ করেই তার মাথায় বানিজ্যিক ভাবে সাপের খামার গড়ে তোলার খেয়াল আসে। তবে এখন সাপের খাবারসহ নানা রকমের আর্থিক খরচ জোগাতে হিমিশিমি খেতে হচ্ছে তাকে।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যদি সরকার সাপের খামার করার অনুমোদন দেয় তাহলে আমরা এ ব্যাবসা থেকে লাভবান হবো। একটি খামারে পরিচালনা করতে কমপক্ষে ৫ জন লোকের দরকার হয়। এছাড়াও সাপকে মুরগির বাচ্চা, ডিমসহ নানা ধরনের খাবার দিতে হয়। যা অনেক ব্যয় বহুল
কারণ সাপের বিষ দিয়ে যেকোনো সময় মানুষকে বা অন্য কোন প্রাণীকে জীবন অবসান করতে পারে। কিন্তু আজকে যে প্রতিবেদনটি শুরু করব তাতে ভিন্ন কিছু ঘটতে যাচ্ছে। রাস্তার ইট এর নিচে চাপা পড়ে যাওয়া একটি সাপ কে নতুন জীবন দিলো একজন যুবক।
সাপ বিভিন্ন গাছপালা বেয়ে থাকে। একসময় সাপ টি গাছের অনেক উঁচুতে উঠে যায় সেখান থেকে সাপ ডাল ভেঙ্গে রাস্তার ইটের নিচে চাপা পড়ে যায়। এটা নিচে চাপা পড়ে যাওয়া সাপটি ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল। তখন রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল একটি যুবক কিচিরমিচির আওয়াজ শুনে রাস্তার পাশে আসলো।
এসে যুবক দেখলো একটি সাপ এটা নিচে চাপা পড়ে রয়েছে। যুবক সাপটিকে উদ্ধার করল এবং বনি নিয়ে গেল। সাপে ছিল ভীষণ ক্ষুধার্ত তার এতটা খিদা পেয়েছে যার জন্য সে গাছের উঁচুতে উঠে পাখিকে স্বীকার করতে গিয়েছিল।
পাখিকে স্বীকার করতে না পেরে সাপটি গাছের উৎস থেকে নিচে পড়ে যায়। যুবক সব থেকে বাঁচানোর জন্য দৌড়ে আসেন। সাপটিকে উদ্ধার করে যুবক মুক্ত করে দিলেন। কান্ড দেখে যুবকের কান্না দেখে সবাই দৌড়ে আসলো এবং সে দৃশ্যটি ভিডিও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করল।