নিজস্ব প্রতিবেদন:পৃথিবীর সর্বত্রই প্রকৃতির অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়। একই সময়ে, লোকেরা ছুটি কাটাতে প্রায়শই কিছু দ্বীপে ঘুরতে বের হয়। দ্বীপের সৌন্দর্য এতই দুর্দান্ত যে এটি যে কাউকে মোহিত করযে পারে। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক দ্বীপ রয়েছে, যেখানে না যাওয়া ভাল। আসলে, সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি এই দ্বীপগুলি খুব বিপজ্জনক।
আজ আমরা আপনাকে বিশ্বের এমন একটি দ্বীপ সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যেখানে যাওয়ার অর্থ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা।মিয়াকেজিমা ইজু দ্বীপ বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক দ্বীপ। এই দ্বীপে বিষাক্ত গ্যাসের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি স্তরে পৌঁছেছে। এ কারণে এখানকার লোকেরা সারাক্ষণ মুখোশ পরে থাকে। এখানে বিগত এক শতাব্দী ধরে বহু আগ্নেয়গিরির আগমন ঘটে।
২০০০ সালে, একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল, এতে লাভা সহ প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত গ্যাস বের হয়। পরে আগ্নেয়গিরি শীতল হয়ে যায় তবে বিষাক্ত গ্যাসের নির্গমন এখনও থামেনি। কারণ এই লোকেরা এই দ্বীপে আসতে পছন্দ করে না।একই সময়ে, প্রোগলিয়া দ্বীপটিকে ‘মৃত্যুর দ্বীপ’ বলা হয়। কথিত আছে যে লক্ষ লক্ষ বছর আগে এই দ্বীপে কয়েক লক্ষ লক্ষ মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সেই থেকে এই দ্বীপটি সম্পূর্ণ নির্জনে পরিণত হয়েছে। একই সময়ে, এই দ্বীপটিকে ভূতুড়ে দ্বীপও বলা হয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই দ্বীপে পরিদর্শন করা লোকেরা ফিরতে অক্ষম।সৌন্দর্য আর রহস্য কি সব সময় পাশাপাশি অবস্থান করে? এই পৃথিবীতেই এমন কিছু ভয়ংকর সুন্দর জায়গা রয়েছে, যেখানে যেতে পারলে আপনি হয়ত অজান্তেই বলে উঠবেন ওয়াও!
এই স্থানগুলো সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে বসে থাকলেও এর পরতে পরতে রয়েছে মৃত্যুর আশঙ্কা।ডোর টু হেল, তুর্কমেনিস্তান বাংলায় যাকে বলা যায় নরকের দরজা। নামটা শুনেই ভয় লাগার কথা যে কারো। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মূলত এটি একটি প্রাকৃতিক গ্যাস উদ্গীরণস্থল। মরুর বুকে প্রায় ৭০ মিটার ব্যাস ও ৩০ মিটার গভীর এই গর্ত কয়েক দশক ধরে জ্বলছে।
১৯৭১ সালে, তুর্কমেনিস্তানের ড্রাভা শহরের কারাকুম মরুভূমিতে গ্যাসের খনির সন্ধান মেলে। প্রাথমিকভাবে গবেষণা করে দেখা যায় এটি বিষাক্ত গ্যাস। এই বিষাক্ত গ্যাস যাতে চারদিকে ছড়িয়ে গিয়ে আশেপাশের এলাকার ক্ষতি করতে না পারে এজন্য গ্যাস জ্বালিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন গবেষকরা।
গবেষকদের ধারনা ছিলো অল্প কয়েক দিনের মধ্যে এই বিষাক্ত গ্যাস শেষ হয়ে যাবে এবং আগুন নিভে যাবে।এল কামিনিতো ডেলরে, স্পেন মূলত এটি পাহাড়ের গা ঘেঁষা একটি ভয়ংকর রাস্তা। পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর রাস্তা হিসাবে পরিচিত এল কামিনিতো ডেলরে। ২.৫ মাইল দীর্ঘ রাস্তাটি ভূমি থেকে ৩৩০ ফুট উঁচুতে স্পেনের উত্তর গাইতনেজ জর্জে অবস্থিত। এটির আরেক নাম কিংস পাথওয়ে।
পথটি কংক্রিট দিয়ে তৈরি এবং এর ওপর স্টিলের পাত বিছানো।পথটি অতিক্রম করতে হলে ৪৫ ডিগ্রী খাড়া খাড়া পাথর বেয়ে উঁচুতে উঠতে হয়।যদি কারো পাড়ার চড়ার বা এমন রাস্তা পাড়ি দেয়ার অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে এ পথ অতিক্রম করা বোকার মতো কাজ হবে। কারণ, একটু এদিক-সেদিক হলেই পড়ে যাবেন গুয়াদালহোর্স এর গভীর নদীতে। যার ফলাফল মৃত্যু।
মাদিদি ন্যাশনাল পার্ক দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া আন্দিজ পর্বত মালার অনেক উঁচুতে অবস্থিত মাদিদি ন্যাশনাল পার্ক। আন্দিজ থেকে ৭,০০০ বর্গমাইল দূরে আমাজনের গহিনে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পসরা বসিয়েছে এই পার্ক। এখানে রয়েছে, বরফাবৃত পর্বতশ্রেণী এবং অসাধারণ জীব ও উদ্ভিদ জগত।
চারদিকে সবুজ গাছপালায় ঘেরা বিশার আকৃতির ছাদের মতো লাগে। এই কারণে বলিভিয়াকে পৃথিবীর ছাদ বলা হয়।এটি বিশ্বের সবচেয়ে চমৎকার বায়োডাইভার্স এলাকার একটি।