মেয়েরা এই ১০ টি কাজ গোপনে করে থাকে, কখনো স্বীকার করেনা

ছেলেরাই নাকি নোং’রা, অগোছালো, কেয়ারলেস আরো কতকি. কিন্তু মেয়েরা কি ধোয়া তুলসীপাতা? তবে ছেলেদের ব্যাপারে এরকম কোথায় কেন বলা হয়? ভেবেছেন কখনো যে মেয়েরাও সমানভাবে নোংরা অগোছালো হতে পারে?

যেখানে চাঁদে যাওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত কাজে এখন মেয়েরা ছেলেদের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে সেরকম এইসব নগন্য দিক থেকেও তারা আসলে ছেলেদের থেকে কোনো অংশে কম নন। পার্থক্যটা হলো- ছেলেদের ব্যাপার গুলো প্রকাশ পায়, মেয়েদের তা ঢাকা পরে যায় কারণ কারণ মেয়েরা সেগুলি কখনোই জনসমক্ষে প্রকাশ করেননা। যেমন- বেশি ঠান্ডায় স্নান না করা, জামাকাপড় না কেচে পড়া, বারবার ব্যবহৃত অন্তর্বাস উল্টে পরা এইসব আর কি।

এবার সকলেই জেনে নিন আপনার আশেপাশে যে মেয়েরা ঘোরাফেরা করছে তারা কতটা অরুচিকর কাজ করতে পারে।

১. প্রাক্তনকে উত্যক্ত করা: যা স্টকার সিনড্রোম নাম পরিচিত. শুধু প্রাক্তনকেই নয়, তার নতুন বান্ধবীকে উত্যক্ত করা, বান্ধবীর সমস্ত রকমের ডেটা কালেকশন করে প্রাক্তনকে মনে মনে টিজ করা।

২. গো’পনাঙ্গ শেভ করা: গোপনাঙ্গ শেভ করে পরে অনুশোচনা করা। কারণ যখন গো’পনা’ঙ্গ শেভ করা হয় তা অল্প সময়ের জন্য মসৃন থাকলেও কিছুদিনের মধ্যেই তা চুলকানি সৃষ্টি করে। যা রাস্তাঘাটে মেয়েদেরকে বিপদে ফেলে দেয়। তও এতো কষ্ট সহ্য করেও বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গেলে মেয়েরা পুনরায় সেই কাজই করে।

৩. ব্রা: ব্রা কখনো নোংরা হয়না ওমতো বিশ্বাস রেখে মেয়েরা বারবার ব্যবহার করা ব্রা না কেচেই তা পরে বেরিয়ে যান। অনেক ব্রা থাকলেও ওই ব্যবহৃত ব্রা টিই পরে বেরোন।

৪. চোখে জল: মেয়েরা চান যে কান্নাকাটি করার সময়েও তাকে যেন সুন্দরী দেখতে লাগে। কাঁদার সময়েও মেয়েরা বারবার আয়নাতে দেখার চেষ্টা করেন যে তাদের ঠিক কিরকম দেখাচ্ছে। খুব বাজে লাগছে নাতো? আবার অনেকেই কাঁদার সময় নিজেদের সেলফিও তুলে রাখেন।

৫. ওয়াক্সিং অনুযায়ী পোশাক: যদিও বারবার ওয়াক্সিং করতে গেলে মেজাজ খারাপ হয়, তবে খুব প্রয়োজন এলেই তবে করতেও হয়। তাছাড়া ফুল প্যান্ট এবং গেঞ্জি তাই কাটিয়ে দেওয়া যায়। শীতকালে ওয়াক্সিং করা থেকে মুক্তি মেলে।

৬. মেয়েরাও নাক খোঁটে: চোখের সামনে কাউকে নাক খুঁটতে দেখলে মেয়েদের যেন গা ঘিনঘিন করে ওঠে, অথচ সুযোগ পেলে মেয়েরাও যে নাক খোঁটে তা খুব অস্বাভাবিক নয়। খুব সাবধানে যখন আশেপাশে কেও থাকেনা সেই সুযোগে নাক খুটে নেয় মেয়েরাও।

৭. পাবলিক ওয়াশরুম: পাবলিক ওয়াশরুম ব্যবহারের কথা অনেক মেয়েই স্বীকার করতে চাননা। ঘৃণা করেন। তবে কোনোকারণে ব্যবহার করে ফেললে পাশের রুমে কেও ঢুকলে মেয়েরা ততক্ষন পায়খানা চেপে রাখেন, পাশের রাম থেকে কেও বেরিয়ে গেলে তখন করেন। অস্বসস্তি বোধ করেন তারা।

৮. রোজ স্নান করেন না: কোনো মানুষই রোজ স্নান করেননা- এই ধারণা মাথায় রেখে মেয়েরাও তা করেননা। কিছুদিনবের মধ্যে মাথা চুলকোতে শুরু করে, গায়ে গন্ধ ছাড়ে, মাথায় সাদা খুশকির পাহাড় জমতে ঠগকে – তখন ড্ৰাই শ্যাম্পু ব্যবহার করেই নিজেদের সান্তনা দিতে হয়। গায়ে গন্ধ ছাড়লে বগল ধুয়ে পারফিউম লাগিয়ে নেন আবার শুধু মুখ ধুয়ে মেকাপ কিন্তু ঠিকই করে নেন। যেন পুরো ফ্রেশ লুক চলে আসে।

৯. অপছন্দের মানুষের সাথে মনে মনেই ঝ’গড়া করতে শুরু করেন মেয়েরা। যাদেরকে ঘৃণা করেন, তাদের সাথে দেখা হলে কি কি ডায়লগ দেবেন বা কিভাবে ব্যবহার করবেন তার প্ল্যানিং আগে থেকেই চলতে থাকে মেয়েদের ম্যনের মধ্যে। এদের অপমান করার সুযোগ তারা ছাড়তে চাননা।

১০. রোম্যান্টিক সিনেমা দেখে প্রায় সমস্ত মেয়েই কেঁ’দে ফেলে। বাইরে যতই কা’ঠিন্যতা দেখাক না কেন, কোনোরকম সিরিয়াস ইমোশনাল সিন্ দেখলেই মেয়েরা কেঁ’দে ফেলেন। কিন্তু তা স্বীকার করেননা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *