মাত্র ২ মিনিটে শুধুমাত্র কলা আর চাউল বানিয়ে ফেলুন ফেসপ্যাক! যা আপনার ত্বক এর উজ্জলতা বাড়াবে

পাকা হোক বা কাঁচা, দুই অবস্থাতেই কলা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। কলা এমন একটি ফল, যা পেট ভরায়, পুষ্টিগুণ জোগায়, শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। কিন্তু জানেন কি, শুধু কলা নয়, কলার খোসারও রয়েছে নানা গুণ। ঘরের কাজ থেকে শুরু করে রূপচর্চা— কলার খোসার কিন্তু জুড়ি মেলা ভার।

সুস্বাদু খাবার: কাঁচকলার খোসা ফেলে না দিয়ে কুচিয়ে ভাপিয়ে নিন। সঙ্গে অল্প কালো জিরে, গোলমরিচ গুঁড়ো, পেঁয়াজ, রসুন ও তেল দিয়ে রান্না করে ফেলুন চমৎকার ভর্তা। এর সঙ্গে চিংড়িও দিতে পারেন। আরও বেড়ে যাবে রান্নার স্বাদ।

জুতোর যত্ন: চামড়ার জুতোর জেদি দাগ তুলতেও কলার খোসাকে ব্যবহার করা যেতেই পারে। পাকা কলার খোসার ভিতরের অংশ জুতোর উপরে ঘষুন কিছু ক্ষণ। তার পর পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে নিন জুতো। জুতো সহজেই চকচকে হবে।

সার: কলার খোসায় থাকা পটাশিয়াম ও সোডিয়াম খুব ভাল বায়োডিগ্রেডেবল এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। তাই বাগানে ফুল গাছে সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা।

দাঁতের ঔজ্জ্বল্য: দাঁতের হলুদ ছোপ পড়েছে? এ ক্ষেত্রেও কাজে আসতে পারে কলার খোসা। প্রতি দিন সকালে কলার খোসার ভিতরের অংশ দাঁতে ঘষুন কিছু ক্ষণের জন্য। তার পর টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজুন। এই পন্থা মেনে চললে সপ্তাহ খানেকেই দাঁতের ঔজ্জ্বল্য ফিরে পাবেন।

ত্বকের যত্ন: ত্বকের সমস্যায় জর্জরিত? কলার খোসা বেটে তার সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। মুখের কালো দাগ বা বলিরেখা দূর হবে সহজে। ত্বককে মসৃণ করতেও কলার খোসা অত্যন্ত দরকারি। শুষ্ক ত্বকে কলার খোসার ভিতরের অংশ লাগিয়ে রাখুন। কিছু ক্ষণ পর শুকিয়ে এলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক মোলায়েম হবে, ত্বকের জেল্লাও বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *