মাত্র ১০ টি উপায়ে ঝেড়ে ফেলুন শরীর থেকে বাড়তি মেদ। ফাস হলো সিক্স প্যাক বডি বানানোর সহজ এবং চমৎকার এক কৌশল। রইল ভিডিও সহ স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি।

নিজস্ব প্রতিবেদন:শারীরিক ব্যায়াম করার পাশাপাশি আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে।শরীরের পেশি সুগঠিত করার জন্য আপনাকে যে জিমে যেতে হবে এমনটা নয়।আপনি ইচ্ছা করলে আপনার বাড়িতে থাকা বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন। তবে আপনার যদি জিমে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে আরো ভালো।

ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে আপনি যদি একদম নতুন হন তাহলে শুরুতেই আপনার ভারী ব্যায়াম করা একদমই উচিত নয়। প্রথম অবস্থায় হালকা ব্যায়াম করতে হবে কিছুদিন এরপর আস্তে আস্তে সমর্থন অনুযায়ী আপনার ব্যায়ামের পরিমাণ বাড়াতে পারেন। ব্যায়াম করে দ্রুত বডি বানানোর উপায়: এক্ষেত্রে প্রথম দিকে আপনি খালি হাতের ব্যায়াম করতে পারেন। অথবা হালকা কিছু ব্যায়াম যেমন দড়ি লাফ দেয়া।

শুরুতে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যতক্ষণ পারেন দড়ির লাফ দিতে পারেন।দশ মিনিট করে দৌড়াতে পারেন কয়েক ধাপে। এছাড়া আপনার পছন্দ মত নানা রকম ব্যায়াম করতে পারেন। কিছুদিন হালকা ব্যায়াম করার পর আস্তে আস্তে আপনি ভারী ব্যায়াম শুরু করতে পারেন।তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন ভারী ব্যায়াম শুরু করার ক্ষেত্রে প্রথম অবস্থাতে বেশি ওজনের ডাম্বেল বারবেল দিয়ে ব্যায়াম করবেন না। প্রথম অবস্থায় সমর্থ অনুযায়ী অল্প ওজন দিয়ে ব্যায়াম করবেন।

কারণ শরীরের অতিরিক্ত ওজন আপনার বডি বিল্ডিং হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে। আর আপনি যদি 18 থেকে 20 বছরের কম বয়সের হয়ে থাকেন। তাহলে ভারী ব্যায়াম করা একেবারেই উচিত নয়। এতে আপনার বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।তাছাড়াও ভারী ব্যায়াম করার ফলে পেশীর উপরে খুব চাপ পড়লে পেশী সঠিক ভাবে বাড়তে পারে না। তবে আমাদের ভিতরে বেশির ভাগ লোকই হাতের দুই বাহুতে গুরুত্ব বেশি দেয়।

দ্রুত ওজন কমাতে নানা উপায় অবলম্বন করি আমরা। ওজন ঝরিয়ে নিজেকে কাঙ্ক্ষিত একটি রূপ দিতে চায় সবাই। যদি এমন হয়, মাত্র পাঁচ দিনেই আপনি ওজন ঝরিয়ে ফেলতে পারবেন অনেকটা? চলুন জেনে নেই কেমন হবে সেই ডায়েট-পাঁচ দিন ডায়েটের প্রথম দিন ডিটক্স করার সময়। এই দিন লিকুইড ডায়েটে থাকুন। সকাল বেলা গ্রিন টি বা লেমন হানি ইনফিউশন দিয়ে শুরু করুন। দুপুরের দিকে খেতে পারেন বাটারমিল্ক, গাজর বা বিটের রস।

এ ছাড়াও চলতে পারে নিম্বু পানি বা ডাবের পানি। ডিনারে খান হালকা ক্লিয়ার স্যুপ।দ্বিতীয় দিন ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনারে খান কিনোয়া। কিনোয়া স্যালাড বা কিনোয়ার উপমা খেতে পারেন। দ্বিতীয় দিন মিড ডে স্ন্যাকস হিসেবে খান ফল বা সুগার ফ্রি ড্রিঙ্ক। একমুঠো বাদাম বা বীজও খেতে পারেন। সঙ্গে খান গ্রিন টি, নারকেলের পানি বা পাতলা ভেজটেবল স্যুপ।তৃতীয় দিন ভরসা রাখুন ওটসের ওপর। গ্লুটেন ফ্রি হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল,

ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় ওটমিল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।চতুর্থ দিন সারাদিন খেতে পারেন মুগ, পালং, পেঁপে, স্প্রাউট স্যালাডের মতো খাবার। পঞ্চম দিন প্রোটিন সমৃদ্ধ ডায়েট খেয়ে এনার্জি ফিরে পাওয়ার দিন। শরীরের প্রতিটি কোষ, হাড়, পেশী সবকিছুর কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজন প্রোটিন। এই দিন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। প্রোটিন শেক বা প্রোটিন বার নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *