মহাসাগরে লুকিয়ে ছিল ভয়ঙ্কর মাছ! হঠাৎ ভেসে উঠল ভয়ঙ্কর মাছটি। নেটদুনিয়াই তুমুল ভাইরাল সেই ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদন:বনে বাঘ, জঙ্গলে সাপ, পানিতে কুমির, এইসব তো পবাই জানি। কিন্তু নদী এবং সাগরে এমনও কিছু ভয়ংকর মাছ রয়েছে, যাদের সামনে এগুলোও হার মেনে যাবে। প্রতি বছরই এরা কেড়ে নেয় হাজারো মানুষের প্রাণ।

আমরা প্রতিদিনই একুরিয়ামে মাছ দেখে এদের সৌন্দর্য উপভোগ করি। কিন্তু আমাদের আশে পাশে এমনো, কিছু ভয়ংকর মাছ রয়েছে, যারা তাদের শত্রুকে চোখের পলকেই মৃত্যুর স্বাদ এনে দিতে পারে। যারা হয়তবা বিশাল আকৃতির নয় ,কিন্তু এদের দেহের সাথেই জরিয়ে আছে ভয়ংকর শব্দটি।

যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্রবিজ্ঞানীরা পানি ছেড়ে ডাঙায় বাঁচতে পারে এমন মাছের সন্ধান পেয়েছেন। মাছটিকে ‘ভ’য়ংকর’ আখ্যায়িত করে দেখামাত্র মে’রে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, মাছগুলো দেখতে অনেকটা ধানবের মতো।

তাই নাম দেওয়া হয়েছে ধানাব ফিশ’।১৯৯৭ সালেও একবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নাডিনোর।সিলভারহুড লেকে ধরা পড়ে এই মাছ। সেসময় ধারণা করা হয়েছিল মাছটি পূর্ব এশিয়ার। এটিকে এখন জর্জিয়ায় পেয়ে অবাক হচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।২০০২ সালে ধানবড ফিশ ধরা এবং বিক্রি বে’আইনি বলে ঘোষণা করা হয়।

সম্প্রতি মেরিল্যান্ড প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিজ্ঞানীরা গবেষণায় জানতে পেরেছেন, এর শ্বাসতন্ত্র এমনভাবে তৈরি যে বাতাস থেকে মানুষের মতো শ্বাস নিতে পারে। ফলে পানি থেকে ডা’ঙায় তুললেও জীবন ধারণে কোনো সমস্যা হয় না।তবে আচমকা পরিবেশ বদলের ফলে কিছুটা নি’স্তেজ হয়ে পড়ে।

জলাশয়ের অন্যান্য প্রাণী, ছোট মাছ এমনকি ছোট ইঁদুরও এর খাদ্য তালিকায় রয়েছে। আর এই কারণেই অন্যান্য জলজ প্রাণীর কাছে এটি বিপদের কারণ।লম্বায় তিন ফুটের কাছাকাছি মাছটি প্রায় ১৮ পাউন্ড ওজনের হয়। সেই সঙ্গে রয়েছে ধা’রালো দাঁত। যার সাহায্যে শি’কারে কোনো সমস্যা হয় না।

আমাদের এই লিষ্টের প্রথমেই যে ভয়ংকর মাছটি রয়েছে,তার নাম হল বক্স জেলি ফিশ। পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণীর মকুট টি পরে বসে আছে অদ্ভুত এই সুন্দর প্রাণী টি।দেখতে অপরুপ সুন্দর হলেও, এর সাক্ষাতে হতে পারে আপনার মৃত্যু। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তি শালী বিষ শরীরে নিয়ে এরা বসবাস করে ।

সাধারণত একটি জেলি ফিশ লম্বায় ৩ মিটার অব্দি হয়ে থাকে। পেটে অনেক চোখ থাকে, যার ফলে এদের কে অনেক ভয়ানক লাগে। এরা গবীর সমুদ্রে থাকলেও মাঝে মাঝে ,খাবারের সন্ধানে বীচের কাছাকাছি চলে আসে। আর তখনি মানুষ এদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়। এদের বিষ ক্রিয়ার পরিমান এত বেশি যে, একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ, এক মিনিটেই কোমায় চলে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *