বেপড়োয়া ড্রাইভার আস্ত এক খড়ের স্তুপ বোঝায় করে টান দিতেই ঘটল অগটন। অল্পের জন্য বড় ধরনের বিপদ থেকে বেচে গেল ট্রাক ড্রাইভার। ড্রাইভার কে নিয়ে নিন্দার ঝড় নেটিজনদের। তুমুল ভাইরাল ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদন:গাড়ি সতর্কভাবে চালানো উচিত, কারণ এর সাথে অনেক মানুষের জীবন জড়িয়ে থাকে। চালকের একটু অসতর্কতা কেড়ে নিতে পারে হাজারো জীবন। আর তাই তো রাস্তায় সাবধানে গাড়ি চালানো দরকার।গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল চালানো, খাবার খাওয়া, ধূমপান করা ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এগুলো রাস্তা থেকে পূর্ণ মনোযোগ সরিয়ে নেয়। আর যেটা কোন দুর্ঘটনার কারন হতে পারে।

গাড়ি চালানোর সময় সাথে বাচ্চা থাকলে সতর্ক হওয়া উচিা। কারণ বাচ্চারা মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। গাড়ি চালানোর সময় ঘুম ঘুম ভাব বিশেষ করে রাতের বেলা খুবই বিপদজনক। এক্ষেত্রে রাত্রে একটা ভালো ঘুম খুব উপকারী। যেসব ওষুধ খেলে ঘুম বেশি হয়, সেসব ওষুধের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।গাড়ি চালানোর আগে গাড়ীর বিভিন্ন পার্টস ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করে নেয়া। যেমনঃ গাড়ির হ্যান্ড ব্রেক ঠিক মতো কাজ করছে কিনা,

রেডিয়েটরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি আছে কিনা, হর্ন ঠিকমত বাজে কিনা, গাড়ীর চাকায় হাওয়া আছে কিনা ইত্যাদি পরীক্ষা করে নেওয়া। এছাড়াও এক্সিলেটর প্যাডেল, ব্রেক প্যাডেল, স্টিয়ারিং হুইল, ওয়াইপার সুইচ ঠিক আছে কিনা তা চেক করে দেখতে হবে।আর যারা নতুন গাড়ি কিনেছেন, তাই সেটি নিজে ড্রাইভ করার ইচ্ছা জাগাটাই স্বাভাবিক। নিজে ড্রাইভ করতে পারলে গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ খাতে খরচ অনেকটাই কমে যায়।

তবে ড্রাইভিং শেখার পর শুরুর দিকে কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে অনেকটাই। জেনে রাখুন সেগুলো—রিয়ার ভিউ মিরর গাড়িতে ড্রাইভিং সিটে বসার পরই যে কাজটি করতে হবে, তা হচ্ছে রিয়ার ভিউ মিরর নিজের উচ্চতা অনুযায়ী ঠিক করে নিতে হবে। এতে করে যাত্রাপথে পেছনের দিকে নজর রাখা সহজ হবে ও বারবার মিরর ঠিক করতে হবে না।চাকা পরীক্ষা করতে হবে,

গাড়িতে বসার আগেই গাড়ির সব টায়ার পরীক্ষা করে নিতে হবে। ড্রাইভিংয়ে একেবারেই নতুন হলে একটি প্লাস্টিকের বোতল খানিকটা চ্যাপ্টা করে নিন। এবার সেটাকে এমনভাবে রাখুন যেন গাড়ির চাকা ঘুরলে বোতলের ওপরে পড়ে। এবার ধীরে ধারে গাড়ি চালিয়ে যান বোতলের ওপর দিয়ে। এ সময় জানালা খোলা রাখুন যেন বোতল ভেঙে যাওয়ার শব্দ কানে পৌঁছে। এতে করে পথে গাড়ি চালানোর সময় চাকার নিচে কিছু পড়লে ও বন্ধুর পথে গাড়ি চালানো সহজ হয়ে যাবে।

বাঁধতে হবে সিটবেল্,নতুন বা পুরনো— যেটাই হোক না কেন গাড়িতে বসলেই বেঁধে নিতে হবে সিটবেল্ট। যদিও বেশির ভাগই সিটবেল্ট বাঁধেন না, তবে সড়কপথে নিরাপদ থাকতে অবশ্যই এ নিয়ম মেনে চলা জরুরি। গাড়ির ইঞ্জিন চালু হওয়ার আগেই নিশ্চিত করুন সিটবেল্ট বেঁধে আপনি ড্রাইভিংয়ের জন্য প্রস্তুত হয়েছেন।হ্যান্ডব্রেক ব্যবহারে অভ্যস্ত হোন সবসময় হ্যান্ডব্রেক ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন। কারণ হ্যান্ডব্রেক নিয়মিত ব্যবহার না করলে তা কিছুদিন পর না-

ও কাজ করতে পারে। জেনে রাখা ভালো পার্কিং ব্রেক বা হ্যান্ডব্রেকের কেবল এমনভাবে ডিজাইন করা যে, আপনি যদি নিয়মিত ব্যবহার না করেন, তাহলে এটা ধীরে ধীরে অচল হয়ে থাকবে।স্টিয়ারিং হুইল ধরুন সঠিকভাবেস্টিয়ারিং হুইল হচ্ছে একটি গাড়ির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। কারণ এটি দ্বারাই গাড়ি পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে বড় রাস্তায় চলাচল করা ঠিক হবে না।

গাড়ি চালানোর সময় ফোন ব্যবহার নয়গাড়ি চালানোর সময় ফোনে কথা বলা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও মনোযোগ নষ্ট হয়, এমন কাজ করা থেকে সর্বদা বিরত থাকতে হবে। এসবের ফলে মুহূর্তে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। ড্রাইভিং শেখার শুরুর দিকে পারলে জোরে সাউন্ড দিয়ে গান শোনাও রাখুন। আর হেডফোন কখনই ব্যবহার করা যাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *