বিশ্বের সবচেয়ে অদ্ভুত প্রাণী যা দেখার জন্যও কপাল লাগে! অদ্ভুত এরকম প্রানী যা আগে দেখিনি কেউ। তুমুল ভাইরাল ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদন: অ্যাক্সোলোটল মেক্সিক্যান সালাম্যান্ড্যার : অদ্ভুত এই সামুদ্রিক প্রাণীটির নাম ‘অ্যাক্সোলোটল মেক্সিক্যান সালাম্যান্ড্যার’। এটি ‘মেক্সিক্যান ওয়াকিং ফিশ’ নামেও পরিচিত।বাস্কেট স্টার : বাস্কেট স্টারকে অনেক সময়ে সেটল্যান্ড আর্গুসও বলা হয়ে থাকে। এরা গভীর সমুদ্রে বসবাস করে।

ফায়ারলি স্কুইড : অদ্ভুদ এই প্রাণীটি সাধারণ স্কুইডের মতো দেখতে হলেও ফায়ারলি স্কুইড মূলত ৭.৬ সেন্টিমিটার লম্বা হয়ে থাকে। এদের আয়ু ১ বছর।ফ্লাইং গানার্ড : ফ্লাইং গানার্ডের মুল বৈশিষ্ট হল এদের একজোড়া ডানা রয়েছে। তবে এরা উড়তে পারে না।হার্প স্পঞ্জ : আপাতদৃষ্টিতে সামুদ্রিক উদ্ভিদ বলে মনে হলেও, এটি একটি প্রাণী। সমুদ্রের তলায় একটি নির্দিষ্ট গভীরতায় অবস্থান করে।নর্দান স্টারগেজার : সমুদ্রের তলার সবচেয়ে অদ্ভুত দেখতে প্রাণী হল নর্দান

স্টারগ্যাজার। এই প্রাণীটি সমুদ্রের তলার বালির মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকে। আমেরিকা মহাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের অধিবাসী এই মাছটিকে প্রথম দেখাতে মনে হবে কোনো রাগী চেহারার মহিলা ঠোঁটে লাল লিপস্টিক মেখে বসে আছেন! মৎস্য প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত হয়েও সাঁতার কাটতে অনভ্যস্ত এই প্রাণী সাধারণত সাগরের তলদেশে হেঁটে বেড়ায় এবং ছোটখাট চিংড়িসহ অন্যান্য মাছ খায়।

পানির নিচে বাস করা স্তন্যপায়ী এবং একই সাথে তৃণভোজী, এরকম প্রাণী পৃথিবীতে আর একটি প্রজাতিই টিকে আছে আর তা হলো ডুগং। দুঃখজনকভাবে, তেল এবং মাংসের জন্য অতিরিক্ত শিকার করার কারণে এই সুন্দর প্রাণীটি প্রায় বিলুপ্তির কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে।পৃথিবীর সবচেয়ে কুৎসিত চেহারার প্রাণী নামে পরিচিত এই ব্লবফিশকে বলা যায় শুধুই জেলাটিনের একটু দলা।

এদের এই জেলাটিনসমৃদ্ধ কোষ পানি থেকেও হালকা, এ কারণে এদের সাঁতার কাটতে কোনো রকম কষ্ট করতে হয় না। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং তাসমানিয়ার উপকূলীয় প্রশান্ত মহাসাগরে এদের দেখা মিলবে খুব সহজেই। পরিবারের একমাত্র টিকে থাকা প্রজাতি আয়ে-আয়ে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ স্তন্যপায়ী নিশাচর প্রাণীও বটে।

অদ্ভুত চেহারার এই লেমুরকে মাদাগাস্কারের সামান্য কিছু অঞ্চলে দেখা যায়। এদের নিয়ে বেশ কিছু কুসংস্কারও প্রচলিত রয়েছে, যেমন আয়ে-আয়েদেরকে খারাপ বলে মনে করা হয় এবং দেখামাত্র হত্যা করার মতো রীতিও চালু রয়েছে। এ কারণে এর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় IUCN আয়ে-আয়েকে বিলুপ্তপায় প্রজাতি হিসেবে ঘোষণা করেছে।

পূর্ব আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই নগ্ন ছুঁচোগুলোর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো মুখের সামনের বড় দুটো দাঁত। মাটির নিচ দিয়ে চলার সময় তাদের এই দাঁত একইসাথে মাটি কাটতে সাহায্য করে এবং মুখের ভিতর মাটি চলে যেতে প্রতিহত করে। এগুলোকে স্যান্ড-পাপি নামেও ডাকা হয়। এদের দেহের বিশেষ কোষের জন্য এদের কখনো ক্যান্সার হয় না। এছাড়াও অসাধারণ ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা এবং কম অক্সিজেনেও বেঁচে থাকার ক্ষমতা রয়েছে এই নগ্ন ছুঁচোগুলোর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *