বিশাল বড় বড় দুটি ষাঁড়ের আর্শ্চ্যয ভয়ংকর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের খেলা!এই খেলায় যে বিজয় হবে সেই পাবে ২০ লক্ষ টাকার র্স্বণের মেডেল!বিজয়েইর নেট দুনিয়াই তুমুল ভাইরাল ভিডিও।

নিজস্ব প্রতিবেদন: অতীতে বাঙলাদেশে ষাঁড়ের লড়াই একটি প্রসিদ্ধ খেলারূপে প্রচলন ছিল। লড়াই করার জন্য ষাঁড় গরু আলাদাভাবে লালন পালন করা হতো। এর দ্বারা হাল চাষ বা অন্য কোন ধরনের কাজ করা হতো না। ষাঁড়টিকে মোটাতাজা করা হতো শুধু লড়াই করার জন্য। শুকনো মৌসুমে গ্রামের বাজারে ঢোল পিটিয়ে ষাঁড়ের লড়াই দেখার আমন্ত্রন জানানো হতো।

মাঠে ষাঁড়ের মালিকগণ তাদের ষাঁড়গুলোকে বিভিন্ন রঙিন কাপড়, ঘুংগুর, দোয়াল দিয়ে গেঁথে নিয়ে আসতেন। দুদিকে দুজন রশি দিয়ে বেঁধে নিয়ে এসে দুপক্ষের ষাঁড়কে ছেড়ে দিয়ে সবাই মিলে ঢাক ঢোল পিটিয়ে ও বিভিন্ন তালে তালে গান করত। এভাবে উপস্থিত সকল ষাঁড়ের মধ্যে যে ষাঁড়টি প্রথম স্থান পেত তাকে পুরস্কার দেয়া হতো। সে পুরস্কার গরুর গলায় বেঁধে বাজারে বাজারে দেখানো হতো। বর্তমানে এই শৌখিন প্রথা বিলুপ্তির পথে।

ইবেরীয় উপদ্বীপ, ফ্রান্স এবং লাতিন আমেরিকার অনেক ঐতিহাসিক ষাড়ের লড়াইয়ের স্থান রয়েছে। বৃহত্তম ভেন্যুটি হ’ল সেন্টার মেক্সিকো সিটির প্লাজা মেক্সিকো, যার ৪৮,০০০ দর্শক ধারনক্ষমতা রয়েছে ।এবং প্রাচীনতমটি বাজর প্লাজা এবং রন্ডার প্লাজা, স্পেনীয় প্রদেশের সালামানকা ও মালাগনা। সমস্ত ষাড়ের লড়াইয়ের স্থানেরই একটি মূল্য নির্ধারণের সিস্টেম রয়েছে, মূল কারণ সূর্য এবং ছায়া, লড়াইয়ের সান্নিধ্য এবং টরেরোর (যে লোকটি লড়াই করে) অভিজ্ঞতার মাত্রা।

পশু কল্যাণ সংস্থাগুলোর বিরোধিতা, তহবিল সংকট এবং ধর্মীয় কারণসহ বিভিন্ন উদ্বেগের কারণে ষাঁড়ের লড়াই বিতর্কিত। বেশিরভাগ দেশে ষাড়ের লড়াই অবৈধ, তবে স্পেন এবং পর্তুগালের বেশিরভাগ অঞ্চলে, পাশাপাশি কিছু হিস্পানিক আমেরিকান দেশ এবং দক্ষিণ ফ্রান্সের কিছু অংশে এখনো রয়ে গেছে।শহরের বড়কাপন মাঠে ১২ ফেব্রুয়ারি এই ষাঁড়ের লড়াই দেখতে কৌতুহলী দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল লক্ষণীয়।

দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত এই ষাঁড়ের লড়াইও ছিল বেশ উপভোগ্য। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ প্রতিযোগিতা। মৌলভীবাজার জেলাসহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০টি ষাঁড় অংশ নেই। লড়াইয়ে অংশ নেয়া প্রতিটি ষাঁড়ই ছিল বাহারী রংয়ের আর্কষণীয় দেহের। সৌখিন মালিক নানা রং ঢং আর বাধ্যযন্ত্র বাজিয়ে তাদের দলবল নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। সকাল থেকেই প্রতিযোগিতার মাঠে বাধ্যযন্ত্রসহ একের পর এক ষাড়, মালিক ও ওই দলের সমর্থকরা মাঠে আসতে থাকেন।

ষাঁড়ের লড়াই শুরুর আগেই মাঠ পূর্ণ হয়ে যায়। ষাঁড়ের লড়াই দেখতে শিশু কিশোর, মহিলা, ছেলে, বুড়ো নানা বয়সের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে বড়কাপন মাঠে।কালো রঙের ষাঁড়ের উপস্থিতি প্রতিযোগিতাকে প্রাণবন্ত করে রুপ দেয় উৎসবের। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি ষাঁড়কে বিচিত্র নাম দেয়া হয়।তা ছাড়া স্পেনে মহামারির মধ্যেই শুরু হলো ঐতিহ্যবাহী ‘বুল ফাইট বা ষাড়ের লড়াই’। রোববার রাজধানীর লা ভেন্তা রিংয়ে ছিলো এ আয়োজন।

ধারণক্ষমতার মাত্র ৪০ শতাংশ বা ৬ হাজার অতিথিকে সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেয় প্রশাসন। প্রায় একবছরের বেশি সময় পর রিংয়ে স্বাগত জানানো হয় বিখ্যাত সব ম্যাটাডরকে। ৭টি ষাঁড়ের সাথে লড়াই করেন তারা। মূলতঃ মহামারিতে চাকরি হারানো বুলফাইটার এবং পেশাটির সাথে সংশ্লিষ্টদের অর্থ-সহযোগিতার জন্যেই এ আয়োজন।অবশ্য রক্তক্ষয়ী প্রদর্শনীর ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত স্প্যানিয়ার্ডরা।

কেউ-কেউ শিল্পকলা হিসেবে আখ্যা দিলেও অনেকের কাছে খেলাটি মর্মান্তিক।২০১০ সালে, মধ্যযুগীয় বর্বরতা আখ্যা দিয়ে ‘বুলফাইট’ নিষিদ্ধ করে স্পেনের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল- কাতালুনিয়া। দু’বছর পর সেটি কার্যকর হয়।বিজয়েই কে?দেওয়া হলো ভিডিওতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *