বিশাল এই ট্রাকটি অনায়াসে চালাচ্ছেন এ তরুনি। ট্রাক চালিয়ে সংসারের খরচ যোগাচ্ছে এই তরুণী। তরুনীর এমন ট্রাক ড্রাইভিং দেখে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন নেটিজেনরা। ইন্টারনেটে তুমুল ভাইরাল ভিডিও।

নিজস্ব প্রতিবেদন:আগেকার দিনে মহিলাদের সাইকেল ব্যতীত অন্যান্য মোটরচালিত দু-চাকা বা চার-চাকার গাড়ি চালাতে কমই দেখা যেত। কিন্তু এখন যুগ বদলেছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সব মহিলারাই হয়ে উঠছেন সাবলীল। আপনারা প্রায় সকলেই মহিলাদের দু-চাকার স্কুটার বা চার চাকার প্রাইভেট গাড়ি চালাতে দেখে থাকবেন। কিন্তু আজ আমরা যে মহিলার কথা বলবো তিনি ছোটোখাটো গাড়ি নয়,

রীতিমত বিশালাকার ট্রাক চালান। আজ আমরা যে মহিলার কথা বলছি তার নাম রাইনো সাসাকি যিনি জাপানের বাসিন্দা। বাণিজ্যিক ট্রাক চালাতে প্রধানত পুরুষ ড্রাইভারদেরই দেখা যায়, কিন্তু রাইনো হলেন সেই ব্যতিক্রমী জাপানি মহিলা যিনি কমার্শিয়াল ট্রাক নিজেই চালান। বর্তমানে রাইনো সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ জনপ্রিয় মুখ। তার সৌন্দর্য্যতে মুগ্ধ অনেক জাপানি পুরুষরা তাকে “সবচেয়ে সুন্দরী জাপানি ট্রাক ড্রাইভার”-

এর তকমাও দিয়েছেন।রাইনোর বাবাও একজন ট্রাক ড্রাইভার রাইনো সাসাকির বাবাও পেশাগতভাবে একজন ট্রাক ড্রাইভার। রাইনোর যখন ৭ বছর বয়স তখন তার বাবার ভীষণ অসুখ করে। রাইনোর বাবা সেই অসুস্থতা নিয়েই ট্রাক চালাতেন। কিন্তু রাইনো তার অসুস্থ বাবাকে একা ছাড়তে চাইতো না, তাই সেও তার বাবার সাথে ট্রাকে সফরসঙ্গী হতো।

প্রথমে নাচের শিক্ষিকা তারপর ট্রাক ড্রাইভার ঘর ছেড়ে মাইলের পর মাইল পথ বাবা আর মেয়ে একে অপরের ভরসায় ট্রাক নিয়ে বেরিয়ে পড়তো। বড় হওয়ার সাথে সাথে রাইনো ট্রাডিশনাল ডান্সের শিক্ষিকা হয়ে যায়। কিন্তু ২১ বছর বয়সে ট্রাক ড্রাইভারের লাইসেন্স হাতে পাওয়ার পরই সে নাচ ছেড়ে বাবার কাজে সহায়তা করা সিদ্ধান্ত নেয়।

এরপর নাচের শিক্ষিকার কাজ ছেড়ে দেয় রাইনো।প্রথমদিকে রাইনো ট্রাক চালানোর পাশাপাশি নাচের শিক্ষিকার কাজ করতো। কিন্তু বর্তমানে সে তার পুরনো পেশাকে একেবারেই ছেড়ে দিয়েছে।রাইনোর কথায়, “আমার এই ঘটনার কোনোরকম আক্ষেপ হয় না, বরং বাবার সাথে সময় কাটাতে পারি এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত সেলিব্রিটি রাইনো।

অপরদিকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রাইনোর ফলোয়ার্সের সংখ্যা। সকলেই পছন্দ করেন রাইনোর ছবি। বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে রাইনোর ফলোয়ারের সংখ্যা ২৩ হাজারেরও বেশি। ট্রাক চালানোর পাশাপাশি ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামেও বেশ অ্যাক্টিভ থাকে রাইনো।মহিলাদের অনুপ্রাণিত করতে চান রাইনো।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়শই লোকজন তাকে ‘জাপানের সবচেয়ে সুন্দরী ট্রাক ড্রাইভার’ বলে থাকে। রাইনো মনে করে যে তার এই জনপ্রিয়তা অন্যান্য জাপানি মহিলাদেরও এই ট্রান্সপোর্টেশনের পেশায় নিযুক্ত হতে উদবুদ্ধ করবে।তিনি বলেন, “এই কারণেই আমি আমার জীবনের সমস্ত ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করি”।৭ বছর ধরে চালাচ্ছেন ট্রাকরাইনো গত ৭ বছর ধরে যুক্ত রয়েছেন ট্রাক চালানোর সাথে। রাইনো বলেন,

“আমার এই কাজে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল আমার মাপের গ্লাভস, সেফটি সু, পোশাক পাইনা ট্রাক চালানোর জন্য। বাধ্য হয়েই আমাকে বড় মাপের সবকিছু পরতে হয়। ভবিষ্যতে আমি মহিলা ট্রাক ড্রাইভারদের জন্য আলাদা মাপের পোশাক তৈরি করতে চাই।”প্রতি বছর ট্রাক চালান প্রায় ২ লাখ কিলোমিটার রাইনো প্রতি বছরে প্রায় ২ লাখ কিলোমিটারের মত ট্রাক ড্রাইভিং করে।

জাপানের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাকে করে ফল ও সবজি সরবরাহ করে সে। শুধু তাই নয়, ট্রাকে ছোটোখাটো ত্রুটি হলে সে নিজেই তা মেরামত করতে পারে। এছাড়াও রাইনো অবসর সময়ে ব্লগও লেখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *