বাশের তৈরি খাচা দিয়ে পাতা হল মাছ ধরার অভিনব এক ফাঁদ। ১ ঘন্টায় ৮ থেকে ১০ মন মাছ ধরার জাদু করি এক কৌশল | যুবকের মাছ ধরার এমন কৌশল নেটদুনিয়ায় তুমুল ভাইরাল।

নিজস্ব প্রতিবেদন:গ্রামের খাল বিল হাওড়-বাওড় কিংবা নদীতে মাছ ধরার পুরনো পদ্ধতি আর উপকরণের একটি হচ্ছে বাঁশের তৈরী আনতা। এই আনতা বুনে এবং সেটা দিয়ে মাছ ধরে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ জীবনযাপন করছে। বর্ষার শুরু থেকে এ অঞ্চলের খাল-বিল ও নদী-নালায় শুরু হয় আনতা দিয়ে মাছ ধরা।বিশেষ পদ্ধতিতে বাঁশ দিয়ে খালে, বিল-বাওড়ে ১৪-২৫ ফিট ফাঁকে ফাঁকে বসানো হয় একটি করে আনতা।

পানিতে আনতা বসানো হয় মূলত টাকি ও চিংড়ি মাছ শিকারের জন্য। কিন্তু ধরা পড়ে পুঁটি, বেলে, টেংরাসহ সব প্রকারের ছোট মাছ। সরেজমিনে জেলার খোকসা উপজেলার মোড়াগাছা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, এই গ্রামের ১০ বছর বয়সের শিশু থেকে শুরু করে আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই মিলে আনতা বুনছে। কেউ বাঁশ কাটছে, কেউ শলা তুলছে, কেউ শলা চাঁচছে আবার কেউবা ব্যস্ত আনতা বোনা ও বাঁধার কাজে।

ঘরের বারান্দায়, উঠানে, গাছের ছায়ায় যে যেখানে পারছে সেখানে বসেই করছে আনতা বানানোর কাজ।এ গ্রামের প্রায় ২৫টি পরিবারের অন্তত ১শ’ শিশু, নারী ও পুরুষ জড়িত আনতা বোনার কাজে। প্রায় ২০ বছর ধরে এই গ্রামে আনতা বানানোর কাজ চললেও ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে ৩-৪ বছর ধরে। জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে এ জেলার খোকসা ও কুমারখালী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আনতা বোনার কাজ শুরু হয়। চলে আশ্বিন পর্যন্ত।

এক মৌসুমে প্রায় ২ লাখ আনতা বানানো হয়। দুই উপজেলাতে প্রতি মৌসুমে শ্রমিকরা আনতা উৎপাদন করে আয় করেন প্রায় ১ কোটি টাকা। ইদানিং বাঁশের কাঠির পরিবর্তে শুধু বাঁশের চটা দিয়ে তৈরী ফ্রেমে জাল দিয়েও আনতা বানানো হচ্ছে। তবে জালের তৈরী ফাঁদ অনেক সময় ছিঁড়ে বা কাঁকড়া কেটে দিলে মাছ পালিয়ে যায়।বাশের বেত দিয়ে অনেক কিছুই তৈরি করা যায়। যেগুলো দিয়ে অতি সহজে অল্প সময়ে প্রচুর মাছ মারা যায়।

আজকের ভিডিওটিতে যুবক যে বস্তু টি দিয়ে মাছ ধরেছে জায়গাভেদে এগুলোর অনেক নাম থাকতে পারে। তবে এগুলোর একটি নাম হলো আনতা। আপনার এলাকায় এটা কি নামে পরিচিত জানাবেন কমেন্ট বক্সে।অনতা দিয়ে কম সময়ে প্রচুর মাছ ধরা যায়। যার প্রমান এই ভিডিও।গ্রাম বাংলার জনপদে নানাভাবে মাছ ধরার পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে।যা আবহমান বাংলার দীর্ঘদিনের লালিত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের স্মারক বহন করে।

কিন্তু এ সংস্কৃতি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। মাছ ধরার উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম উৎসব হচ্ছে পলো বাওয়া।পলো বাওয়া উৎসব গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের একটি অংশ।নতুন প্রজন্মের অনেক ছেলেরা পলো বাওয়া উৎসব কি সেটা বুঝে না।কিন্তু সেই উৎসবটি ধরে রেখেছেন গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা।যেখানে প্রত্যেক বছর একটা নির্দিষ্ট সময় মাছ ধরার উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে।

মাছধরা উৎসবের অন্যতম নান্দনিক পদ্ধতি হলো পলো বা বাওয়া। এটি আবহমান বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যের অংশ। বাঁশ দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি ঝাঁপিকেই বলা হয় পলো।অনেক জায়গায় মাছ ধরা দেখতে ভিড় জমে যায়। প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ খাদ্য ও আমিষের চাহিদা পূরণ করতে অন্যতম পরিপূরক হিসেবে মাছ শিকার করে খেয়ে আসছে।

মাছ অতি সহজ লভ্য ও পুষ্টির এমন একটি ভান্ডার। মাছ ধরা কে না পছন্দ করে কারো কারো প্রিয় হলো মাছ ধরা বিনা পুঁজির বিনা পুঁজির মাছ ধরে অধিক লাভবান হওয়া যায়।আমাদের দেশে সমুদ্রে যেমন মাছ আছে তেমনি পুকুর,খাল,বিল সব জাগায় মাছ পাওয়া যায়।যখন গ্রামের পুকুরে মাছ ধরা হয় তখন সেখানে অনেক মানুষ তা দেখার জন্য আসে।

পুকুরের পাশে মাছ ধরা দেখার জন্য লোকের ভির জমে যায়।অনেক দূর থেকে দেখার জন্য লোক আসে।পুকুরে অনেক বড় বড় মাছ পাওয়া যায়।সেই মাছ মানুষ উৎসব মুখুর ভাবে সবাই এক সাথে ধরে থাকে।এবং আনন্দে চিৎকার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *