নিজস্ব প্রতিবেদন:পৃথিবীতে এমন কিছু প্রাণী আছে যারা দেখতে অনেক সুন্দর হলেও তারা কিন্তু আসলে অনেক রাগী এবং ভয়ঙ্কর হয়। বন্ধুরা পশুরা কখনো এক রিসিভ হয়ে যায় সেটা কেউ বলতে পারে না। বিশেষ করে বন্য পশুদের আচার-আচরণে ধারণা করা খুবই কষ্টকর।এদের এই আক্রমনাত্মক ব্যবহার আমাদের অনেক ক্ষতি করে দিতে পারে।আদিমকালে মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে এক স্হান থেকে অন্যস্হানে পায়ে হেটে যোগাযোগ করত।
সময়ের সাথে সাথে তারা প্রকৃতির সাথে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তুলে বশ মানায় প্রকৃতিকে।লালন পালন করা শুরু করে হাতি ঘোড়া সহ নানা প্রাণী।পরে এগুলোকেই একসময় তারা যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা শুরু করে। ধীরে ধীরে মানুষের চিন্তা চেতনার বিকাশ হবার সাথে সাথে তারা প্রকৃতির নানা রহস্য উদঘাটনে ব্যস্ত হয় পরে।শুরু হয় বিজ্ঞানের যাত্রা।বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে যোগাযোগ ব্যবস্হারও অভুতপূর্ব উন্নয়ন ঘটতে থাকে।
এই উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার হল মোটরসাইকেল এবং সিএনজি যোগাযোগ ব্যবস্থা।বাষ্পীয় মোটরসাইকেল এবং সিএনজি ইঞ্জিন আবিষ্কারের পর যোগাযোগ ব্যবস্হা হয়ে উঠেছে আরো সহজ,আরো সাশ্রয়ী এবং রামদায়ক।মোটরসাইকেল এবং সিএনজি যোগাযোগ মানুষের ভ্রমণ যাত্রাকে আরামদায়ক করলেও এর বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।তারমধ্যে অন্যতম হলো দুর্ঘটনা।আমরা প্রায় প্রতিদিনই সংবাদমাধ্যমে টেনে কাটা পরে মানুষের মৃত্যুর খবর শুনি।
মোটরসাইকেল এবং সিএনজি কাটা পরে যে শুধু মানুষ মারা যাচ্ছে তা নয় অনেক প্রাণীও মারা যাচ্ছে, আহত হচ্ছে।কেননা মোটরসাইকেল এবং সিএনজি যোগাযোগ ব্যবস্হায় মোটরসাইকেল এবং সিএনজি লাইনগুলোকে সাধারণত গ্রামীণ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে নেওয়া হয় যার মধ্যে থাকে বন জঙ্গল।ফলে এসব বনজঙ্গলের নানা প্রাণী মোটরসাইকেল এবং সিএনজি কাটা পরে মারা যাচ্ছে। যা আমরা অনেক সময়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও তে দেখতে পাচ্ছি।
এরকমই একটা ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে।যা সাধারণ মানুষকে খুব মর্মাহত করছে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে ভারতের কোন এক জঙ্গলে একটা হাতি মোটরসাইকেল এবং সিএনজি সামনে পরে মারাত্মক ভাবে আহত হয়।মোটরসাইকেল এবং সিএনজি সাথে সাথে হয়ত থামানো হয়েছিল।হাতিটি মোটরসাইকেল এবং সিএনজি সামনে আহত অবস্থায় পরে ছিলো এবং ছেঁচড়িয়ে সরার চেষ্টা করছিল।
হাতির পা এবং শরীর ছিলো রক্তাক্ত। সে খুব একটা নড়াচড়া করতে পারছিল না।অনেক চেষ্টার পরে হাতিটি উঠে দাঁড়ায় এবং বনের মধ্যে যায়।এই ভিডিওটিতে একটা দৃষ্টিকটু,অমানবিক বিষয় ছিলো প্রায় শ’খানেক মানুষ হাতিটিকে সাহায্য করার পরিবর্তে তাদের হাতের ফোন দিয়ে আহত হাতিটির ভিডিও করছিল।
বর্তমান সময়ে এটা একটা ব্যধিতে পরিনত হয়েছে।কেউ বিপদে পড়লে মানুষ সাহায্যের পরিবর্তে ঘটনার ভিডিও করা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।ফেসবুকে আপলোড হওয়ার সাথে সাথে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।কমেন্ট সেকশনে পশুপ্রেমীরা মানুষের এই ভিডিও করার বিষয়ের সমালোচনা করেতেছে এবং তাদের প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবার আহ্বান জানাচ্ছে।