নিজস্ব প্রতিবেদন:মৌমাছির চাক মোম দিয়ে তৈরী। চাক ছোট ছোট খোপ বিশিষ্ট। প্রতিটি খোপে থাকে ছয়টি দেওয়াল। তবে শিশু শ্রমিকের ও মধু জমানোর খোপগুলো পরিমাপে একটু ছোট, শিশু পুরুষদের একটু বড় এবং শিশু রাণীর বেশ বড় ও লম্বাটে। শিশুদের খুপগুলো সাধারণত চাকের নিচের দিকে ও মধু জমানোর খুপগুলো উপরের দিকে থাকে। শিশু রাণীর খোপে থাকে সাধারণত চাকের নিচের দিকের কিনারায়।
ডিম পাড়ার পূর্বে রাণী দেখে নেয় খোপের মাপ, যাতে নির্দিষ্ট মাপের খোপে নির্দিষ্ট প্রকারের ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার তিন দিনের মধ্যে ডিম ফুটে শ্রককীট বা শিশু মৌমাছি বেড়িয়ে আসে। শ্রমিক মৌমাছি এসব শিশু মোমাছিদের প্রথম তিন দিন মধু ও পরাগরেণুর পাশাপাশি রাজসুধা খেত দেয়।ঈগল একপ্রকার বৃহৎ আকার, শক্তিধর, দক্ষ শিকারি পাখি।ঈগল সাধারণত বনে বা ঘন জঙ্গলে বসবাস করে থাকে।
বানর, ছোট জাতের পাখি,টিকটিকি, হাস-মুরগী খেয়ে জীবনধারণ করে থাকে। একটি পূর্ণবয়স্ক ঈগলের ওজন প্রায় ৩০ কেজি এবং লম্বায় প্রায় ৩০-৩৫ ইঞ্চি হয়ে থাকে।সাহারা মরুভূমির বুকে বিচরণকারী সিংহের পরিচিত পশুরাজ হিসাবে। অন্যদিকে পাখিরাজ্যে এই আসন ঈগলের দখলে। পাখিরাজ্যে অসংখ্য প্রজাতির পাখির বিচরণ থাকলেও, কোন বৈশিষ্ট্যের কারণে ঈগলের ঝুলিতেই গেল এই বিশেষ মর্যাদা?
ঠিক কোন কোন পরিমাপকের উপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির পাখিকে অন্য পাখিদের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করা যায়, সেদিকে আমরা মনোনিবেশ করবো। সেই সাথে এই নিবন্ধে উন্মোচন করা হবে ঈগল পাখির রাজা হবার নেপথ্যের কারণও। অনেকে শ্রেষ্ঠত্বের পরিমাপক হিসেবে বুদ্ধিমত্তাকে এগিয়ে রাখতে চাইবেন। যেকোন প্রাণীর উন্নত বুদ্ধিমত্তা নিঃসন্দেহে সেই প্রাণীকে শ্রেষ্ঠত্ব বিচারের দৌড়ে অনেকখানি এগিয়ে রাখবে।
কিন্তু এক্ষেত্রে ঈগল তো পাখি জগতের সবচেয়ে বুদ্ধিমান পাখি নয়। পাখিদের মধ্যে কাক, কাকাতুয়া, তোতা এসব প্রজাতির পাখি বুদ্ধিমত্তার বিবেচনায় প্রথম সারির পাখি। এমনকি প্রাণীজগতের অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণীদের নামের তালিকায় রয়েছে এসব পাখির নাম। যদি বুদ্ধিমত্তাকে শ্রেষ্ঠত্বের পরিমাপক হিসেবে বিবেচনা করা হতো তাহলে নিঃসন্দেহে এই পাখিগুলো শ্রেষ্ঠত্বের দৌড়ে ঈগলের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকত।
উপরন্তু মস্তিষ্কের আকার বিবেচনায় পাখিদের মধ্যে সর্ববৃহৎ মস্তিষ্কের অধিকারী তোতা পরিবারভূক্ত ম্যাকাও, ঈগল নয়।আমরা এই ভিডিওটা দেখতে পাবো। একটি গল্পকে জঙ্গলে গেছিলি স্বীকার করার জন্য। ভুলবশত সে মৌমাছির চাকে চলে যায়। সেখানে যেতে পাখিরা রাজা ঈগল ভয়ঙ্কর বিপদে পড়ে। বিষাক্ত মৌমাছি এবং সাপের কামড়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছে ঈগল।অল্পবিস্তর বোলতা, মৌমাছির কামড় আমরা প্রত্যেকেই খেয়েছি।
বাড়ির চারপাশে প্রায়ই এদের চাক দেখা যায়। আর চাকের কাছাকাছি যদি একবার ভুল করেও গিয়ে পড়েছেন, তাহলে আর রক্ষে নেই। দায়িত্ব নিয়ে আপনার নতুন মেকওভার করে দেবে ওরাই। বোলতার চাক কোনও ব্যক্তি নিডের ইচ্ছায় চাষ করেন না। কিন্তু মৌমাছির চাষ হয়। অনেকেই এর মাধ্যমে মধু বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাই শুধু ফার্মেই নয়, অনেকে বাড়িতেও মৌমাছির চাষ করেন।মৌমাছির চাষ বেশ বিপজ্জনক একটি জীবিকা।
কোনওভাবে যদি মৌমাছিরা বুঝতে পারে যে তাদের চাকে হামলা হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে তারা হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হুল ফুটিয়ে শত্রুকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। মৌমাছির এরকম কামড় তো অনেকেই খেয়েছেন। কিন্তু এটা কি জানেন মৌমাছির কামড়ের ফলে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের জীবন বিপন্নও হয়ে যেতে পারে? জানেন কী থাকে মৌমাছির হুলে?