নিজস্ব প্রতিবেদন:নীলফামারীর তিস্তা নদীতে ধরা পড়েছে ৯১ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ। মাছটি গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডিমলা উপজেলার খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের পাগলপাড়া গ্রামের আমীর হোসেনের ফেলা বড়শিতে মাছটি ধরা পড়েছে।
মাছটি দুই হাত ঘুরে আজ বুধবার কেটে ভাগ করে বিক্রি করা হচ্ছে। মাছটি ৯২টি ভাগ করে বিক্রির কথা জানা গেছে। প্রতিটি ভাগের দাম ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে। এ জন্য শহরে মাইকিং করা হয়েছে। মাছটি বিক্রি করে শেষ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা আয় হবে বিক্রেতার।
এর আগে আজ সকালে নীলফামারী বড় বাজারের মাছের আড়তে জেলেরা মাছটি নিয়ে এলে ৯৬ হাজার টাকায় তিনজন মাছ ব্যবসায়ী কিনে নেন। পাগলপাড়া গ্রামের আমীর হোসেন (৩০) বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিস্তা নদীতে ফেলা আমার বড়শিতে বাগাড় মাছটি ধরা পড়েছে। আমরা এলাকার কয়েকজন মিলে মাছটি জাল ফেলে টেনে ডাঙায় তুলি। ওজন দিয়ে দেখি ৯১ কেজি।
এর আগে এখানে এত বড় মাছ ধরা পড়েনি। মাছটি আজ সকালে ডালিয়া বাজারে মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে ৯১ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।’ মাছটি বিক্রি করে শেষ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা আয় হবে বিক্রেতার। মাছটি আমীর হোসেনের কাছ থেকে যে তিনজন মিলে কিনেছেন, তাঁদের মধ্যে মো. সোলায়মান আলী (৩৫) একজন।
লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার গুড্ডিমারী ইউনিয়নের নিজ গুড্ডিমারী গ্রামের এই মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমীর হোসেনসহ জেলেরা আজ সকালে মাছটি নিয়ে ডালিয়া বাজারে আসেন। সেখান থেকে আমি, লালমিয়া ও কেলাসু এই তিনজনে মাছটি ৯১ হাজার টাকায় কিনে নিই। পরে মাছটি ডালিয়া বাজারে এক লাখ টাকা দাম উঠেছিল।
আমরা আরও বেশি দামে বিক্রির আশায় মাছটি নিয়ে যাই নীলফামারী শহরে। তবে সেখানে ৯৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।’ সোলায়মান আলীর কাছ থেকে বাগাড় মাছটি কিনে নেওয়া নীলফামারী বড় বাজারের মাছ ব্যবসায়ী জিয়াউল হক দুপুরে বলেন, ‘ডিমলার ডালিয়া থেকে জেলেরা তিস্তা নদীতে ধরা পড়া ওই মাছটি আজ সকাল ১০টার দিকে নিয়ে আসেন।
আমি মাছটি কিনে নিয়েছি, এখন ৯২টি ভাগ করে বিক্রি করছি। এ জন্য শহরে মাইকিং করেছি। প্রতিটি ভাগের দাম ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে।’ সন্ধ্যা ৬টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মাছটি ওই মাছের বাজারে বিক্রি চলছিল। নীলফামারী সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, মাছটি নদীর মাছ। এই ধরনের মাছ সাধারণত পদ্মা, যমুনা, তিস্তাসহ বড় নদীতে পাওয়া যায়।