নিজস্ব প্রতিবেদন:পৃথিবীতে দশ হাজারের বেশি প্রজাতির পাখির খোঁজ মিলেছে এখনও পর্যন্ত। চারপাশে উড়তে থাকা এবং কিচিরমিচির করা পাখি দেখে চাপমুক্ত হয় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। ভারত-সহ প্রায় সব দেশেই পাখির সমাহার দেখা যায়। পোষ্য থেকে পরিযায়ী, পাখির ধরন বিভিন্ন। পাখিদের মধ্যে বিশেষত পরিযায়ীরা বছরের নির্দিষ্ট সময়ে এরা বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যায়।
এই ধরনের স্থানান্তর থেকে বেশি দেখা যায় স্বল্পদৈর্ঘ্যের অনিয়মিত গতিবিধি। বেশিরভাগ পাখিই সামাজিক জীব। এরা দৃষ্টিগ্রাহ্য সংকেত এবং ডাক বা শিষের মাধ্যমে একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ করে। পাখির অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশি। খাদ্য হিসেবে এদের গুরুত্ব অপরিসীম। মাংসের জন্য এদের বহু প্রজাতিকে শিকার করা হয়।আর কিছু প্রজাতিকে বাণিজ্যিকভাবে পালন করা হয়। কিন্তু পাখির রূপ নিয়ে সবচেয়ে বেশি চর্চা হয়ে থাকে।
পৃথিবীতে এমন কিছু পাখি আছে যাঁদের দৈহিক গঠন, জমকালো রং এবং অসাধারণ কিছু গুণের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরতম পাখি হিসেবে তারা স্বীকৃতি পায়। এমনই কয়েকটি পাখির কথা রইল আপনাদের জন্য।পালক ও পাখাবিশিষ্ট দ্বিপদী প্রাণী পাখি। কিছু পতঙ্গ এবং বাদুড়ের পাখা থাকলেও কেবল পাখিদেরই পালক আছে। পৃথিবীতে পাখির প্রজাতি রয়েছে প্রায় দশ হাজারটি। এমনিতে সব জীবিত পাখিই নিঅর্নিথীস উপশ্রেণির অন্তর্গত।
পাখির শ্রেণিকে মোট ২৩টি বর্গ, ১৪২টি গোত্র, ২০৫৭টি গণ এবং ৯৭০২টি প্রজাতিতে বিন্যস্ত করা হয়েছে।সবুজ শ্যামল বাংলাদেশের প্রানীদের কোন কমতি নেই। আমাদের দেশের আয়তন অনুযায়ী শতকরা ২৫ ভাগ বনভুমি থাকা দরকার।
কিন্তু তা বর্তমানে আছে প্রায় ১৭ ভাগ এবং এ সংখ্যা দিন দিন কমছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর পাখি দের তালিকায় আমাদের আশেপাশে অনেক পাখিই চোখে পড়ে।
পশুপাখিদের বিশাল সংখ্যক প্রানীর দেখা মিলে আমাদের সুন্দরবনে। আকার আকৃতির দিক থেকে এরা ছোট, মাঝারি কিংবা বড় ধরনের হয়ে থাকে। ছোট পাখিগুলো দ্রুত ছুটতে পারে এবং খুবই হালকা প্রকৃতির হয়। মাছরাঙা হল এমন পাখিদের উদাহরন। বড় পাখিদের মধ্যে ঈগল ও শকুন উল্লেখযোগ্য।শহরে কিংবা গ্রামে যেখানেই বাস করি না কেন বিভিন্ন ধরনের পাখির দেখা মিলে। সুন্দর-অসুন্দর, কালারফুল, বিউটিফুল এমন সকল ধরনের পাখির দেখা মিলে।
সুন্দর পাখিদের মধ্যে মাছরাঙা, দোয়েল পাখি , কোয়েল, ময়না, টিয়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। দোয়েল আমাদের জাতীয় পাখি এবং দুই টাকার নোটের উপর সুন্দর পাখির সুন্দর ছবি লক্ষ্য করা যায়। এজন্য হয়ত দুই টাকার নোটকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর নোট বলা হয়।টিয়া পাখি বিভিন্ন বাড়ির গেটে পোষা পাখি হিসেবে রাখা থাকে। ময়না কিংবা তোতা পাখি খুব সুন্দর করে নকল করে মানুষের মত কথা বলতে পারে।
আজকে আমরা এমনই সব বিশেষ কিন্তু আমাদের খুবই আমাদের পরিচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক।পরিশেষে, আমাদের চারপাশে আরও অনেক প্রজাতির পাখি রয়েছে। কিন্তু একটি মাত্র আর্টিকেলে এত পাখিদের সম্পর্কে জানানো সম্ভব নয়। এই সবচেয়ে সুন্দর পাখি সম্পর্কে কিংবা অন্য আরও দৃষ্টিনন্দন পাখিদের সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমাদের সাথে শেয়ার করুন। ততক্ষন ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।