নিজস্ব প্রতিবেদন:মাছ একটি সুস্বাদু খাবার।যা সবাই খেতে পছন্দ করে।নদ-নদী, খাল-বিলে মাছ প্রাকৃতিক খাবার খেয়েই বেড়ে ওঠে। এগুলো কে আলাদা কোন খাবার দিতে হয় না।মাছের অন্যতম প্রাকৃতিক খাবার কচুরিপানা।পুকুর কিংবা বদ্ধ জলাশয়ে চাষ করা মাছের খাবার হিসেবেও কচুরিপানার ব্যবহার করা যেতে পারে।মাছ জীবিত কচুরিপানার শিকড় খেতেও বেশ পছন্দ করে।তাছাড়া মাছ কচুরিপানার নিচে ডিম ছাড়ে।
কচুরিপানা একদিকে যেমন মাছের খাদ্য অন্যদিকে দুপুরের প্রখর রৌদ্রে আশ্রয়স্থলও।কচুরিপানার কালো শিকড়গুলোতে অনেক শ্যাওলা জমে, সেই শেওলাগুলো মাছ খায়। শিং, কই, চিংড়ি, মাগুর, টেংড়া, ভেদুরী, লাটি, কইল্যা, সইল্যা, কাইক্কা, চান্দা, চিকড়ি বাইন প্রভৃতি মাছ কচুরিপানার শিকর ও শেওলা খেতে পছন্দ করে।ভিডিওটির মধ্যে দেখতে পারছি টানা বৃষ্টির ফলে গ্রামের নদীতে পানি পাড়ের ছুই ছুই করছে।
স্রোতের কারণে নদীর মাছগুলো মধ্যখানে না থেকে পাড়ের দিকে চলে আসছে।ছোট থেকে বড় সব ধরনের মাছ পাড়ের দিকে ঘুরাঘুরি করছে। এমতাবস্থায় যুবক তা দেখে তার নৌকা ও তার বড়শি নিয়ে নদীর জোয়ার বাটার মধ্যে নেমে যায়। জোয়ার ভাটার মধ্যে তার থাকা কষ্ট হলেও সে সেখানে অবস্থান করে। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর সে খুঁজে বের করল কোথায় সে মাছ ধরবে।
অনেকক্ষণ পর শেষে জায়গা খুঁজে বের করল গাছের মধ্যে বড়শি সুতা বেঁধে দিল। কতক্ষণ পর দেখতে পারলো মাছ তার ফাঁদে পা দিয়েছে। সেটা কোন ছোট মাছ নয় নদীর বিশাল বড় দুইটি বোয়াল মাছ।প্রথম মাছটি ধরতে তার অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে । মাছটি ছিল অনেক শক্তিশালী। সে কিছুতেই নৌকার মধ্যে মাস থেকে তুলতে পারছিল না। বারবার ঝাঁকুনি দিয়ে মাছটি পড়ে যাচ্ছে পানিতে।
শেষ পর্যন্ত সে মাস্তিকে নৌকার মধ্যে তুলে চলা যায় এবং যুবকটি অনেক খুশি হয় কারণ সে যে কষ্ট করেছে সে কষ্টে সে সফল হয়েছে। পুকুরে বা জলাশয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে এক ধরনের খাদ্য উৎপন্ন হয়।এদের প্রাকৃতিক খাদ্য বলে। এরা খুব ছোট ছোট হয় এবং জলের ঢেউ যে দিকে যায়, এদের গতিও সে দিকে হয়। এই প্ল্যাঙ্কটন দু’ ধরনের হয়, উদ্ভিদকণা (ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন) (খ) প্রাণীকণা (জুপ্ল্যাঙ্কটন)।
ছোট কচুরিপানাও উদ্ভিদকণার পর্যায়ে পরে।আমরা অনেকেই মাছ ধরতে পছন্দ করি।বিশেষ করে যারা গ্রামে বসবাস করি তাদের বিভিন্ন ভাবে মাছ ধরার অভিজ্ঞতা অবশ্যই থাকবে। গ্রামে বসবাসকারীদের মধ্যে অনেকে মাছধরা পেশা হিসেবেও গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে যারা খাল বিল ও নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করে তাদের মধ্যে মাছ ধরার অভিজ্ঞতাটা বেশি থাকে।এবং নদীর পাড়ে গড়ে ওঠে জেলেদের বসবাস।
তবে বর্তমানে অনেক মানুষ আছে যারা শখের বসে মাছ ধরে। বিশেষ করে যারা শহরে বসবাস করে তারা মাঝেমধ্যে বিভিন্ন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে নদী কিংবা খাল বিলের ধারে মাঝেমধ্যে মাছ ধরতে যায়।অনেক সময় শহর এলাকায় নদ-নদী খাল-বিল এর অভাবে শখের বশেও মাছ ধরাটাও সম্ভব হয়ে ওঠেনা।কেননা শহরাঞ্চলে খাল-বিল সচরাচর পাওয়া যায় না।
আমরা অনেক সময় ইউটিউব কিংবা ইন্টারনেট এ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মাছ ধরার ভিডিও ভাইরাল হয়ে থাকে।যেগুলোতে দেখানো হয় বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নতুন নতুন সরঞ্জাম ব্যবহার করে নদ-নদী কিংবাখাল-বিল থেকে কিভাবে মাছ ধরার হয় তার ভিডিও। আজকের ভিডিওটিও ঠিক তেমনি যেখানে দেখানো হয়েছে একটি যুবক ডুবায় কচুরিপানার মধ্যে হতে কিভাবে হাত দিয়ে বিভিন্ন প্রকার দেশি মাছ ধরছে।
এই ধরনের ভিডিও আমরা ইন্টারনেটের সচরাচর দেখতে পাই।ভাইরাল ভিডিও গুলোর মধ্যে এই ভিডিও গুলো অন্যতম। আজকের এই ভিডিওতে মাছ ধরতে কোন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়নি।অনেক মানুষকে হাত দিয়ে খাল বিল ও নদ-নদীতে সারাদিন মাছ ধরতে দেখা যায়।যেখানে সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকার জাল বরশি ও অন্যান্য বিশেষ ধরনের পদ্ধতি।আজকের ভিডিওতে হাত দিয়ে বিলের মাছ ধরা হয়েছে।