নিজস্ব প্রতিবেদন:কুমির ভয়ঙ্কর এক সরীসৃপ প্রাণী। এদের উৎপত্তি অতি প্রাচীন কালে।যা মুহূর্তে গিলে খেতে পারে অন্য আরেকটি প্রাণীকে।কুমির হল একপ্রকার জলচর চতুষ্পদ প্রাণী। এগুলিকে দেখা যায় আফ্রিকা, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে।
কুমিরের বাসস্থানঃকুমির উষ্ণ পরিবেশে বসবাস করতে পছন্দ করে। ঠাণ্ডা আবহাওয়া তাদের মোটেও ভালো লাগে না। এ কারণে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্ব আমেরিকা, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ও বর্নিয়, ভারত ও পাকিস্তানের জলাভুমিতে এদের বেশি দেখা যায়।
শিকারি কুমিরঃশিকারি হিসেবে কুমির ভীষণ দক্ষ। তারা পানির নিচে ওৎ পেতে থাকে। শিকার কাছাকাছি এলেই তার ধারালো দাঁত বিদ্ধ করে পানিতে ক্রমাগত পাকাতে থাকে।কুমিরের শিকারের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন সরীসৃপ, মাছ ও স্তন্যপায়ী প্রাণী। কুমিরের পাকস্থলিতে অনেক সময় পাথর পাওয়া যায়।
কারণ পাথর তাদের খাবার হজমের ক্ষেত্রে ও পানিতে চলাচলের সময় ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।আমরা এই ভিডিওটিতে দেখতে পারছি,কতগুলা বন্য ষাঁড় নদী পার হয়ে অন্য বনে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল । দুটু ষাঁড় নদীতে নামে,তখন হঠাৎ করে ভেসে উঠলো কতগুলো কুমির। কুমির গুলা বন্য ষাঁড়কে আক্রমণ করে।আক্রমণ করে তাদের আহত করার চেষ্টা করলে নদীর পাড়ে থাকা ষাঁড় গুলো এক এক করে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তাদের সহপাঠীদের বাঁচাতে কুমিরের সাথে লড়াই করে।
আমরা জানি প্রাণিজগতের প্রত্যেকটা প্রাণী দলবদ্ধভাবে বসবাস করে। তাদের যখন বিপদ আসে তখন একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসে। ঠিক তেমনি বন্য ষাঁড় নদীতে কুমিরের আক্রমণের শিকার হয়। তখন তারা একে অপরের সাহায্য এগিয়ে আসে। তাকে বলা হয় একতাই বল। কোন কাজে মন একা করা সহজ নয় একে অপরকে সাহায্য করতে হয়। তাহলে সব কঠিন কাজ সহজ হয়ে যায়। তাই বন্য ষাঁড় একে অপরকে সাহায্য করে। তাদের এমন বন্ধুত্ব মূলক আচরণ দেখে নেটিজেনরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বিস্তারিত ভিডিওতে।