নিজস্ব প্রতিবেদন:কই মাছ প্রচন্ড সুস্বাদু ও রোগ প্রতিরোধি মাছ। বাজারে কই মাছের দামও সবসময় বেশি থাকে। দেশীয় প্রজাতির মাছের মধ্যে কই অন্যতম। এই মাছ খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি অত্যান্ত পুষ্টি গুণেও অতুলণীয়। খাল-বিলে এই মাছ প্রচুর পাওয়া যায়।আমরা অনেকেই মাছ ধরতে পছন্দ করি ।বিশেষ করে যারা গ্রামে বসবাস করি তাদের বিভিন্ন ভাবে মাছ ধরার অভিজ্ঞতা অবশ্যই থাকবে।
গ্রামে বসবাসকারীদের মধ্যে অনেকে মাছধরা পেশা হিসেবেও গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে যারা খাল বিল ও নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করে তাদের মধ্যে মাছ ধরার অভিজ্ঞতাটা বেশি থাকে। এবং নদীর পাড়ে গড়ে ওঠে জেলেদের বসবাস। তবে বর্তমানে অনেক মানুষ আছে যারা শখের বসে মাছ ধরে।বিশেষ করে যারা শহরে বসবাস করে তারা মাঝেমধ্যে বিভিন্ন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে নদী কিংবা খাল বিলের ধারে মাঝেমধ্যে মাছ ধরতে যায়।
অনেক সময় শহর এলাকায় নদ-নদী খাল-বিল এর অভাবে শখের বশেও মাছ ধরাটাও সম্ভব হয়ে ওঠেনা। কেননা শহরাঞ্চলে খাল-বিল সচরাচর পাওয়া যায় না। আমরা অনেক সময় ইউটিউব কিংবা ইন্টারনেট এ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মাছ ধরার ভিডিও ভাইরাল হয়ে থাকে।যেগুলোতে দেখানো হয় বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নতুন নতুন সরঞ্জাম ব্যবহার করে নদ-নদী কিংবাখাল-বিল থেকে কিভাবে মাছ ধরার হয় তার ভিডিও।
আজকের ভিডিওটিও ঠিক তেমনি যেখানে দেখানো হয়েছে একটি মহিলা ডুবায় কচুরিপানার মধ্যে হতে কিভাবে পলো জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রকার দেশি মাছ ধরা হয়। এই ধরনের ভিডিও আমরা ইন্টারনেটের সচরাচর দেখতে পাই। ভাইরাল ভিডিও গুলোর মধ্যে এই ভিডিও গুলো অন্যতম।আগের দিনের মানুষ মাছধরা শুধু শখের বসে শিখতো না। পেশা হিসেবে মাছ ধরার কাজটি নির্বাচন করতো। এখন খুব মানুষ পাওয়া যায় যারা মাছ ধরাকে পেশা হিসেবে নির্বাচন করেছে।
এগুলো আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষ দিন দিন শহরমুখী হওয়ার কারণে গ্রামের ঐতিহ্য গুলো দিন দিন ভুলে যাচ্ছে। এখনকার মানুষ আর পূর্বের মত মাছ ধরার সরঞ্জাম ব্যবহার করে না। প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে সরঞ্জাম গুলো বদলে গেছে।আজকের ভিডিওতে সেচের মাধ্যমে মাছ ধরার চিত্র ধারণ করা হয়েছে। এই ভিডিওটি যখন ইন্টারনেটে আপলোড করা হয় তখন মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় ।
শীতকাল আসলেই নদী নালা খাল বিলের পানি আস্তে আস্তে কমতে শুরু করে। যখন পানি আস্তে আস্তে কমে যায় তখন মাছগুলো বিভিন্ন খাদে আটকে পড়ে। আর তখন শুরু হয় সেচে মাছ ধরার পালা। সেচ প্রক্রিয়ায় মাছ ধরা এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোন স্থানের মাছ একেবারে সম্পূর্ণরূপে ধরে ফেলা সম্ভব।এ প্রক্রিয়ায় মেশিন কিংবা বিভিন্ন হাত সরঞ্জাম দিয়ে পানিগুলো শেষে গর্ত থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এবং পানি সেঁচা হয়ে গেলে এর মধ্য থেকে হাত দিয়ে মাছগুলো একটি একটি করে সবগুলো ধরে ফেলা সম্ভব। এ প্রক্রিয়ায় মাছ ধরলে অধিক সময়, পরিশ্রম এবং জনবলের প্রয়োজন। এ প্রক্রিয়ায় মাছ ধরার মজাই আলাদা। কেননা এই প্রক্রিয়ায় মাছ ধরার সময় নিজ হাতে একটি একটি করে মাছ ধরা যায়। এবং ছোট বড় সকলেই এই প্রক্রিয়ায় মাছ ধরায় অংশ নিতে পারে।মাছ ধরা যে কত আনন্দের যারা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মাছ ধরেছে তারাই জানে।
বিশেষ করে এখনো যারা গ্রামে বসবাস করি এবং যাদের বাড়ি হাওর বাওর নদী নালা খাল বিলের পাশাপাশি তারাই মাছ ধরার প্রকৃত আনন্দ উপভোগ করতে পারি। বর্তমানে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ শখের বসেই ধরে থাকে। তবে আমরা যারা শৈশব কাটিয়েছি গ্রামে তারা অবশ্যই ছোটবেলার মাছ ধরাটাকে মিস করে থাকি।