ধান ক্ষেতের মধ্যে ড্রেন করে বেতের তৈরি চালুন দিয়ে পাতা হল মাছ ধরার অভিনব এক ফাঁদ। অল্প সময়ে ধরা পড়ল বড় বড় মাছ। যুবকের এই অভিনব পদ্ধতি তুমুল ভাইরাল ভিডিও

নিজস্ব প্রতিবেদন:আমরা বাঙ্গালীদের মধ্যে মাছ ধরতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে ।পেশা কিংবা শখের বশে কোন ভাবে না কোনোভাবেই প্রায় সকলেই মাছধরা পছন্দ করেন। আবার কেউ মাছ ধরা দেখে আনন্দ পায়। আবার অনেকে বিভিন্ন ভাবে মাছ ধরার কৌশল গুলো দেখে আনন্দ পাই।

দিন দিন নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার হচ্ছে দাদা যা দ্বরা বিভিন্নভাবে মাছকে ফাঁদে ফেলে ধরা হয়। বিশেষ করে যারা গ্রামে বসবাস করি তাদের বিভিন্ন ভাবে মাছ ধরার অভিজ্ঞতা অবশ্যই থাকবে।গ্রামে বসবাসকারীদের মধ্যে অনেকে মাছধরা পেশা হিসেবেও গ্রহণ করেছে।

বিশেষ করে যারা খাল বিল ও নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করে তাদের মধ্যে মাছ ধরার অভিজ্ঞতাটা বেশি থাকে। এবং নদীর পাড়ে গড়ে ওঠে জেলেদের বসবাস। তবে বর্তমানে অনেক মানুষ আছে যারা শখের বসে মাছ ধরে।

বিশেষ করে যারা শহরে বসবাস করে তারা মাঝেমধ্যে বিভিন্ন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে নদী কিংবা খাল বিলের ধারে মাঝেমধ্যে মাছ ধরতে যায়। অনেক সময় শহর এলাকায় নদ-নদী খাল-বিল এর অভাবে শখের বশেও মাছ ধরাটাও সম্ভব হয়ে ওঠেনা। কেননা শহরাঞ্চলে খাল-বিল সচরাচর পাওয়া যায় না।

আমরা অনেক সময় ইউটিউব কিংবা ইন্টারনেট এ বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মাছ ধরার ভিডিও ভাইরাল হয়ে থাকে। যেগুলোতে দেখানো হয় বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নতুন নতুন সরঞ্জাম ব্যবহার করে নদ-নদী কিংবাখাল-বিল থেকে কিভাবে মাছ ধরার হয় তার ভিডিও।

আজকের ভিডিওটিও ঠিক তেমনি যেখানে দেখানো হয়েছে একটি ছেলে একটি বিস্ময়কর পদ্ধতিতে মাছ ধরছে।। এই ধরনের ভিডিও আমরা ইন্টারনেটের সচরাচর দেখতে পাই। ভাইরাল ভিডিও গুলোর মধ্যে এই ভিডিও গুলো অন্যতম।এগুলোর মাধ্যমে মাছ ধরার বিভিন্ন কৌশল ও বিভিন্ন সরঞ্জাম এর সম্পর্কে জানা যায়।

প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে দিন দিন বিভিন্ন রকম সরঞ্জাম এর আবিষ্কারক কে। যেগুলো দিয়ে মাছ ধরতে খুব কম শক্তি এবং খুব কম সময় ব্যয় হয়। খুব অল্প সময়ে বেশি মাছ ধরার জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে যারা বাণিজ্যিকভাবে মাছ শিকার করে।

এবং তা বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে তারা কম সময়ে অধিক মাছ ধরার জন্য নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করে থাকি।ঠিক তেমনি আজকের এই ভিডিওটিতে মাছ ধরার নতুন কৌশল দেখানো হয়েছে। যেখানে বাশের বেত দিয়ে তৈরি করা হয় নেট।

এবং এর মাঝখানে ছিদ্র করে তারপর যুবকটি এর চালুনি কে নিয়ে জমিনের মধ্যে চলে যায় ।জমিনের মাঝখানে গিয়ে সে একটি কুদাল সংগ্রহ করে। সেই যন্ত্রটি দ্বারা সে প্রথমে একটি গর্ত করে। গর্ত করে সেখানে একটি ড্রেন করে।বাঁশের ব্যাথ দিয়ে বানানো চালুন গর্তের মুখে বসিয়ে দেয়। যুবকটি মাছের খাবার দিয়ে আসে ট্রেনের মধ্যে।

আর ওই খাবারগুলো খেতে বিভিন্ন ধরনের মাগুর মাছ শিং মাছ লাটিম খেতে আসে এবং যে মাছগুলো সেই ভিতরে চলে যায় এবং ঘরে বন্দী হয়ে যায়।এভাবেই এই পদ্ধতিতে মাছ ধরা হয়।এ পদ্ধতিতে মাছ ধরতে যে সরঞ্জাম টি ব্যবহার করা হয়েছে তা একটি দেশীয় সরঞ্জাম। এটি তৈরি করতে সাধারণত বাশের ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রথমে বাঁশ দিয়ে একটি নেট তৈরি করে এরপরে আর মাঝখান দিয়ে একটি ছিদ্র করে পাশের একটি টুকরো ছিদ্র দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। এ পদ্ধতিতে মাছ ধরার একটি সুবিধা হচ্ছে সরঞ্জাম তৈরি করতে খুব অল্প খরচে এবং খুব অল্প সময়ে এই পদ্ধতিতে অধিক মাছ ধরা সম্ভব। যাদের মাছ ধরার পদ্ধতি টি ভালো লেগেছে এবং এই পদ্ধতিতে সরঞ্জাম তৈরি করতে চান তারা এই ভিডিওটি দেখে সরঞ্জামটি তৈরি করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *