দু্‌ই যুবক পলো জাল দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে ঘটল এক আর্শ্চ্যয ঘটনা!পলো জালে আটকা পরলো বিশাল বড় কুচে মাছ! কুচে মাছ ধরার লংকা কান্ড ভাইরাল হয়ে গেল নেট দুনিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদন:আনুমানিক ভারতে ধরা পরেছে এই বিশাল কুচিয়া মাছ। কুচিয়া মাছ যাচ্ছে দেশ-বিদেশে। এ কুচিয়া মাছ ধরে আদিবাসী, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনসহ বিভিন্ন ধর্মের শতাধিক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছেন। কুচিয়া মাছ কেনার জন্য দুটি স্থানে গড়ে উঠেছে বেচাকেনার আড়ত।

সেখান থেকে সপ্তাহে প্রচুর পরিমাণ কুচিয়ামাছ বিদেশে রপ্তানি করা হয়, অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।কুচিয়া দেখতে অনেকটাই সাপের মতো। এর রয়েছে বিভিন্ন নাম, কুঁচে মাছ, কুচিয়া, কুইচ্চা বা কুচে বাইম। এটি একটি ইল-প্রজাতির মাছ। বিশেষ করে কুচিয়া মাছ মানুষ বিভিন্ন রোগের প্রতিকারের জন্যও খেয়ে থাকেন।

জানা গেছে, প্রায় প্রতিদিনই কুচিয়া মাছ ধরা হলেও বছরের নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত কুচিয়া মাছ ধরার উপযুক্ত মৌসুম। প্রতিদিন একজন শিকারি গড়ে ৪ কেজি থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত কুচিয়া মাছ ধরতে পারে।ধুন্দার গ্রামের কুচিয়া মাছ শিকারি নিমাই চন্দ্র জানান, পুকুর অথবা জলাশয়ের ধারে ছোট ছোট গর্ত চিহ্নিত করে মোটা সুতার সঙ্গে বড়শি বেঁধে তার সঙ্গে কেঁচো অথবা ছোট ব্যাঙ লাগিয়ে গর্তের মধ্যে ফেলে একটু নাড়া দিলেই কুচিয়া মাছ বড়শিতে আটকে যায়।

স্থানীয়ভাবে প্রতিকেজি কুচিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।আদিবাসী শিকারি রমেশ উরাও জানান, সকাল হলে ২-৩ জন করে একটি দলে বিভক্ত হয়ে কুচিয়া শিকার করতে বের হন তারা। সারাদিনে গড়ে ৫ থেকে ৭ কেজি কুচিয়া শিকার করতে পারেন।

দিন শেষে সংগ্রহকৃত কুচিয়াগুলো পাইকারদের হাতে তুলে দিয়ে ৬০০-১০০০ টাকা হাতে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। এভাবে কুচিয়া মাছ বিক্রি করে তাদের শতাধিক পারিবারের সংসার চলছে। বাজারের আড়তদার রাশেদ খন্দকার ও সত্যেন সরকার বলেন, তারা সরাসরি কুচিয়া মাছ বিদেশে পাঠাতে পারেন না।

তিনি প্রতিসপ্তাহে ৯০০ কেজি থেকে ১২০০ কেজি পর্যন্ত এই মাছ ঢাকায় পাঠান। কয়েকদিন পর এই মাছ ২৫০০ থেকে ৩০০০ হাজার কেজি পর্যন্ত পাঠাতে পারবেন। ঢাকার আড়তদাররা কুচিয়া মাছ চীন, হংকং,জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে। কুচিয়া মাছ ওই সব দেশের এক শ্রেণির মানুষের প্রিয় খাদ্য। আমাদের দেশেও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ কুচিয়া মাছ খায়।যুবকে কুচিয়া মাছ ধরেন আর মহা আনন্দে বাড়ি ফিরেন।বিস্তারিত ভিডিওতে দেওয়া হলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *