নিজস্ব প্রতিবেদন: বড়শি সাধারণত বাঁশের ছিপ বা লৌহ দণ্ডের সাথে সুতা বরা চিকনাকৃতির রশির সাথে সংযুক্ত থাকে যা ধরা মাছকে খুব সহজে ফাঁদের মধ্যে নিয়ে আসে।মাছ ধরার জন্যে বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে বড়শি রয়েছে। বড়শির আকার, উদ্দেশ্য, এবং উপকরণ মাছ ধরার পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল।
বড়শি দিয়ে সাধারণত সীমিত আকারে মাছ ধরার সম্ভব।বড়শি হলো মাছ ধরার একপ্রকার সরঞ্জাম। ইংরেজিতে একে বলে Fish Hook। মাছ ধরার সরঞ্জামের মধ্যে বড়শি সবচেয়ে জনপ্রিয়।এটি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
মিঠা ও নোনা পানির মাছ ধরার জন্য এটি বেশি ব্যবহৃত হয়। অমর প্রেমকাহিনি ‘চণ্ডীদাস ও রজকিনী’র গল্পে বড়শির উল্লেখ পাওয়া যায়।যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত ফোর্বস ম্যাগাজিন ২০০৫ সালে মাছ ধরার শীর্ষ ২০টি সরঞ্জামের মধ্যে বড়শিকে প্রধান সরঞ্জাম হিসেবে নির্বাচিত করেছিল।বড়শি বা অনুরূপ যন্ত্র হাজার হাজার বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল।
ধাতু (যেমন ব্রোঞ্জ, লোহা, তামা) আবিষ্কারের আগে মানুষ কাঠ, হাড়, পশুর শিং, শক্ত খোলস (শেল) ব্যবহার করে বড়শি বানাত। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন মাছ ধরার বড়শি ওকিনাওয়া দ্বীপের সাকিতারি গুহায় ২২ হাজার ৩৮০ থেকে ২২ হাজার ৭৭০ বছর আগে আবিষ্কৃত হয়েছিল।
এই বড়শিগুলো সামুদ্রিক শামুকের খোল থেকে তৈরি করা হয়েছিল।বড়শি দিয়ে মাছ ধরা পৃথিবীব্যাপী মানুষের অন্যতম একটি শখ। বড়শি দেখতে অনেকটা বাংলা এক (১) আকৃতির মতো। লোহার তৈরি বড়শির এই বাঁকানো দণ্ডের ওপরের অংশের সঙ্গে একটি সুতা বাঁধা থাকে। সুতার অন্য প্রান্তে থাকে বাঁশের শক্ত ও দৃঢ় কাঠি।
বাঁশের এই শক্ত ও দৃঢ় কাঠিকে বলে ছিপ। মাছ ধরার জন্য বড়শিতে টোপ লাগিয়ে পানিতে ফেলা হয়। মাছ টোপ গিললে সুতায় টান পড়ে। তখন ছিপ দ্রুত টেনে তোলা হয়। সুতার মাঝামাঝি থাকে ফাতনা, যা পানিতে ভেসে থাকে। টোপে মাছ ঠোকর দিলে ফাতনা নড়ে ওঠে।
টোপ গিলে মাছ নড়াচড়া শুরু করলে ফাতনা নড়তে থাকে, ডুবুডুবু হয়। তাতে বোঝা যায় মাছ টোপ গিলেছে। তখন ছিপ দ্রুত তুলে নিতে হয়।বাঁশের তৈরি পাত্র খালুইয়ে ধরা পড়া মাছ রাখা হয়।মাছ ধরার জন্য বিশ্বে বিভিন্ন আকার ও আকৃতির বড়শি দেখা যায়।
কী ধরনের মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত হবে তার ওপর নির্ভর করে বড়শির আকার ও আকৃতি পরিবর্তিত হয়। বড়শি দিয়ে সাধারণত সীমিত আকারে মাছ ধরা সম্ভব।আমরা এই ভিডিওতে দেখতে পাচ্ছি একটি যুবক হাউরে মাছ ধরতে যায়।
সুতার মধ্যে বরশি দিয়ে ছোট ছোট মাছ গেতে দেয় এবং সে ক্ষেত্রে বড় বড় মাছ গুলো বোকা হয়ে যায়।হাওড়ে সকল বড় বড় মাছ তার ফাঁদে বন্দি হয়।যদি আপনাদের কাছে ভাল লাগে তাহলে নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন।