নিজস্ব প্রতিবেদন:এটি মিঠা পানির মাছ। সাধারণত নদী, খাল এবং বিল এ পাওয়া যায়, পুকুরেও চাষ করা যায়।টোপ:চিতল একটি রাক্ষুষে প্রজাতির মাছ। নদী নালা দিঘি এবং বিলে চিতল মাছ অহরহ পাওয়া যায়। যদিও চিতল রাতে বেশি খায় তবে সাধারণত দিনেও চিতল কে ধরার জন্য বিভিন্ন রকম টোপ ব্যবহার করা যায়। দিনের বেলা ব্যবহার করার জন্য চিতলের সবচেয়ে কমন টোপ হলো মুরগি বা যে কোন পাখির সিদ্ধ ডিম ।
একটি তিন কাটার বড়সিতে যদি সেদ্ধ ডিম গেথে দেয়া যায়, তবে চিতল খুব ভালো খায় ।একটি ডিম সিদ্ধ করে তা তিন কাটার বড়শিতে আটকে দিতে হবে এমন ভাবে যেন কাটার মাথা গুলো দেখা না যায় ।এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে বড়শি যেন ডিমের ভেতরে থাকে। এটি একটু ভারী বা বড় ফাতনা দিয়ে পানিতে ফেলতে হবে এবং সুতার বহর দুই থেকে আড়াই ফুটের মত রাখতে হবে । অর্থাৎ টোপ পানির উপর হতে দুই থেকে আড়াই ফুট নিচে থাকবে ।
চিতল এর যেহেতু উল্টানোর অভ্যাস আছে তাই উল্টিয়ে উপর থেকে নিচে যাওয়ার সময় ডিম চোখে পড়লে বা গন্ধ পেলে সেটা খেয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং বড়শিতে আটকে যায়। তবে এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে চিতল কোন জায়গায় বেশি ঘন ঘন উল্টাচ্ছে । সেখানে এটি ফেললে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।ভুটান (Bhutan) পাহাড় থেকে নেমে এসেছে এই মানসাইনদী। জলপাইগুড়িতে জলঢাকা, কোচবিহারে মানসাই নাম নিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।
এরপর দিনহাটার গিতালদহ সীমান্তে ধরলা নাম নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সারাবছরই এই নদীতে মাছের দেখা মেলে। বিশেষ করে এই নদীর বোরোলি মাছের খ্যাতি রয়েছে। ছোটো-ছোটো বোরোলি মাছের স্বাদ অসাধারণ। পাশাপাশি বর্ষার সময় প্রতি বছরই মানসাই নদীতে ইলিশের দেখা মেলে। বাংলাদেশ কিংবা কাকদ্বীপের ইলিশের মতো মানসাই নদীর ইলিশের স্বাদ না হলেও খারাপ বলা চলে না। তবে এবছর এখনও ইলিশের দেখা মেলেনি সেভাবে।
ফলে হতাশ হয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। পুজোর আগে ইলিশের আশাতেই বেশ কয়েকদিন ধরেই মানসাই নদীতে জাল ফেলছেন স্থানীয় জেলেরা। কিন্তু, ইলিশ জালে না ওঠায় নিত্যদিন হতাশ মুখেই ঘরে ফেরেন জেলেরা। তবে এদিন তাঁদের হতাশা খুশিতে ভরে গিয়েছে। জেলেদের মুখে চওড়া হাসি দেখা দিয়েছে। কেবল হাসি নয়, অবাকও হয়েছেন। একজনের জালে ধরা পড়েছে বিশালাকার চিতল মাছটি (Chital Fish)।