জীবনে সুখী হতে চাইলে যে ৪টি বিষয়ে কখনো মুখ খুলবেন না

চাণক্য নীতি’-র পুরোটাই যে নঞর্থক এমনটা বাবলে ভুল হবে। অনেকেরই ধারণা, কৌটিল্য বিষ্ণুগুপ্ত চাণক্যের নামে যে নীতিবাক্যগুলি ভারতে দালা রয়েছে, তার সিংহভাগই তিক্তরসাশ্রিত। প্রায় প্রতিটি কথনেই উঠে এসেছে নিষেধ,প্রতিটি উপদেশেই সাবধানবাণী শোনানো হয়েছে। সে কথা

অস্বীকার করা না গেলেও এটা মানতে হবে, ‘চাণক্য নীতি’ নামে পরিচিত এথিক্যাল কোড-এ বেশ কিছু ইতিবাচক বস্তুও বিদ্যমান। তার মধ্যে অন্যতম হল জীবনে সুখী হওয়ার জন্য প্রদত্ত চাণক্য-নির্দেশ। মহামতি চাণক্য নাকি সুখী জীবনের জন্য মাত্র চারটি সূত্রকেই পালনীয় বলে মনে

করেছিলেন তাঁর উপদেশমালায়। ‘চাণক্য নীতি’ অনুযায়ী সুখী জীবন লাভের জন্য কতগুলো বিষয়কে আলোচনাবৃত্তের বাইরে রাখাটাই সঙ্গত। দেখা যাক কী সেগুলো।

1. অর্থক্ষতি— চুরিই হোক আর বাণিজ্যক্ষতিই হোক, আর্থিক বিপর্যয়ের কথা ব্যক্তিগত স্তরে থাকাটাই বাঞ্ছনীয়। কারণ, আর্থক বিপর্যয়ের কথা জনসমক্ষে এলে জনগণ সহনুভূতি জানাতে পারে। কিন্তু প্রকৃত সাহায্য কখনওই করবে না। নিজেকে অন্যের করুণার পাত্র করে তুলে কী লাভ?

দারিদ্র্য কখনওই সম্মানজনক নয়। 2. ব্যাক্তিগত সমস্যা— একান্ত ব্যক্তিগত সমস্যার কথাও পাঁচকান না হওয়াই ভাল। ব্যক্তিগত কথা জনসমক্ষে উঠে এলে অন্যের কাছে উপহাসের পাত্র হয়ে ওঠার সম্ভাবনা যথেষ্ট। 3. স্ত্রীর চরিত্র— নিজের পত্নীর চরিত্র নিয়ে ঘনিষ্ঠজনের কাছেও মুখ না-

খোলাই ভাল। বুদ্ধিমান মানুষ কখনওই এমন কাজ করেন না। 4. নিম্নপদবাচ্য কোনও ব্যক্তির কাছে অপমান— অধস্তন কোনও ব্যাক্তির কাছে অপমানিত হলে কিল খেয়ে খিল হজমের কথাই বাৎলেছেন চাণক্য। এমন কথা চাউর হলে অপমান বাড়ে বই কমে না। এমন ক্ষেত্রে অপমানের স্মৃতি মনের ভিতরে পুষে রাকতে হয়। প্রতিশোধের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *