জীবনের মায়া ত্যাগ করে খাবারের খোঁজে প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ে অবলীলায় চড়ে যায় মাউন্টেন গোট বা পাহাড়ি ছাগল! জীবন যে কতটা কঠিন, এই ভিডিওটি দেখলে বুঝতে পারবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন:আমরা যে সব বস্তু আহার করি তাকে আহার্য সামগ্রী বলে। কিন্তু সকল আহার্য সামগ্রীই খাদ্য নয়। যেমন, থোড় সেলুলোজ দিয়ে গঠিত হওয়ায় আমাদের পরিপাক নালিতে পাচিত হয় না। ফলে এটি পুষ্টি সহায়ক নয়। সুতরাং সেই সব আহার্য সামগ্রীকেই খাদ্য বলা যাবে, যা দেহের পুষ্টি ও বৃদ্ধি সহায়ক এবং তাপশক্তি উৎপাদনে সয়হাতা করে।

জীবদেহে শক্তির প্রধান উৎস হল খাদ্য।সালোকল্সেন প্রক্রিয়াকালে সৌরশক্তি উদ্ভিজ খাদ্যের মধ্যে স্থৈতিক শক্তিরূপে আবদ্ধ হয়।জিভকুষে শ্বসনের সময় স্থৈতিক শক্তি তাপ শক্তি বা গতিশক্তি রুপে মুক্ত হয়, জীবদেহের যাবতীয় বিপাক ক্রিয়া,যেমন:শ্বসন রেচন,পুষ্টি গ্রহণ ইত্যাদি এবং শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ, যেমন-বৃদ্ধি, চলন-গমন,জনন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রিত হয়। সুতরাং প্রাণ ধারণের জন্য প্রত্যেক জীবকেই খাদ্য গ্রহণ করতে হয়।

তাই,যে সব আহার্য সামগ্রী গ্রহণ করলে জীবদেহের বৃদ্ধি, পুষ্টি,শক্তি উৎপাদন,ক্ষয়পূরন হয় ও রোগ প্রতিরোধ করে তাকেই খাদ্য বলে।আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময়ের নানা ধরনের ভিডিও দেখতে পাই, যে সমস্ত ভিডিও মধ্যে বেশকিছু ভিডিও আমাদের খুবই আনন্দ দেয় ঠিক তেমনি কিছু ভিডিও দেখে আমাদের খুবই খারাপ লাগে।

বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের নিত্য বন্ধু হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে তো গত বছর করোনাকালে এর প্রভাব মানুষের উপর ব্যাপকভাবে পড়েছে,তার কারণ মানুষ যখন এক প্রকার ঘরবন্দি তখন তাদের একমাত্র বন্ধু হয়ে ছিলো এই সোশ্যাল মিডিয়া। আর এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বহু মানুষ তাদের সুপ্ত প্রতিভা কে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরে নিজেদের কে প্রতিষ্ঠা করেছে।তবে আগেই বলেছি সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা ধরনের ভিডিও দেখতে পাওয়া যায়।

সকল প্রাণীরাই চায় বেঁচে থাকতে। কেউ কি আর বিনা কারনে মরে যেতে চাই কখনো।চিরকালই চলে আসছে বেঁচে থাকার লড়াই, তা আমরা ইতিহাস বইয়ের পাতায় পাতায় দেখতে পেয়েছি। এমনকি জীবনবিজ্ঞান বইতেও তা স্পষ্ট দেখা যায়।
আমরা দেখেছি বিজ্ঞান বইতে সময়ের সাথে সাথে যে সমস্ত প্রাণীরা নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিতে না পেরেছে তারা ধীরে ধীরে কিভাবে পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে।

ঠিক তেমনই যে সমস্ত প্রাণীরা সময়ের সাথে সাথে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছে তারাই বর্তমানের টিকে আছে।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যা দেখে সত্যিই অবাক হবেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে পাহাড়ের চূড়া থেকে ছোট ছোট প্রাণী জীবনের মায়া ত্যাগ করে চাপ দিচ্ছে।তো আবার কখনো দেখা যাচ্ছে জীবনের মায়া ত্যাগ করে কুমির ভর্তি নদীর জলে ঝাঁপ দিচ্ছে বানরের দল।

আবার কখনো দেখা যাচ্ছে অনেকটা যেন স্পাইডারম্যানের মতো পাহাড় বেয়ে উঠে যাচ্ছে ছাগলের দল।তবে এই সমস্ত প্রাণীদের কি বেঁচে থাকার ইচ্ছা নেই? অবশ্যই আছে। বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় সামগ্রীর কারণেই এরা সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়ে এমন ধরনের ঝুঁকি নিচ্ছে।যেসব প্রাণীরা এখানে সক্ষম হচ্ছে তারাই টিকে থাকছে। বহু বিজ্ঞানীরা এমন ধরনের দৃশ্য দেখে অবাক হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *